নিউইয়র্ক ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার তীব্র প্রতিবাদ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৭৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে একটি ফ্ল্যাটে পুলিশের অভিযানে কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবককে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শত শত মানুষ গত শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। তারা আমির লক নামে ওই যুবকের হত্যার বিচার দাবি করে।

উত্তেজিত জনতা ‘ন্যায়বিচার না হলে শান্তিও নেই’ স্লোগান দেয়। তিন দিন আগে ২২ বছর বয়সী আমির লককে তার সোফায় বসা অবস্থায় পুলিশ গুলি করে।

হত্যার পরের দিন পুলিশ এ অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আমির লক একটি আগ্নেয়াস্ত্র ধরা অবস্থায় কম্বলের নিচে শরীর মোচড়াচ্ছেন। দৃশ্যত পুলিশের ডাকে তার ঘুম ভেঙেছিল। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই তাকে গুলি করা হয়।

পুলিশ বলেছে যে, তাদের সদস্যরা একটি ‘নো-নক’ অনুসন্ধান পরোয়ানার আওতায় ওই অভিযান চালান। এ ব্যবস্থায় পুলিশ বাসিন্দাকে সতর্ক না করে বা তাদের উপস্থিতির কথা প্রকাশ না করেও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে প্রবেশ করতে পারে। একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে ওয়ারেন্টে লকের নাম ছিল না। পুলিশ স্বীকার করেছে, লক কীভাবে ওই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা-ও স্পষ্ট নয়।

মিনিয়াপোলিসের পুলিশ প্রধান অ্যামেলিয়া হাফম্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, কাউন্টি অ্যাটর্নির অফিস ঘটনাটি পর্যালোচনা করছে। ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মীরা গুলি চালানোর সময় লকের অস্ত্রটি তাদের দিকে তাক করা ছিল।

আমির লকের পরিবারের আইনজীবীরা বলেছেন, তার কোনো অতীত অপরাধ নেই। মৃত্যুর সময় তার কাছে থাকা অস্ত্রটি ছিল বৈধ। মিছিলকারীরা বর্ণবাদী অপরাধের ন্যায়বিচারের দাবিতে এবং কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশি সহিংসতার নিন্দা করে স্লোগান দেয়।

প্রায় দুই বছর আগে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মীর হাতে নিহত হন ওই মিনিয়াপোলিসে। পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের ঘাড়ে নয় মিনিটের বেশি সময় ধরে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। নকল ২০ ডলারের নোট চালানোর চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের সময় ফ্লয়েডকে সেভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী আন্দোলন হয় এবং পুলিশি নির্মমতা ও বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে জোরদার জনমত গড়ে ওঠে।
সূত্র: এএফপি
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার তীব্র প্রতিবাদ

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে একটি ফ্ল্যাটে পুলিশের অভিযানে কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবককে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শত শত মানুষ গত শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। তারা আমির লক নামে ওই যুবকের হত্যার বিচার দাবি করে।

উত্তেজিত জনতা ‘ন্যায়বিচার না হলে শান্তিও নেই’ স্লোগান দেয়। তিন দিন আগে ২২ বছর বয়সী আমির লককে তার সোফায় বসা অবস্থায় পুলিশ গুলি করে।

হত্যার পরের দিন পুলিশ এ অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আমির লক একটি আগ্নেয়াস্ত্র ধরা অবস্থায় কম্বলের নিচে শরীর মোচড়াচ্ছেন। দৃশ্যত পুলিশের ডাকে তার ঘুম ভেঙেছিল। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই তাকে গুলি করা হয়।

পুলিশ বলেছে যে, তাদের সদস্যরা একটি ‘নো-নক’ অনুসন্ধান পরোয়ানার আওতায় ওই অভিযান চালান। এ ব্যবস্থায় পুলিশ বাসিন্দাকে সতর্ক না করে বা তাদের উপস্থিতির কথা প্রকাশ না করেও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে প্রবেশ করতে পারে। একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে ওয়ারেন্টে লকের নাম ছিল না। পুলিশ স্বীকার করেছে, লক কীভাবে ওই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা-ও স্পষ্ট নয়।

মিনিয়াপোলিসের পুলিশ প্রধান অ্যামেলিয়া হাফম্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, কাউন্টি অ্যাটর্নির অফিস ঘটনাটি পর্যালোচনা করছে। ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মীরা গুলি চালানোর সময় লকের অস্ত্রটি তাদের দিকে তাক করা ছিল।

আমির লকের পরিবারের আইনজীবীরা বলেছেন, তার কোনো অতীত অপরাধ নেই। মৃত্যুর সময় তার কাছে থাকা অস্ত্রটি ছিল বৈধ। মিছিলকারীরা বর্ণবাদী অপরাধের ন্যায়বিচারের দাবিতে এবং কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশি সহিংসতার নিন্দা করে স্লোগান দেয়।

প্রায় দুই বছর আগে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মীর হাতে নিহত হন ওই মিনিয়াপোলিসে। পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের ঘাড়ে নয় মিনিটের বেশি সময় ধরে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। নকল ২০ ডলারের নোট চালানোর চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের সময় ফ্লয়েডকে সেভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী আন্দোলন হয় এবং পুলিশি নির্মমতা ও বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে জোরদার জনমত গড়ে ওঠে।
সূত্র: এএফপি
হককথা/এমউএ