টিগ্রেতে অনাহারে গত কয়েকদিনে দেড়শ শিশুর মৃত্যু

- প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
- / ১০৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ার টিগ্রের হাসপাতালে অনাহারে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত কয়েকদিনে অন্তত দেড়শ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং সবারই বয়স পাঁচ বছরের কম বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
এদিকে কারণ না দেখিয়ে জাতিসংঘের একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ইথিওপিয়ার প্রশাসন। দেশটিতে ২ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে গ্রেফতারের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতিসংঘ গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে আছে ইথিওপিয়া। টিগ্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে লাগাতার লড়াই হয়েছে ইথিওপিয়ার সেনার। টিগ্রে আগেই দখল করে নিয়েছিল টিপিএলএফ। এখন তারা রাজধানীর কাছে পৌঁছে গেছে। যার জেরে ইথিওপিয়াতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার।
সম্প্রতি জাতিসংঘ ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা উদ্বেগজনক। বলা হয়েছে, কোনও কারণ না দেখিয়ে হাজারেরও বেশি টিগ্রের মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৩৫ জন স্থানীয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে জাতিসংঘে কাজ করা একাধিক গাড়ির চালককে। কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা বলা হয়নি।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, কমপক্ষে এক হাজার জনকে আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কিছু প্রতিবেদনে গ্রেফতারের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে জানানো হয়।’
ইথিওপিয়ার আইন অনুযায়ী, যতদিন জরুরি অবস্থা থাকবে, ততদিন কারণ না দেখিয়ে সকলকে জেলে ভরে রাখা যাবে। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। টিগ্রেতে কার্যত অর্থনৈতিক ব্লকেড তৈরি করা হয়েছে। ফলে অনাহারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত দেড়শ শিশুর মৃত্যু হয়েছে টিগ্রের হাসপাতালে। সবারই বয়স পাঁচ বছরের কম। অনাহারে আরো বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি। স্থানীয় সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, দেড়শর অনেক বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে গত কিছুদিনে।
টিপিএলএফ ও ইথিওপিয়ার সরকার এখনো পর্যন্ত আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি। তবে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো তাদের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোও একই অনুরোধ করেছে।
গত এক বছরে কয়েক লাখ মানুষ টিগ্রে ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছেন। যুদ্ধে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে অনাহার এখন টিগ্রের সবচেয়ে বড় সমস্যা। -ডয়চে ভেলে ও এএফপি