কুমিল্লাকে হারিয়ে শীর্ষে বরিশাল

- প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ৩১ বার পঠিত
ক্রীড়া ডেস্ক : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চায়ের দেশ সিলেটে গিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে থেকে। কিন্তু সেখানে গিয়েই যে সেই স্থান ছেড়ে দিতে হবে ফরচুন বরিশালের হাতে তা কি ভেবেছিলো ইমরুল-লিটনরা?
বিপিএলের সিলেট পর্বের শুরুর ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের কাছে ৩২ রানে হেরে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর তাতেই কুমিল্লাকে সরিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বরিশাল।
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্তকে খুব একটা যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি মুস্তাফিজ-নাহিদুল-নারাইনদের নিয়ে গড়া বোলিং লাইনআপ।
বরিশালের হয়ে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন বরিশালের ব্যাটাররা। প্রথম ৩ ওভারেই তুলে ফেলে ৩০ রান। তবে এরপরই হারাতে হয় ক্রিস গেইলকে। এবার বিপিএলে খুব একটা সুবিধা করতে না পারা গেইল এদিনও আউট হয়েছেন ৮ বলে ১০ রান করেই। তিন নাম্বারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত আবারও ব্যর্থ ভালো কিছু করতে। ৪ বলে ১রান করেই বিদায় নেন এই ব্যাটার। তবে বরিশালের আরেক ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ঝড় তুলেছিলেন ঠিকই। ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ছিলো ৪ চার আর ৩ ছয়ের মার।
দলীয় ৬৯ রানে মুনিম যখন আউট হলে ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়। এরপর বাকি সময়টা কুমিল্লার বোলারদের শাসন করেছেন নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পাওয়া সাকিব আর হৃদয় মিলে। হৃদয় কিছুটা ধীরস্থির থাকলেও সাকিব ব্যাট চালিয়েছেন ঝড়ের গতিতেই। আগের দুই ম্যাচেই টানা ম্যাচসেরা হওয়া সাকিব আজও তুলে নিয়েছেন নিজের অর্ধশত রান। ৩৭ বলে ৫০ রান করার পথে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ৪ চার ও ২টি ছয় মারেন।
ব্রাভোর সাথে মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ার পর সাকিব যখন আউট দলের রান তখন ১৭.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৬। সাকিবের পর ডয়ায়িন ব্রাভো ক্রিজে এসে মারমুখী শুরু করলেও ১ ছয়ে ৬ বলে ১০ রান করেই বিদায় নেন মুস্তাফিজুর রহমানের বলে।
শেষমেশ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৩১ রান করে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বরিশালের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৫৫।
১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। দলীয় ৬ রানেই আউট হন ওপেনার ইমরুল কায়েস। লিটন দাসও ফেরেন দ্রুতই। তিনে নামা মমিনুল হক কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় সেই চেষ্টা আর কাজে লাগেনি। ব্যাটিং লাইনআপে শক্তি বাড়াতে মঈন আলীকে উড়িয়ে আনা হলেও আজ হাসেনি এই অলরাউন্ডারের ব্যাটও। ১১ বলে ৬ রান করে পার্ট টাইমার শান্তর বলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা কুমিল্লার একপর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১০৪ রান। অলআউট হওয়ার শঙ্কা যেখানে জেঁকে ধরেছিলো কুমিল্লাকে সেখান থেকেই মুস্তাফিজ আর তানভীর ইসলাম মিলে দলকে নিয়ে যান শেষ বল পর্যন্ত। শেষমেশ ১৪ বলে ২১ রান করেন তানভীর আর মুস্তাফিজ করেন ৫ বলে ৭ রান।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১২৩ রানেই থামতে হয় কুমিল্লাকে। কুমিল্লার হয়ে নাঈম হাসান ৩ টি আর সাকিব ও ব্রাভো নেন ২টি করে উইকেট। ৩২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি বিপিএল পয়েন্ট টেবিলে কুমিল্লার কাছ থেকে শীর্ষস্থানও ছিনিয়ে নিলো বরিশাল। দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে টানা তিন ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতলেন সাকিব আল হাসান।
হককথা/এমউএ