নিউইয়র্ক ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুদ্ধের পক্ষে সাফাই, বিনিয়োগের আহবান পুটিনের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ৮৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ব্যবসায়িক ফোরামে বক্তৃতায় বলেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সফল হবে না৷ এর পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের রাশিয়ায় বিনিয়োগ করার আহবান জানান ৷
শুক্রবার বক্তৃতা দেয়ার সময় পুটিন ইউক্রেনেযুদ্ধের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন ৷ পাশাপাশি বলেন, ‘যারা চায় তাদের সঙ্গে’ অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়াবে রাশিয়া৷
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ‘প্রয়োজনীয়’
সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তৃতার সময়, ইউক্রেনে আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ পুটিন বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমাদের জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এবং হুমকির ফলে রাশিয়া একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়৷ এই সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল৷ তবে এই অভিযান বাধ্যতামূলক এবং প্রয়োজনীয়৷”
পুটিন বারবার বলেন, প্রাথমিকভাবেইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে রুশভাষী লোকদের ‘রক্ষা’ করতেই এই অভিযান করেছিল রাশিয়া৷
রাশিয়ার ‘দাভোস’-এ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা নিখোঁজ!
পুটিনের নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ৷ সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার উত্তর হিসাবে এই শহরে ফোরামের আয়োজন করা হয়৷ বিগত বছরগুলিতে যে পশ্চিমা কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীরা এসেছিলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে তাদের কারো দেখা মেলেনি চলতি বছরে৷
প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘অভিযান’-এর কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন পুটিন৷ তার কথায়, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ার কোন সম্ভাবনা শুরু থেকেই ছিল না৷ পুটিন বলেন, ‘‘আমরা শক্তিশালী এবং আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি৷”
পুটিনের বক্তব্য, রাশিয়া ‘উদার অর্থনীতি’ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ অব্যাহত রাখবে৷ পাশাপাশি রুশ কোম্পানিগুলিকে দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি৷ তার বিশ্বাস, ম্যাকডোনাল্ডস এবং মাইক্রোসীফটের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান রাশিয়া ছেড়ে গেছে তাদের বিকল্প সহজেই মিলবে৷
পুটিন বলেন, ‘‘আমরা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছি৷ আমরা আর্থিক বাজার, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বাণিজ্য ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করেছি৷”
প্রথম দিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে চাপে পড়লেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য রাশিয়ার রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে৷ তবে দেশটির সরকারি হিসাবেই চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৬ দশমিক সাত শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে৷ এটি যথেষ্ট বেশি বলে স্বীকার করেছেন পুটিনও৷
ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্যের জন্য দোষারোপ
রুশ নেতা বিশ্বব্যাপী শস্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়েমন্তব্য করেছেন৷ আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে খাদ্য সংকটের কথা বলেছেন৷
পুটিনের দাবি, ইউক্রেন দেশটির বন্দরের চারপাশে ‘মাইন’ স্থাপন করে শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে৷ যদিও ইউক্রেনের শস্য সরবরাহ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নগণ্য৷
পুটিনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ টাকা ছাপিয়ে বিশ্ববাজার থেকে খাদ্য ‘ছিনতাই করছে’৷ মস্কো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য ও সার রপ্তানি বাড়াবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
ইউক্রেনে হামলা শুরুর প্রতিবাদে রাশিয়া ছেড়ে গেছে ম্যাকডোনাল্ডসসহ অনেক পশ্চিমা ব্র্যান্ড । আরকেসি/এফএস (রয়টার্স, ডিপিএ)
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুদ্ধের পক্ষে সাফাই, বিনিয়োগের আহবান পুটিনের

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ব্যবসায়িক ফোরামে বক্তৃতায় বলেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সফল হবে না৷ এর পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের রাশিয়ায় বিনিয়োগ করার আহবান জানান ৷
শুক্রবার বক্তৃতা দেয়ার সময় পুটিন ইউক্রেনেযুদ্ধের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন ৷ পাশাপাশি বলেন, ‘যারা চায় তাদের সঙ্গে’ অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়াবে রাশিয়া৷
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ‘প্রয়োজনীয়’
সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তৃতার সময়, ইউক্রেনে আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ পুটিন বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমাদের জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এবং হুমকির ফলে রাশিয়া একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়৷ এই সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল৷ তবে এই অভিযান বাধ্যতামূলক এবং প্রয়োজনীয়৷”
পুটিন বারবার বলেন, প্রাথমিকভাবেইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে রুশভাষী লোকদের ‘রক্ষা’ করতেই এই অভিযান করেছিল রাশিয়া৷
রাশিয়ার ‘দাভোস’-এ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা নিখোঁজ!
পুটিনের নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ৷ সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার উত্তর হিসাবে এই শহরে ফোরামের আয়োজন করা হয়৷ বিগত বছরগুলিতে যে পশ্চিমা কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীরা এসেছিলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে তাদের কারো দেখা মেলেনি চলতি বছরে৷
প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘অভিযান’-এর কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন পুটিন৷ তার কথায়, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ার কোন সম্ভাবনা শুরু থেকেই ছিল না৷ পুটিন বলেন, ‘‘আমরা শক্তিশালী এবং আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি৷”
পুটিনের বক্তব্য, রাশিয়া ‘উদার অর্থনীতি’ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ অব্যাহত রাখবে৷ পাশাপাশি রুশ কোম্পানিগুলিকে দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি৷ তার বিশ্বাস, ম্যাকডোনাল্ডস এবং মাইক্রোসীফটের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান রাশিয়া ছেড়ে গেছে তাদের বিকল্প সহজেই মিলবে৷
পুটিন বলেন, ‘‘আমরা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছি৷ আমরা আর্থিক বাজার, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বাণিজ্য ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করেছি৷”
প্রথম দিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে চাপে পড়লেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য রাশিয়ার রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে৷ তবে দেশটির সরকারি হিসাবেই চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৬ দশমিক সাত শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে৷ এটি যথেষ্ট বেশি বলে স্বীকার করেছেন পুটিনও৷
ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্যের জন্য দোষারোপ
রুশ নেতা বিশ্বব্যাপী শস্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়েমন্তব্য করেছেন৷ আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে খাদ্য সংকটের কথা বলেছেন৷
পুটিনের দাবি, ইউক্রেন দেশটির বন্দরের চারপাশে ‘মাইন’ স্থাপন করে শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে৷ যদিও ইউক্রেনের শস্য সরবরাহ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নগণ্য৷
পুটিনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ টাকা ছাপিয়ে বিশ্ববাজার থেকে খাদ্য ‘ছিনতাই করছে’৷ মস্কো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য ও সার রপ্তানি বাড়াবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
ইউক্রেনে হামলা শুরুর প্রতিবাদে রাশিয়া ছেড়ে গেছে ম্যাকডোনাল্ডসসহ অনেক পশ্চিমা ব্র্যান্ড । আরকেসি/এফএস (রয়টার্স, ডিপিএ)
হককথা/এমউএ