নিউইয়র্ক ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বুয়েটের শিক্ষক নিখিলকে অব্যাহতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
  • / ৮০ বার পঠিত

রাষ্ট্রায়াত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নাম এসেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের। এরই জেরে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের বিভাগীয় প্রদান ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা নিখিল রঞ্জন ধরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বুয়েটের সিনিয়র পাঁচজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিধিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই শিক্ষক।

বর্তমানে নিখিল রঞ্জন ধরের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব ড. ফেরদৌস কায়সারকে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি আহ্ছা‌নউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে হওয়া সরকারি ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বক্তব্যে নাম আসে বুয়েটের এই শিক্ষকের। যিনি আহ্ছা‌নউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসালটেন্ট হিসেবে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আহ্ছা‌নউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ও দুজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকা একাধিক ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বুয়েটের শিক্ষক নিখিলকে অব্যাহতি

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

রাষ্ট্রায়াত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নাম এসেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের। এরই জেরে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের বিভাগীয় প্রদান ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা নিখিল রঞ্জন ধরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বুয়েটের সিনিয়র পাঁচজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিধিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই শিক্ষক।

বর্তমানে নিখিল রঞ্জন ধরের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব ড. ফেরদৌস কায়সারকে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি আহ্ছা‌নউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে হওয়া সরকারি ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বক্তব্যে নাম আসে বুয়েটের এই শিক্ষকের। যিনি আহ্ছা‌নউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসালটেন্ট হিসেবে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আহ্ছা‌নউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ও দুজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকা একাধিক ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে।