নিউইয়র্ক ০২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মারিওপোলে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪৮ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বন্দর নগরী মারিওপোলে ইউক্রেনের সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই বলেছেন, মারিওপোলে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার অর্থ হলো আলোচনার সমাপ্তি টেনে দেয়া।
এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) থেকে মারিওপোলে আরো কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে রাজধানী কিয়েভের মেয়র শহরের নাগরিকদের রাশিয়ার আরো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একইসাথে যারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের ফিরে না আসার অনুরোধ করেছেন।
মারিওপোলে জীবন রক্ষার সুযোগ হিসেবে ইউক্রেনের সৈন্যদের আজ রবিবারের (১৭ এপ্রিলের) মধ্যে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়েছে রাশিয়া।
দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ করলেই কেবল তাদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। এজন্য তারা কিয়েভের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউক্রেনের সৈন্যদের। ইউক্রেনের যেসব সৈন্য ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা মারিওপোলে এখনো লড়াই করছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
যারা আত্মসমর্পন করবে তাদের বন্দি হিসেবে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আচরণ করা হবে। তবে যারা আত্মসমর্পণ করবে না তাদের বিষয়ে কী হবে সে সম্পর্কে দেশটি তাদের বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করেনি।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের সৈন্যদের শহরটির একটি ছোট এলাকায় ঘিরে রাখা হয়েছে।
ইউক্রেনের এই বড় বন্দর নগরীটির পতন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছয় সপ্তাহ ধরে সেখানে রাশিয়ার হামলা চলছে এবং এতে মারা গেছে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক।
যারা বেঁচে আছেন তারাও কনকনে ঠাণ্ডায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বোমায় শহরটি তছনছ করে দিয়েছে রুশরা। ফলে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পানি ও ঔষধের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ শহরটির আরো উত্তরে সরে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও স্বীকার করেছেন যে শহরটির অল্প অংশই তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। -বিবিসি
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মারিওপোলে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার

প্রকাশের সময় : ১২:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বন্দর নগরী মারিওপোলে ইউক্রেনের সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই বলেছেন, মারিওপোলে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার অর্থ হলো আলোচনার সমাপ্তি টেনে দেয়া।
এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) থেকে মারিওপোলে আরো কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে রাজধানী কিয়েভের মেয়র শহরের নাগরিকদের রাশিয়ার আরো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একইসাথে যারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের ফিরে না আসার অনুরোধ করেছেন।
মারিওপোলে জীবন রক্ষার সুযোগ হিসেবে ইউক্রেনের সৈন্যদের আজ রবিবারের (১৭ এপ্রিলের) মধ্যে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়েছে রাশিয়া।
দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ করলেই কেবল তাদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। এজন্য তারা কিয়েভের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউক্রেনের সৈন্যদের। ইউক্রেনের যেসব সৈন্য ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা মারিওপোলে এখনো লড়াই করছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
যারা আত্মসমর্পন করবে তাদের বন্দি হিসেবে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আচরণ করা হবে। তবে যারা আত্মসমর্পণ করবে না তাদের বিষয়ে কী হবে সে সম্পর্কে দেশটি তাদের বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করেনি।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের সৈন্যদের শহরটির একটি ছোট এলাকায় ঘিরে রাখা হয়েছে।
ইউক্রেনের এই বড় বন্দর নগরীটির পতন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছয় সপ্তাহ ধরে সেখানে রাশিয়ার হামলা চলছে এবং এতে মারা গেছে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক।
যারা বেঁচে আছেন তারাও কনকনে ঠাণ্ডায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বোমায় শহরটি তছনছ করে দিয়েছে রুশরা। ফলে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পানি ও ঔষধের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ শহরটির আরো উত্তরে সরে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও স্বীকার করেছেন যে শহরটির অল্প অংশই তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। -বিবিসি
হককথা/এমউএ