নিউইয়র্ক ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিক হত্যা আতঙ্কের বিষয়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে দ্বন্দ্ব সংঘাতে বিধ্বস্ত কায়া রাজ্যে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা অন্তত ৩৫ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে আতঙ্কের বিষয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

কায়া প্রদেশের ওই ঘটনায় যে কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর একটি গাড়িও। এই ঘটনার পর নিখোঁজ রয়েছেন সংস্থাটির দুই কর্মী। হামলার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

রোববার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেন, আমি এই মর্মান্তিক ঘটনা এবং দেশ জুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব হামলার নিন্দা জানাচ্ছি, এসব হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে নিষিদ্ধ।

ঘটনাটির বিস্তারিত এবং স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করে তিনি বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশটির সব সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন।

মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তরফ থেকেও এক বিবৃতি দিয়ে ওই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, কায়া প্রদেশে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন নিহত হওয়ার বর্বর হামলার ঘটনায় হতভম্ব হয়েছে দূতাবাস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়েছ, মিয়ানমারের মানুষের বিরুদ্ধে চলমান সহিংস অভিযানের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবো।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিক হত্যা আতঙ্কের বিষয়

প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে দ্বন্দ্ব সংঘাতে বিধ্বস্ত কায়া রাজ্যে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা অন্তত ৩৫ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে আতঙ্কের বিষয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

কায়া প্রদেশের ওই ঘটনায় যে কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর একটি গাড়িও। এই ঘটনার পর নিখোঁজ রয়েছেন সংস্থাটির দুই কর্মী। হামলার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

রোববার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেন, আমি এই মর্মান্তিক ঘটনা এবং দেশ জুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব হামলার নিন্দা জানাচ্ছি, এসব হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে নিষিদ্ধ।

ঘটনাটির বিস্তারিত এবং স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করে তিনি বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশটির সব সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন।

মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তরফ থেকেও এক বিবৃতি দিয়ে ওই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, কায়া প্রদেশে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন নিহত হওয়ার বর্বর হামলার ঘটনায় হতভম্ব হয়েছে দূতাবাস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়েছ, মিয়ানমারের মানুষের বিরুদ্ধে চলমান সহিংস অভিযানের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবো।