নিউইয়র্ক ১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রথম নারী বিচারক পাচ্ছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : :কিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো একজন নারী বিচারক পেতে যাচ্ছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরেই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারক হিসেবে আয়েশা মালিকের নাম সুপারিশ করেছিল জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান (জেসিপি)।

দেশটিতে বিচারকদের পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় জেসিপি। কিন্তু কমিশনের চার সদস্য আয়েশার এই পদোন্নতির পক্ষে থাকলেও করলেও বাকি চার সদস্য তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। এবার আয়েশার পক্ষেই ভোট পড়েছে বেশি।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের প্রথম নারী বিচারক হওয়া থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছেন তিনি।

৫৫ বছর বয়সী আয়েশাকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক করার পক্ষে গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোট দেয় ৯ সদস্যের জেসিপি। এবার তার পক্ষে ভোট দেন পাঁচ সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড আইন স্কুলের স্নাতক আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারক। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে কোনও নির্বাচনী প্রার্থীর সম্পত্তি ঘোষণা অন্যতম।

গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর জেসিপির বৈঠকে তার নাম নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ফের বৈঠকে বসেছিল জেসিপি। সেই বৈঠকেই আয়েশার নাম সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারক হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো।

জেসিপির সুপারিশ এর পরে পার্লামেন্টের কমিটির কাছে যাবে। ওই কমিটির সিদ্ধান্তই এ বিষয়ে চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞেরা জানান, সাধারণত জেসিপির সুপারিশে আপত্তি করে না এই কমিটি।

সুপ্রিম কোর্টে আয়েশা মালিক ২০৩১ সালের জুন মাস পর্যন্ত বহাল থাকবেন। অবসরের আগে তিনিই হবেন পাক সর্বোচ্চ আদালতের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারক। সেই হিসেবে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও পদোন্নতি হতে পারে তার। আর সেটা হলে আয়েশা মালিকই হবেন দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি।

তবে এই নিয়োগ নিয়ে দেশে অসন্তোষও রয়েছে। পাক সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফ আফ্রিদি জেসিপির এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের অন্তত পাঁচটি হাইকোর্টে আয়েশার থেকে প্রবীণ বিচারকরা রয়েছেন যারা সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারক হওয়ার যোগ্য।

দেশটির আইনজীবীদের কয়েকটি সংগঠন বলছে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের লক্ষ্যে বিচারক মনোনয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরির জন্য তারা দাবি জানিয়েছে আসছে। কিন্তু তাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে তারা ধর্মঘট ও আদালতের কার্যক্রম বয়কট করার হুমকি দিয়েছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রথম নারী বিচারক পাচ্ছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : :কিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো একজন নারী বিচারক পেতে যাচ্ছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরেই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারক হিসেবে আয়েশা মালিকের নাম সুপারিশ করেছিল জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান (জেসিপি)।

দেশটিতে বিচারকদের পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় জেসিপি। কিন্তু কমিশনের চার সদস্য আয়েশার এই পদোন্নতির পক্ষে থাকলেও করলেও বাকি চার সদস্য তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। এবার আয়েশার পক্ষেই ভোট পড়েছে বেশি।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের প্রথম নারী বিচারক হওয়া থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছেন তিনি।

৫৫ বছর বয়সী আয়েশাকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক করার পক্ষে গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোট দেয় ৯ সদস্যের জেসিপি। এবার তার পক্ষে ভোট দেন পাঁচ সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড আইন স্কুলের স্নাতক আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারক। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে কোনও নির্বাচনী প্রার্থীর সম্পত্তি ঘোষণা অন্যতম।

গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর জেসিপির বৈঠকে তার নাম নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ফের বৈঠকে বসেছিল জেসিপি। সেই বৈঠকেই আয়েশার নাম সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারক হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো।

জেসিপির সুপারিশ এর পরে পার্লামেন্টের কমিটির কাছে যাবে। ওই কমিটির সিদ্ধান্তই এ বিষয়ে চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞেরা জানান, সাধারণত জেসিপির সুপারিশে আপত্তি করে না এই কমিটি।

সুপ্রিম কোর্টে আয়েশা মালিক ২০৩১ সালের জুন মাস পর্যন্ত বহাল থাকবেন। অবসরের আগে তিনিই হবেন পাক সর্বোচ্চ আদালতের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারক। সেই হিসেবে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও পদোন্নতি হতে পারে তার। আর সেটা হলে আয়েশা মালিকই হবেন দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি।

তবে এই নিয়োগ নিয়ে দেশে অসন্তোষও রয়েছে। পাক সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফ আফ্রিদি জেসিপির এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের অন্তত পাঁচটি হাইকোর্টে আয়েশার থেকে প্রবীণ বিচারকরা রয়েছেন যারা সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারক হওয়ার যোগ্য।

দেশটির আইনজীবীদের কয়েকটি সংগঠন বলছে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের লক্ষ্যে বিচারক মনোনয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরির জন্য তারা দাবি জানিয়েছে আসছে। কিন্তু তাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে তারা ধর্মঘট ও আদালতের কার্যক্রম বয়কট করার হুমকি দিয়েছে।