নিউইয়র্ক ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩০০ পৃষ্ঠার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : কক্সবাজারের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় পড়া চলছে। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি)বেলা আড়াইটার কিছু আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এজলাসে বসেন। আসামিদের নাম ডাকার পর ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন বিচারক।

এর আগে বেলা ২টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে ১৫ আসামিকে কারাগার থেকে কক্সবাজারের জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। পরে লাইন ধরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় এজলাস কক্ষে, দাঁড় করানো হয় কাঠগড়ায়।

এ মামলার প্রধান দুই আসামি হলেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকিরা হলেন এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এএসআই সাগর দেব, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা ও রুবেল শর্মা। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

সিনহার বোন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসও তার স্বামীকে নিয়ে বেলা ২টায় উপস্থিত হন আদালতে।

সকালে এ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে দুপুরে নেওয়া হয়। রায়ের দিন থাকায় সকাল থেকেই বাড়ানো হয় আদালতের নিরাপত্তা। সকাল ৯টার আগেই আসামিদের কারও কারও আত্মীয়দের দেখা যায় আদালত প্রাঙ্গণে।

এদিকে রায়ের জন্য আদালত পাড়ায় অপেক্ষা করছে হাজারও মানুষ। টেকনাফে ওসি প্রদীপের কথিত বন্দুকযুদ্ধের কবলে পড়ে সেসব মানুষ স্বজন হারিয়েছেন তাদের একটাই দাবি, ওসি প্রদীপসহ সংশ্লিষ্ট সবার যেন ফাঁসি হয়।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩০০ পৃষ্ঠার

প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : কক্সবাজারের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় পড়া চলছে। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি)বেলা আড়াইটার কিছু আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এজলাসে বসেন। আসামিদের নাম ডাকার পর ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন বিচারক।

এর আগে বেলা ২টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে ১৫ আসামিকে কারাগার থেকে কক্সবাজারের জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। পরে লাইন ধরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় এজলাস কক্ষে, দাঁড় করানো হয় কাঠগড়ায়।

এ মামলার প্রধান দুই আসামি হলেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকিরা হলেন এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এএসআই সাগর দেব, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা ও রুবেল শর্মা। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

সিনহার বোন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসও তার স্বামীকে নিয়ে বেলা ২টায় উপস্থিত হন আদালতে।

সকালে এ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে দুপুরে নেওয়া হয়। রায়ের দিন থাকায় সকাল থেকেই বাড়ানো হয় আদালতের নিরাপত্তা। সকাল ৯টার আগেই আসামিদের কারও কারও আত্মীয়দের দেখা যায় আদালত প্রাঙ্গণে।

এদিকে রায়ের জন্য আদালত পাড়ায় অপেক্ষা করছে হাজারও মানুষ। টেকনাফে ওসি প্রদীপের কথিত বন্দুকযুদ্ধের কবলে পড়ে সেসব মানুষ স্বজন হারিয়েছেন তাদের একটাই দাবি, ওসি প্রদীপসহ সংশ্লিষ্ট সবার যেন ফাঁসি হয়।
হককথা/এমউএ