নিউইয়র্ক ১০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘বিশ্বে খাদ্য সংকটের জন্য পুতিনই দায়ী’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
  • / ৫৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর অবরোধ করে দুই কোটি ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি আটকে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক খাদ্যশস্য রপ্তানি বর্তমানে আটকে আছে। আজভ ও কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে রপ্তানির প্রধান রুটটি অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া।
এদিকে, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাও (ডব্লিউএফপি) একই জেলেনস্কির সুরেই কথা বলছে। সংস্থাটি বলছে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ রাশিয়া ও ২০ শতাংশ ইউক্রেন থেকে হয়ে আসছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা অনুমান করছে, পশ্চিম আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চল রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় শস্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। খাদ্য সংকট নিরসনে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে জুনের মধ্যে তিন কোটি ৮০ লাখের বেশি লোককে আরো দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হুমকিতে ফেলতে পারে। বিশ্বে অপুষ্টি, দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে এখন যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে। কিন্তু এখনই যদি সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে আগামী মাসগুলোতে বিশ্বকে খাদ্য সংকটের বড় ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে হবে।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি রাশিয়া ও বেলারুশের উৎপাদিত সার যদি বিশ্ববাজারে আবার না আসে, তাহলে খাদ্য সংকটের কোনো কার্যকর সমাধান হবে না। খাদ্য রপ্তানি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি রাশিয়া, ইউক্রেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। সমস্যার সমাধানে সব পক্ষের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। হামলা শুরুর পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এরইমধ্যে ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। -সূত্র: সিএনএন।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘বিশ্বে খাদ্য সংকটের জন্য পুতিনই দায়ী’

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর অবরোধ করে দুই কোটি ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি আটকে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক খাদ্যশস্য রপ্তানি বর্তমানে আটকে আছে। আজভ ও কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে রপ্তানির প্রধান রুটটি অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া।
এদিকে, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাও (ডব্লিউএফপি) একই জেলেনস্কির সুরেই কথা বলছে। সংস্থাটি বলছে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ রাশিয়া ও ২০ শতাংশ ইউক্রেন থেকে হয়ে আসছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা অনুমান করছে, পশ্চিম আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চল রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় শস্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। খাদ্য সংকট নিরসনে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে জুনের মধ্যে তিন কোটি ৮০ লাখের বেশি লোককে আরো দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হুমকিতে ফেলতে পারে। বিশ্বে অপুষ্টি, দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে এখন যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে। কিন্তু এখনই যদি সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে আগামী মাসগুলোতে বিশ্বকে খাদ্য সংকটের বড় ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে হবে।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি রাশিয়া ও বেলারুশের উৎপাদিত সার যদি বিশ্ববাজারে আবার না আসে, তাহলে খাদ্য সংকটের কোনো কার্যকর সমাধান হবে না। খাদ্য রপ্তানি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি রাশিয়া, ইউক্রেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। সমস্যার সমাধানে সব পক্ষের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। হামলা শুরুর পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এরইমধ্যে ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। -সূত্র: সিএনএন।
হককথা/এমউএ