নিউইয়র্ক ০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছালেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০১৫
  • / ৫৭০ বার পঠিত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেফতারি ও তার কার্যালয়ে তল্লাশির পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌঁছালেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বুধবার (১১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় সংসদে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘কোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে দেশের যে কোনো নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে কোর্টে আত্মসমর্পণ করা। আর দায়িত্বশীল নাগরিক অতি দ্রুততার সাথে কোর্টের আদেশ মান্য করবেন এটাই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু খালেদা জিয়া কোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আর আইনকে সমুন্নত রাখা সরকারের দায়িত্ব।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখন তিনি জঙ্গি নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা ও গুলশান কার্যালয় তল্লাশির জন্য আদালতের নির্দেশ গুলশান থানায় পৌঁছানো মাত্রই পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে বহু আগেই জনগণ তাকে (খালেদা) গুলশান কার্যালয় থেকে বের করে দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তার চিন্তও নেই, দাবিও নেই। বিএনপি-জামায়াত নেত্রী যে দাবি-দাওয়া দিয়েছেন তা সবই তার নিজের ও তার পুত্রের জন্য। তাই জনগণ এখন তাকে একেবারেই সমর্থন করে না। শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত ৬৭ বার খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির তারিখ থাকলেও তিনি মাত্র ৭ বার আদালতে গেছেন। শেষ যে বার গেছেন, সে বার তার নেতা-কর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাদের তান্ডবে সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসও আহত হয়েছেন। এরপর নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল- ‘বাংলাদেশে এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। সপ্তাহে দুবার হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। আমি বলবো, এভাবে হরতাল না দিয়ে টানা ২০১৯ সাল পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করছে না কেনো বিএনপি?’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন প্রশ্ন আমাকে না করে বিএনপির নেত্রীকে করলেই ভালো হতো। আমিও বলবো, এভাবে সপ্তাহে দুই দিন করে হরতালের আহ্বান না করে টানা হরতাল ঘোষণা দিলেই তো কষ্ট কমে যায়।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছালেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেফতারি ও তার কার্যালয়ে তল্লাশির পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌঁছালেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বুধবার (১১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় সংসদে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘কোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে দেশের যে কোনো নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে কোর্টে আত্মসমর্পণ করা। আর দায়িত্বশীল নাগরিক অতি দ্রুততার সাথে কোর্টের আদেশ মান্য করবেন এটাই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু খালেদা জিয়া কোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আর আইনকে সমুন্নত রাখা সরকারের দায়িত্ব।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখন তিনি জঙ্গি নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা ও গুলশান কার্যালয় তল্লাশির জন্য আদালতের নির্দেশ গুলশান থানায় পৌঁছানো মাত্রই পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে বহু আগেই জনগণ তাকে (খালেদা) গুলশান কার্যালয় থেকে বের করে দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তার চিন্তও নেই, দাবিও নেই। বিএনপি-জামায়াত নেত্রী যে দাবি-দাওয়া দিয়েছেন তা সবই তার নিজের ও তার পুত্রের জন্য। তাই জনগণ এখন তাকে একেবারেই সমর্থন করে না। শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত ৬৭ বার খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির তারিখ থাকলেও তিনি মাত্র ৭ বার আদালতে গেছেন। শেষ যে বার গেছেন, সে বার তার নেতা-কর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাদের তান্ডবে সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসও আহত হয়েছেন। এরপর নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল- ‘বাংলাদেশে এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। সপ্তাহে দুবার হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। আমি বলবো, এভাবে হরতাল না দিয়ে টানা ২০১৯ সাল পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করছে না কেনো বিএনপি?’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন প্রশ্ন আমাকে না করে বিএনপির নেত্রীকে করলেই ভালো হতো। আমিও বলবো, এভাবে সপ্তাহে দুই দিন করে হরতালের আহ্বান না করে টানা হরতাল ঘোষণা দিলেই তো কষ্ট কমে যায়।’