নিপুণ-জায়েদের পদ নিয়ে রুল শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি

- প্রকাশের সময় : ০১:১৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ২২ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে জায়েদ খানের দায়ের করা রিটের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি।
নিপুণের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ দিন ধার্য করেন।আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
শুনানিতে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন বলেন, রিটে কিছু নথিপত্র সংযুক্ত করার জন্য নায়ক জায়েদ খানের পক্ষ থেকে এফিডেভিট আকারে জমা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আমরা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হাতে পেয়েছি। এসব নথিপত্র স্টাডি করার জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়। তখন আদালত এ রুলের শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ ও স্থিতাবস্থা বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়।
এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠকে শেষে বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
নিপুণের এই বিজয়কে মেনে নিতে নারাজ জায়েদ খান উল্টো দাবি করেছেন, আপিল বোর্ডই অবৈধ। তাই তিনি আইনী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে আসেন। এমনকি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাননি গত দুই মেয়াদের এই সাধারণ সম্পাদক।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে আপিল বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জানাতে বলা হয়।
এর পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
নিপুণের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন। এই সময় পর্যন্ত এই পদের (স্ট্যাটাসকো) কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
হককথা/এমউএ