নিউইয়র্ক ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধানমন্ত্রী ১ সেকেন্ডে শামীম-আইভীর দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেন : তৈমুর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর মাত্র ১ সেকেন্ড সময় লাগবে।খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

সিটি নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার এমন মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দ্বন্দ্বটা সেরকম না। দ্বন্দ্বটা মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর ১ সেকেন্ড লাগে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো এটা করেন না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এটা করা। আমরা সহযোগিতা করব।

শামীম ওসমান ও আইভীর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিরসনে তিনি কোনও উদ্যোগ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, তারা দুইজনই আমাকে সম্মান করেন। আমি ডাক দিয়ে তাদের বসাতে পারি। যেহেতু আমি অন্য একটি রাজনৈতিক দল করি, সেহেতু আমার জন্য এটা আওতার বাইরে হয়ে যায়। এজন্য আমি এগিয়ে যাই না। নতুবা তাদের নিয়ে বসার অধিকারটা আমি রাখি।

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের একদিন পর গতকাল সেলিনা আইভী মিষ্টি নিয়ে তৈমুর আলমের বাসায় যান। পরে আইভী চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৈমুর।

এসময় তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে ও আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের স্বার্থে কারও বিরুদ্ধে উত্তেজনামূলক কথা বিগত দিন থেকেই বলি না। কারণ বর্তমানে আমি সিনিয়র ব্যক্তি। আমার সবচেয়ে সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয়। আমি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে গেছি, নতুবা নারায়ণগঞ্জে উত্তরপাড়া আর দক্ষিণপাড়ার যে বিরোধ সেটাও থাকতো না। দুইপক্ষকে ডাকলে দুইপক্ষই আমার কথা শুনত, আমি বসাতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই নারায়ণগঞ্জের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক। খেটে খাওয়া মানুষ যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। নারায়ণগঞ্জের মানুষ যেন সিটি করপোরেশনের সেবাটা পায়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নৌকার পক্ষে সমর্থন নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুরের প্রতীক হাতির পক্ষে সমর্থন- এ নিয়ে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বক্তব্য দেন।

পরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শামীম ওসমান নৌকার পক্ষে কাজ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। যদিও পরবর্তীতে আর কোনও কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি।
হককথা / এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী ১ সেকেন্ডে শামীম-আইভীর দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেন : তৈমুর

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর মাত্র ১ সেকেন্ড সময় লাগবে।খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

সিটি নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার এমন মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দ্বন্দ্বটা সেরকম না। দ্বন্দ্বটা মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর ১ সেকেন্ড লাগে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো এটা করেন না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এটা করা। আমরা সহযোগিতা করব।

শামীম ওসমান ও আইভীর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিরসনে তিনি কোনও উদ্যোগ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, তারা দুইজনই আমাকে সম্মান করেন। আমি ডাক দিয়ে তাদের বসাতে পারি। যেহেতু আমি অন্য একটি রাজনৈতিক দল করি, সেহেতু আমার জন্য এটা আওতার বাইরে হয়ে যায়। এজন্য আমি এগিয়ে যাই না। নতুবা তাদের নিয়ে বসার অধিকারটা আমি রাখি।

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের একদিন পর গতকাল সেলিনা আইভী মিষ্টি নিয়ে তৈমুর আলমের বাসায় যান। পরে আইভী চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৈমুর।

এসময় তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে ও আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের স্বার্থে কারও বিরুদ্ধে উত্তেজনামূলক কথা বিগত দিন থেকেই বলি না। কারণ বর্তমানে আমি সিনিয়র ব্যক্তি। আমার সবচেয়ে সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয়। আমি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে গেছি, নতুবা নারায়ণগঞ্জে উত্তরপাড়া আর দক্ষিণপাড়ার যে বিরোধ সেটাও থাকতো না। দুইপক্ষকে ডাকলে দুইপক্ষই আমার কথা শুনত, আমি বসাতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই নারায়ণগঞ্জের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক। খেটে খাওয়া মানুষ যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। নারায়ণগঞ্জের মানুষ যেন সিটি করপোরেশনের সেবাটা পায়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নৌকার পক্ষে সমর্থন নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুরের প্রতীক হাতির পক্ষে সমর্থন- এ নিয়ে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বক্তব্য দেন।

পরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শামীম ওসমান নৌকার পক্ষে কাজ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। যদিও পরবর্তীতে আর কোনও কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি।
হককথা / এমউএ