হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন নিপুণ

- প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
- / ২২ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল করার কথা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
এই পদ নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই আজ বুধবার (২ মার্চ) হাইকোর্ট শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এতে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ ফিরে পান জায়েদ খান।
এরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিপুণ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান।
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান বলেন, জনপ্রিয়তাই আমার শত্রুতার কারণ। শিল্পীরাই আমার বিরোধিতা করেছেন। আদালতের রায়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার জন্য অনেক শিল্পী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রোজা রেখে দোয়া করেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়। প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়।
এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠকে শেষে বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
নিপুণের এই বিজয়কে মেনে নিতে নারাজ জায়েদ খান উল্টো দাবি করেছেন, আপিল বোর্ডই অবৈধ। তাই তিনি আইনী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে আসেন। এমনকি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাননি গত দুই মেয়াদের এই সাধারণ সম্পাদক।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে আপিল বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জানাতে বলা হয়।
এর পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
নিপুণের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন। এই সময় পর্যন্ত এই পদের (স্ট্যাটাসকো) কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। খবর সাম্প্র
হককথা/এমউএ