নিউইয়র্ক ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জলবায়ু নিয়ে হঠাৎ একমত চীন ও যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪০ বার পঠিত

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী দশকজুড়ে জলবায়ু সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে গতকাল বুধবার (১০ নভেম্বর) হঠাৎই এমন ঘোষণা আসে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করা এই দুই দেশ এবার যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তারা বলেছে, উভয় পক্ষই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সীমাবদ্ধ থাকার লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো ব্যবধানগুলো ধাপে ধাপে কমিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করা মানবজাতিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে। শিল্প যুগের আগের তাপমাত্রার সাথে তুলনা করে এই মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে।

২০১৫ সালে প্যারিসে বিশ্ব নেতারা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাসের মাধ্যমে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতোটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সামনের সপ্তাহে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই দুই দেশকে বিভিন্ন বিষয়ে বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়।

গতকালের এই বিরল যৌথ ঘোষণায়, মিথেন নির্গমন, ক্লিন এনার্জিতে রূপান্তর ও ডি-কার্বনাইজেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। কিন্তু চীন এই সপ্তাহের শুরুতে ক্ষতিকারক গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেনের নির্গমন কমিয়ে আনার বিষয়ে চুক্তি করতে অস্বীকার করে।

ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে আরও প্রায় ১০০টি দেশ। চীন এর পরিবর্তে মিথেনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণে একটি জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জি’র পরে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু দূত জন কেরি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নানা বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, তবে জলবায়ু ইস্যুতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করাই একমাত্র উপায়। প্রতিটি পদক্ষেপই এখন গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সামনে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জলবায়ু নিয়ে হঠাৎ একমত চীন ও যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০১:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী দশকজুড়ে জলবায়ু সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে গতকাল বুধবার (১০ নভেম্বর) হঠাৎই এমন ঘোষণা আসে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করা এই দুই দেশ এবার যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তারা বলেছে, উভয় পক্ষই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সীমাবদ্ধ থাকার লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো ব্যবধানগুলো ধাপে ধাপে কমিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করা মানবজাতিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে। শিল্প যুগের আগের তাপমাত্রার সাথে তুলনা করে এই মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে।

২০১৫ সালে প্যারিসে বিশ্ব নেতারা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাসের মাধ্যমে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতোটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সামনের সপ্তাহে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই দুই দেশকে বিভিন্ন বিষয়ে বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়।

গতকালের এই বিরল যৌথ ঘোষণায়, মিথেন নির্গমন, ক্লিন এনার্জিতে রূপান্তর ও ডি-কার্বনাইজেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। কিন্তু চীন এই সপ্তাহের শুরুতে ক্ষতিকারক গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেনের নির্গমন কমিয়ে আনার বিষয়ে চুক্তি করতে অস্বীকার করে।

ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে আরও প্রায় ১০০টি দেশ। চীন এর পরিবর্তে মিথেনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণে একটি জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জি’র পরে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু দূত জন কেরি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নানা বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, তবে জলবায়ু ইস্যুতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করাই একমাত্র উপায়। প্রতিটি পদক্ষেপই এখন গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সামনে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।