ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা যুদ্ধে যোগদানের শামিল, পুতিনের হুঁশিয়ারি

- প্রকাশের সময় : ১১:২৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
- / ১০১ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের আকাশ সীমায় কোনও দেশ নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করলে তা যুদ্ধে যোগদানের শামিল হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গতকাল শনিবার (৫ মার্চ) রুশ টিভিতে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি করেন।
পুতিন বলেন, কোনও দেশ এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিলে সেটা এই সশস্ত্র সংঘাতে যোগদান বলে বিবেচনা করা হবে।
পুতিন আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, এখনও সেই সময় আসেনি।
পশ্চিমা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন যে রুশ সামরিক অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে কম, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী সব কাজ সম্পন্ন করবে। আমি এতে মোটেও সন্দেহ করি না। আর সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে।’
সামরিক দিক থেকে এই নো ফ্লাই জোন হচ্ছে এমন এলাকা যেখানে হামলা চালানো বা পর্যবেক্ষণের জন্য বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয় সামরিক পন্থায়- এই আদেশ লঙ্ঘনকারী বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে হয়।
এদিকে দেশজুড়ে নো ফ্লাই জোন বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ন্যাটো নেতাদের নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি।
রাজধানী কিয়েভ থেকে দেয়া এক বক্তৃতায় জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমাদের মধ্যস্থতায় অনীহা রাশিয়াকে ইউক্রেনের একের পর এক শহর ও গ্রামে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।
অন্যদিকে ন্যাটোর যুক্তি হলো, নো ফ্লাই জোনের ফলে মস্কোর সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়বে। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ন্যাটোর এই মতের সঙ্গে একমত নন। সরাসরি পদক্ষেপ ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি রুশ আগ্রাসনকে উস্কে দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।
জেলেনস্কি বলেন, এই যুক্তিটি যারা দুর্বল ও আত্মবিশ্বাসহীন তাদের মনগড়া। পশ্চিমাদের অবস্থানে বোঝা যায় যে তারা সব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ইউরোপের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করে না।
এর আগে শুক্রবার ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, নো ফ্লাই জোন প্রবর্তন ইউরোপের আরও অনেক দেশকে জড়িত করতে পারে এবং অনেক বেশি দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। -ইউএনবি ও বিবিসি
হককথা/এমউএ