গণতন্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উন্নতি ঘটছে : জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব
- প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০১৫
- / ৬৩৪ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব জেন এলিয়াসন কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপ-মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের মডেল সদস্য। গণতন্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হচ্ছে।’ এ সময় ‘জাতির পিতা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের অগ্রযাত্রার ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্র ও নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মহাজোটের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া প্রতিনিধি, স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যগণ অংশ নেন।
স্বাগত বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসৃত সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় – এই নীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের সক্রিয় সদস্য। সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত ছয় বছর অর্থনীতিতে গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে সামাজিক খাতগুলোতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আয়-বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার ১৯৯১ সালের ৫৯ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ২০১৯ সালের মধ্যে দেশ অতি দারিদ্র্যমুক্ত হবে। বাংলাদেশ এখন চাল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জিত হয়েছে।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোনার বাংলা গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছে। জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদারিত্বকে সুদৃঢ় করে এ লক্ষ্য অর্জনে দেশ সফল হবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যাক্ত করেন।