নিউইয়র্ক ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘রাত করে ফিরলে মার তো খাবেই’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৫৮ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : সমাজ এখনও মেয়েদের ভুল বোঝাচ্ছে। ‘মেয়েদের মানিয়ে নিতেই হয়’। কিংবা ‘রাত করে বাড়ি ফিরলে তো মার খাবেই!’ অথবা ‘স্বামীর রাগই তো ভালবাসা।’ ‘কী, গায়ে হাত তোলে? একটা থাপ্পড়ে কী হয়! টাকা-পয়সা তো দেয়।’খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

কয়েকটি প্রচলিত কথা। যে কথাগুলো আজও সব অর্থে মেয়েদের ক্ষেত্রে সত্যি। আর এসব নিয়েই মেয়েদের হয়ে মুখ খুললেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা।

তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ওই কথাগুলো যেন মেয়েদের জীবনগাথা। শহর থেকে শহরতলি হয়ে দেশ বা বিদেশ, একথাগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মেয়েদের শেখানো হয়। একুশ শতকেও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি।

বরং জন্ম থেকে শুনতে শুনতে কথাগুলো যেন ‘অভ্যাস’ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী জীবনে। হাজার নিয়ম, নীতির বেড়াজালে বন্দি নারী যখনই ছটফটিয়ে উঠে নতুন কিছু শুনতে চায় এই কথাগুলো যেন আরও বেশি করে শোনানো হয় তাকে। যাতে নিয়ম-বিরুদ্ধ, নীতি-বিরুদ্ধ কোনও কাজ, কোনও পদক্ষেপ সে না নিয়ে ফেলে।

স্বামী বা পুরুষ সঙ্গীর রাগ বড্ড বেশি, তাই সে রেগে গিয়ে হাত তোলে। তাই স্ত্রীকে বা সেই মেয়েকেই সাবধানে থাকতে হবে, সেই পুরুষ যাতে রেগে না যান। এই সমীকরণে অভ্যস্থ হয়েও সমাজে পারিবারিক সহিংসতা কি কমেছে, বরং উল্টোটাই হচ্ছে। কারণ, শুধু সমাজ বা পুরুষ নয়, পিতৃতন্ত্রের দাপটে এই কথাগুলো এক নারী অবলীলায় আর এক নারীকেই বলতে থাকে।

একুশ শতকেও কি এই ধারা বদলাবে না? অবশ্যই বদলাবে। তারই ডাক দিয়েছেন মিথিলা। যুগ যুগ ধরে বলে আসা কথাগুলোর সঙ্গেই ছিল তার জোরাল প্রতিবাদ।

তার দাবি, ‘এই সব কথা আমাদের সমাজে পারিবারিক নির্যাতনকে আরও যেন স্বাভাবিক করে তুলছে। আমি এই ধরনের সব কথা বর্জন করছি।’ একইভাবে তিনি সব মেয়ে ও সমাজের সবাইকে পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন।

মিথিলার এই প্রতিবাদী রূপ অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও তিনি নারী-শিশু পাচার এবং ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটারে অশ্লীল কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘রাত করে ফিরলে মার তো খাবেই’

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : সমাজ এখনও মেয়েদের ভুল বোঝাচ্ছে। ‘মেয়েদের মানিয়ে নিতেই হয়’। কিংবা ‘রাত করে বাড়ি ফিরলে তো মার খাবেই!’ অথবা ‘স্বামীর রাগই তো ভালবাসা।’ ‘কী, গায়ে হাত তোলে? একটা থাপ্পড়ে কী হয়! টাকা-পয়সা তো দেয়।’খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

কয়েকটি প্রচলিত কথা। যে কথাগুলো আজও সব অর্থে মেয়েদের ক্ষেত্রে সত্যি। আর এসব নিয়েই মেয়েদের হয়ে মুখ খুললেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা।

তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ওই কথাগুলো যেন মেয়েদের জীবনগাথা। শহর থেকে শহরতলি হয়ে দেশ বা বিদেশ, একথাগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মেয়েদের শেখানো হয়। একুশ শতকেও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি।

বরং জন্ম থেকে শুনতে শুনতে কথাগুলো যেন ‘অভ্যাস’ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী জীবনে। হাজার নিয়ম, নীতির বেড়াজালে বন্দি নারী যখনই ছটফটিয়ে উঠে নতুন কিছু শুনতে চায় এই কথাগুলো যেন আরও বেশি করে শোনানো হয় তাকে। যাতে নিয়ম-বিরুদ্ধ, নীতি-বিরুদ্ধ কোনও কাজ, কোনও পদক্ষেপ সে না নিয়ে ফেলে।

স্বামী বা পুরুষ সঙ্গীর রাগ বড্ড বেশি, তাই সে রেগে গিয়ে হাত তোলে। তাই স্ত্রীকে বা সেই মেয়েকেই সাবধানে থাকতে হবে, সেই পুরুষ যাতে রেগে না যান। এই সমীকরণে অভ্যস্থ হয়েও সমাজে পারিবারিক সহিংসতা কি কমেছে, বরং উল্টোটাই হচ্ছে। কারণ, শুধু সমাজ বা পুরুষ নয়, পিতৃতন্ত্রের দাপটে এই কথাগুলো এক নারী অবলীলায় আর এক নারীকেই বলতে থাকে।

একুশ শতকেও কি এই ধারা বদলাবে না? অবশ্যই বদলাবে। তারই ডাক দিয়েছেন মিথিলা। যুগ যুগ ধরে বলে আসা কথাগুলোর সঙ্গেই ছিল তার জোরাল প্রতিবাদ।

তার দাবি, ‘এই সব কথা আমাদের সমাজে পারিবারিক নির্যাতনকে আরও যেন স্বাভাবিক করে তুলছে। আমি এই ধরনের সব কথা বর্জন করছি।’ একইভাবে তিনি সব মেয়ে ও সমাজের সবাইকে পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন।

মিথিলার এই প্রতিবাদী রূপ অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও তিনি নারী-শিশু পাচার এবং ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটারে অশ্লীল কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।