এই দুঃসময়ে সরকার ব্যস্ত উৎসব নিয়ে : মির্জা ফখরুল
- প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
- / ৫৪ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা দেশে আজ বন্যার কড়াল ছোবল। সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তারা এতো ব্যস্ত যে মানুষের কল্যাণের দিকে তাকানোর কোনো সময় নেই। মানুষের কষ্টের দিকে তাকানোর কোনো সময় নেই।
তিনি আরো বলেন, যেসব হাওড় ও নদীগুলোতে বাঁধ এবং ব্রিজ দেওয়া হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে এবং এতো দুর্নীতি হয়েছে যে সব বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। যেসব রাস্তা নতুন তৈরি করেছিল অপরিকল্পিতভাবে সেগুলো ভেঙে যাচ্ছে।
আজ শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশে আজ বন্যার কড়াল ছোবল। সিলেট, সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে উত্তর নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম—পুরো অঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। গতকালকের সংবাদ, ফারাক্কার সব দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার পানি বাড়তে থাকবে এবং এই দেশের মানুষকে ভাসিয়ে নেবে। বহু দিনের কষ্টের ফসল নষ্ট করবে।
তিনি বলেন, কেন এই বন্যা? জলবায়ু পরিবর্তনে বন্যা আসতে পারে। সেই বন্যা ঠেকানো এবং তাতে যেন কম ক্ষতি হয় সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের। এই সরকার গত এক যুগেও ভারতের সাথে অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন চুক্তি করতে সক্ষম হয়নি।
হঠাৎ করে যখন তারা ফারাক্কার গেট খুলে দেয় তখন পানির ঢল সামলানো সম্ভব হয় না মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, আজ সিলেট অঞ্চলে, সুনামগঞ্জে সেই একই ঘটনাগুলো ঘটছে। যা এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও জনগণের প্রতি অবহেলার প্রমাণ।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে এসব এলাকা দুর্গম অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বলেন, এসব অঞ্চলের মানুষের জন্য অবিলম্বে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু এই দুঃসময়ে সরকার ব্যস্ত হয়ে আছে উৎসব নিয়ে। তারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে এত ব্যস্ত যে মানুষের কষ্টের দিকে তাকানোর কোনো সময় নেই।
তিনি বলেন, নতুন একটা গান শুরু করেছে বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে সেখানে নাকি একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। জাতির সামনে বলেন সেই দুর্ঘটনাটা কী? কারা করছে? পরিষ্কার করে বলেন। আমরা তো দেখছি, আপনারাই বরাবর এসব কথা বলেন। নিজেরা দুর্ঘটনা ঘটান এবং তারপর তা বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেন। এটা হচ্ছে আপনাদের চরিত্র ও নীতি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে আপনাদের ব্যর্থতার কারণে, মনিটরিং ছাড়াই যে কনটেইনার ডিপোগুলো দিয়েছেন, তার মধ্যে যে ডিপোতে আগুন লাগলো তার মালিক একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে গ্রেপ্তার না করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে যারা আহত হয়েছে তাদের আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
হককথা/এমউএ