শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি, নিহত ৫

- প্রকাশের সময় : ০১:১০:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
- / ৫২ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় চলমান সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে জারি করা কারফিউয়ের সময় বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ মে) দেশটিতে কারফিউ জারি করা হয়। এদিকে রাজধানী কলম্বোয় সহিংসতায় এক সংসদ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় ২০০ জন।
দ্বীপদেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর আজ মঙ্গলবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জননিরাপত্তা অর্ডিন্যান্সের ১৬ ধারা মেনে যে কারফিউ দেওয়া হয়েছে তা আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তুলে নেওয়ার কথা ছিল। পরে তা বাড়িয়ে আগামীকাল বুধবার (১১ মে) সকাল ৭টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, কারফিউ চলাকালে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বের হওয়া যাবে।
শ্রীলঙ্কার পর্যটন বিভাগ বলেছে, বেড়াতে আসা বিদেশিদের ট্রাভেল ডকুমেন্টকে তাদের কারফিউ পাস হিসেবে গণ্য করা হবে। চলাচলের সময় তাদেরকে পাসপোর্ট বা উড়োজাহাজের টিকিট দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, বিদেশিদের তাদের হোটেলের আশেপাশে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল দেশটির সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাসভবনসহ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। শ্রীলঙ্কার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুরুনেঙ্গালায় মাহিন্দার ব্যক্তিগত বাসভবন আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকরীরা।
একইদিন দেশটির সাবেক মন্ত্রী জর্জস্টোন ফেরনান্দো, এমপি সনাথ নিশান্থা, এমপি রমেশ পাথিরানা, এমপি মাহিপালা হেরাথ, এমপি থিসা কুতিয়ারাচ্চি, এমপি নিমল লাঞ্জা ও কলোম্বর সংলগ্ন উপশহর মোরাতুয়ার মেয়র সমন লাল ফেরনান্দোর বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষোভে সহিংসতায় প্রাণও হারিয়েছেন একজন এমপি। তবে বলা হচ্ছে, তিনি বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ার পর নিজেই নিজের উপর গুলি চালান।
স্বাধীনতার পর থেকে এখনই সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটে রয়েছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিরোধী দলগুলো এই দুর্দশার জন্য প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকেই দায়ী করছেন। -বিবিসি ও ডেইলি স্টার
হককথা/এমউএ