বাইডেনের ফোন কলে সাড়া দেয়নি সৌদি ও আমিরাত

- প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
- / ২৯ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতাদের ফোনালাপ আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে হোয়াইট হাউস।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের জন্য সমর্থন ও তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যখন আন্তর্জাতিক সমর্থন তৈরিতে কাজ করছেন তখন এই খবর সামনে এসেছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সংবাদপত্রটিকে জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান উভয়েই সম্প্রতি বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সাড়া দেননি।
একজন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা সংবাদপত্রটিকে বলেছেন, একটি ফোনকলে কিছু প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তা ঘটেনি। সৌদি আরবের তেল আরো বেশি উত্তোলন নিয়ে কথা বলা হতো।
কিন্তু সৌদি ও আমিরাতরা আরো তেল উত্তোলন করতে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে যে তারা তাদের জোট পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক) এবং রাশিয়ার নেতৃত্বে অন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি গ্রুপের মধ্যে অনুমোদিত একটি উৎপাদন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়ার সাথে জোট ওপেকের শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং সৌদি ও আমিরাতকে মস্কোর আরো কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
প্রিন্স মোহাম্মদ ও শেখ মোহাম্মদ উভয়েই বাইডেনের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করার পরে গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলেন তারা। এরপর তারা উভয়ই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথেও কথা বলেন।
এক সৌদি কর্মকর্তা বলেছেন, যুবরাজ মোহাম্মদকে এই সংঘর্ষে মধ্যস্থতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করেছিল। তিনি এর জবাবে বলেছিলেন যে সৌদি আরব এ কাজ শুরু করছে।
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে তাদের হস্তক্ষেপে আরও বেশি সহায়তা চায় সৌদি আরব। এছাড়া রিয়াদের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সাহায্য ও যুক্তরাষ্ট্রে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আইনি দায়মুক্তি চায় সৌদি আরব। আর এসব দাবির কথা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা।
২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মামলার মুখে পড়েছেন সৌদি যুবরাজ।
নির্বাচনি প্রচারের সময়ে বাইডেন সৌদি আরবকে ‘জাতিচ্যুত’ রাষ্ট্র আখ্যা দেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদি আরবকে মূল্য দিতে হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন বাইডেন।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরবের মতো একই উদ্বেগ রয়েছে আমিরাতের।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, জ্বালানি তেল নিয়ে শিগগিরই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের সাথে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং বাইডেনেরও সৌদি আরব সফরের কোনো পরিকল্পনা নেই। -ওয়াশিংটন পোস্ট
হককথা/এমউএ