নিউইয়র্ক ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতারের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • / ৫২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: সিনিয়র রিপোর্টার ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে দেশে-বিদেশে খ্যাতিমান সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের খবর স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ওয়াশিংটন পোস্ট, এপি, আল জাজিরা, বিবিসি ও ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই সাংবাদিকের প্রতি হেনস্তা ও হয়রানিমূলক গ্রেফতারের খবরটি।
মঙ্গলবার (১৮ মে) শাহবাগ থানা থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলা হয় রোজিনা ইসলামকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দায়ের করা এই মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে সোমবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে শাববাগ থানায় মামলা রুজু করা হয় রোজিনার নামে। সোমবার রাত থেকেই রোজিনার আটকের খবর আসতে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে রোজিনার গ্রেফতারের খবরের শিরোনাম ছিল `Bangladesh arrests journalist known for unearthing graft‘ অর্থাৎ ‘দুর্নীতি অনিয়মের (সংবাদের) জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। ওয়াশিংটন পোস্টে রোজিনাকে আটকের আইনকে ‘ঔপনিবেশিক যুগের আইন’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সংবাদের ভূমিকায় লেখা হয়, দাপ্তরিক দুর্নীতির শক্তিশালী প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত বাংলাদেশের একজন সাংবাদিককে ঔপনিবেশিক যুগের সরকারী গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা একটি সম্ভাব্য মৃতদন্ড পর্যন্ত সাজা বহন করে। পাশাপাশি ভারতের সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশ: সাংবাদিক রোজিনাকে রিমান্ড নেওয়ার পুলিশের আবেদন খারিজ’।
বিবিস বাংলা প্রতিবেদন করেছে ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম : রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হলো’ শিরোনামে। এদিকে আল জাজিরা প্রতিবেদন করেছে ‘Rozina Islam: Bangladesh arrests journalist for COVID reporting’ শিরোনামে।
ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপিও তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করে, ‘দুর্নীতি অনিয়মের (সংবাদের) জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্ম ‘কমিটি ফর ট্যু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ও প্রতিবেদন করে রোজিনার গ্রেফতারের বিষয়ে। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- ‘Bangladeshi authorities arrest journalist Rozina Islam under Official Secrets Act’ অর্থাৎ বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। প্রতিবেদনে রোজিনার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবিও করেছে সংগঠনটি। দৈনিক ইনকিলাব)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতারের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

হককথা ডেস্ক: সিনিয়র রিপোর্টার ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে দেশে-বিদেশে খ্যাতিমান সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের খবর স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ওয়াশিংটন পোস্ট, এপি, আল জাজিরা, বিবিসি ও ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই সাংবাদিকের প্রতি হেনস্তা ও হয়রানিমূলক গ্রেফতারের খবরটি।
মঙ্গলবার (১৮ মে) শাহবাগ থানা থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলা হয় রোজিনা ইসলামকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দায়ের করা এই মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে সোমবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে শাববাগ থানায় মামলা রুজু করা হয় রোজিনার নামে। সোমবার রাত থেকেই রোজিনার আটকের খবর আসতে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে রোজিনার গ্রেফতারের খবরের শিরোনাম ছিল `Bangladesh arrests journalist known for unearthing graft‘ অর্থাৎ ‘দুর্নীতি অনিয়মের (সংবাদের) জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। ওয়াশিংটন পোস্টে রোজিনাকে আটকের আইনকে ‘ঔপনিবেশিক যুগের আইন’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সংবাদের ভূমিকায় লেখা হয়, দাপ্তরিক দুর্নীতির শক্তিশালী প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত বাংলাদেশের একজন সাংবাদিককে ঔপনিবেশিক যুগের সরকারী গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা একটি সম্ভাব্য মৃতদন্ড পর্যন্ত সাজা বহন করে। পাশাপাশি ভারতের সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশ: সাংবাদিক রোজিনাকে রিমান্ড নেওয়ার পুলিশের আবেদন খারিজ’।
বিবিস বাংলা প্রতিবেদন করেছে ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম : রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হলো’ শিরোনামে। এদিকে আল জাজিরা প্রতিবেদন করেছে ‘Rozina Islam: Bangladesh arrests journalist for COVID reporting’ শিরোনামে।
ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপিও তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করে, ‘দুর্নীতি অনিয়মের (সংবাদের) জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্ম ‘কমিটি ফর ট্যু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ও প্রতিবেদন করে রোজিনার গ্রেফতারের বিষয়ে। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- ‘Bangladeshi authorities arrest journalist Rozina Islam under Official Secrets Act’ অর্থাৎ বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। প্রতিবেদনে রোজিনার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবিও করেছে সংগঠনটি। দৈনিক ইনকিলাব)