নিউইয়র্ক ০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলার যোগ্যতা নেই’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • / ১১৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র এত বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে যে, তারা এখন অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখে না এমন মন্তব্য করেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মানবাধিকার উচ্চ পরিষদের সচিব কাজেম গরিবাবাদি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অবকাশে গতকাল রবিবার (৩ জুলাই) এসব কথা বলেন তিনি।
গরিবাবাদি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর সন্ত্রাসবাদ, নিষধাজ্ঞা, আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব চাপিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেসমস্ত মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে তার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে নিতে হবে।
ইয়েমেন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশটিতে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে অথচ ইয়েমেনের দরিদ্র মানুষ মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে না।
এসময় ইরানের অন্যতম উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে স্বাধীন মানুষের অধিকার পায়ে মাড়ানো। বিশ্বের এমন কোনো জাতি নেই যারা বলতে পারবে না তারা যুক্তরাষ্ট্রের তিক্ত মানবাধিকারের স্বাদ নেয় নি।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার দুই প্রধান স্তম্ভ।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলার যোগ্যতা নেই’

প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র এত বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে যে, তারা এখন অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখে না এমন মন্তব্য করেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মানবাধিকার উচ্চ পরিষদের সচিব কাজেম গরিবাবাদি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অবকাশে গতকাল রবিবার (৩ জুলাই) এসব কথা বলেন তিনি।
গরিবাবাদি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর সন্ত্রাসবাদ, নিষধাজ্ঞা, আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব চাপিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেসমস্ত মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে তার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে নিতে হবে।
ইয়েমেন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশটিতে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে অথচ ইয়েমেনের দরিদ্র মানুষ মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে না।
এসময় ইরানের অন্যতম উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে স্বাধীন মানুষের অধিকার পায়ে মাড়ানো। বিশ্বের এমন কোনো জাতি নেই যারা বলতে পারবে না তারা যুক্তরাষ্ট্রের তিক্ত মানবাধিকারের স্বাদ নেয় নি।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার দুই প্রধান স্তম্ভ।
হককথা/এমউএ