সংস্কৃতি অঙ্গণের ৬ ব্যক্তিত্ব একুশে পদক পেলেন

- প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
- / ৫০ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক: এ বছর শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখায় একুশে পদক পেলেন ৬ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। গত ৪ ফেব্রæয়ারী বৃহ¯পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাম ঘোষণা করা হয়। ৬ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন, সংগীতে পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা, অভিনয়-নির্দেশনায় আহমেদ ইকবাল হায়দার, নির্মাণে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী এবং আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক প্রতিক্রিয়ায় রাইসুল ইসলাম আসাদ বলেন, ‘নি:সন্দেহে ভীষণ ভালো লাগছে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বিশাল ব্যাপার। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে যারা মনেপ্রাণে সম্পৃক্ত তাদের ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথযাথ সম্মান দিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এটাও ভালো লাগার বিষয়। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছি, তাতে আমার এবং আমার পরিবারে আনন্দ বইছে। একুশে পদকপ্রাপ্তিতে আমি ভীষণ খুশি।’
সুজাতা আজিম: তন্দ্রা মজুমদার, এখন লোকে ‘সুজাতা আজিম’ নামেই চেনে। তিনি কুষ্টিয়ার থানাপাড়া জমিদার বাড়ির মেয়ে। রূপালি পর্দার প্রথম ‘রূপবান’ তিনি। ১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পরিচিত। আছে আরও অনেক স্মরণীয় চরিত্র। সংসারও করেছেন এক নায়কের সঙ্গে। অভিনেতা আজিমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৮ সালের পর প্রায় একযুগ অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।
রাইসুল ইসলাম আসাদ: আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম। যিনি রাইসুল ইসলাম আসাদ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালের ১৫ জুন তার জন্ম। তিনি বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চার বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭২ সালে আসাদ প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, ‘আমি রাজা হব না’ এবং ‘সর্পবিষয়ক’ নামের দুইটি নাটকে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আবার তোরা মানুষ হ’। আসাদ নাটক পরিচালনাও করছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
পাপিয়া সারোয়ার: পাপিয়া সারোয়ার একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন প্রকাশক। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সঙ্গীত দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আহমেদ ইকবাল হায়দার: স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বিকাশে যে কয়জন মানুষের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে আহমেদ ইকবাল হায়দার অন্যতম। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের ‘তির্যক’ নাট্যদলের দলপ্রধান।
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী: একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনীকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। তিনি ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ঘুড্ডি এর কাহিনী লিখে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন।
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়: একাধারে বাংলা উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, আবৃত্তি শিল্পী, নাট্যাভিনেতা ও লেখক। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষক।