নিউইয়র্ক ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটা টান আছে: প্রতিমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৭৩ বার পঠিত

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, স্বতন্ত্র ইবতাদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার অবশ্যই এগিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ নামাজ পরেন প্রতিদিন। মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি তার একটা টানও রয়েছে। বাংলা-ইংরেজি ভাষার সাথে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন সমান তালে এগিয়ে আসতে পারে সেটা তিনি চান। খবর বাংলাদেশ জার্নাল

রোববার দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে স্বতন্ত্র ইবতাদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোটের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যদি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে এক কাতারে নিয়ে আসতে না পারি, তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সাল থেকে আপনাদের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমি জানি আপনাদের কষ্ট, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বেতন পান, একই মর্যাদার হলেও সেটি আপনারা পান না।

তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেনের কাছ থেকে জানতে পারলাম আপনাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ৩১১ কোটি টাকার একটি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিলো। কিন্তু একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে, আপনাদের অনেক মাদ্রাসার রেজিস্ট্রি করা আছে, মোবাইল নম্বর দেয়া আছে, কিন্তু মাঠে সে মাদ্রাসাগুলো নেই।

তিনি আরও বলেন, একটি মাদ্রাসা কিংবা স্কুল করতে হলে নিয়ম হলো, শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে করতে হবে। কারণ যে এলাকার জন্য একটি প্রাইমেরি স্কুল বা মাদ্রাসা খোলা হবে, মাদ্রাসা সেখানে দরকার আছে কিনা ওই অধিদপ্তর তা বলতে পারবে।

জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা, তিনি কখনো চাইবেন না কোনো লোক বা প্রতিষ্ঠান টাকার অভাবে ভোগেন। প্রধানমন্ত্রী সবসময় চান দেশের উন্নয়ন করতে হলে সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আগের কোনো সরকার আপনাদের কোনো দাবি দাওয়া কি মেনেছিলো? কিন্তু এই সরকারই কিন্তু আপনাদের দাবি-দাওয়া কিছুটা মেনেছেন, বেতন বাড়িয়েছেন এবং শিক্ষকদের বেতনের তারতম্যের বিষয়ে সরকার অকিবহাল রয়েছেন।

স্বতন্ত্র ইবতাদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের সমন্বয়কারী আলহাজ্ব হাফেজ কাজী ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, স্বতন্ত্র ইবতাদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের মুখপাত্র জয়নাল আবেদীন জিহাদী, শামছুল আলম প্রমুখ।

বিভাগীয় শিক্ষক সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মুহাঃ বশির উল্লাহ আতাহারীর উপস্থাপনায় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ফরাজির সঞ্চালনায় এ সময় আরএ উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বরিশাল বিভাগের আওতাধীন সকল জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা প্রতিনিধিরা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটা টান আছে: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, স্বতন্ত্র ইবতাদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার অবশ্যই এগিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ নামাজ পরেন প্রতিদিন। মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি তার একটা টানও রয়েছে। বাংলা-ইংরেজি ভাষার সাথে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন সমান তালে এগিয়ে আসতে পারে সেটা তিনি চান। খবর বাংলাদেশ জার্নাল

রোববার দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে স্বতন্ত্র ইবতাদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোটের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যদি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে এক কাতারে নিয়ে আসতে না পারি, তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সাল থেকে আপনাদের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমি জানি আপনাদের কষ্ট, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বেতন পান, একই মর্যাদার হলেও সেটি আপনারা পান না।

তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেনের কাছ থেকে জানতে পারলাম আপনাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ৩১১ কোটি টাকার একটি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিলো। কিন্তু একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে, আপনাদের অনেক মাদ্রাসার রেজিস্ট্রি করা আছে, মোবাইল নম্বর দেয়া আছে, কিন্তু মাঠে সে মাদ্রাসাগুলো নেই।

তিনি আরও বলেন, একটি মাদ্রাসা কিংবা স্কুল করতে হলে নিয়ম হলো, শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে করতে হবে। কারণ যে এলাকার জন্য একটি প্রাইমেরি স্কুল বা মাদ্রাসা খোলা হবে, মাদ্রাসা সেখানে দরকার আছে কিনা ওই অধিদপ্তর তা বলতে পারবে।

জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা, তিনি কখনো চাইবেন না কোনো লোক বা প্রতিষ্ঠান টাকার অভাবে ভোগেন। প্রধানমন্ত্রী সবসময় চান দেশের উন্নয়ন করতে হলে সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আগের কোনো সরকার আপনাদের কোনো দাবি দাওয়া কি মেনেছিলো? কিন্তু এই সরকারই কিন্তু আপনাদের দাবি-দাওয়া কিছুটা মেনেছেন, বেতন বাড়িয়েছেন এবং শিক্ষকদের বেতনের তারতম্যের বিষয়ে সরকার অকিবহাল রয়েছেন।

স্বতন্ত্র ইবতাদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের সমন্বয়কারী আলহাজ্ব হাফেজ কাজী ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, স্বতন্ত্র ইবতাদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের মুখপাত্র জয়নাল আবেদীন জিহাদী, শামছুল আলম প্রমুখ।

বিভাগীয় শিক্ষক সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মুহাঃ বশির উল্লাহ আতাহারীর উপস্থাপনায় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ফরাজির সঞ্চালনায় এ সময় আরএ উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বরিশাল বিভাগের আওতাধীন সকল জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা প্রতিনিধিরা।