নিউইয়র্ক ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মোদি বিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৭

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
  • / ২৪০ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্র ও হেফাজত সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রোববার ৫ জন নিহত হয়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল আমিন, বাছির মিয়া ও ছাদেক মিয়া নামে চারজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকালে নন্দনপুর বাজার এলাকায় পুলিশ ও বিজির সঙ্গে হেফাজত সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর ঢাকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
এদিকে নরেন্দ্র মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলনে ১৭ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আহত করা হয়েছে বলে দাবী করেছে হেফাজত। তাদের দাবী দুইদিনে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ শতাধিক ব্যক্তিকে। অনতিবিলম্বে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং গ্রেফতারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তি দেয়ার দাবী জানিয়ে অন্যথায় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী বিক্ষোভের একাংশ। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

রোববার বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে মোদি বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ১৭ জন শহীদ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সোমবার সারাদেশে দোয়া এবং আগামী ২ এপ্রিল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আবাসিক চিকিৎসক রানা নুরুস শামস সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে আসা ৫ জন মারা গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওদিকে শুক্রবারের (২৬ মার্চ) দেয়া আগুনে পুড়ে ছারখার সরকারি স্থাপনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়, সার্কিট হাউসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৩০টির বেশি গাড়িতে। সিআইডি’র এসপি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের গাড়িও রয়েছে এরমধ্যে। গত শুক্রবার দুপুরের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে এই জেলা শহর। বিকাল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। দফায় দফায় হামলা হয় বিভিন্ন সরকারি অফিসে।
স্টেশন ধ্বংসস্তূপ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আর কোনো ট্রেন থামবে না। শুক্রবার স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। প্রতিদিন পূর্বাঞ্চল রেলপথের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে চলাচলকারী ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। ঢাকা-চট্টগ্রামের পরই পূর্বাঞ্চল রেলপথের এ স্টেশনটি রাজস্ব আয়ে শীর্ষে রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ জানান, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত রাখা হবে। তবে মেইল ট্রেনের ব্যাপারে কোনো আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যারা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেটেছেন তাদেরকে টিকিটের মূল্য ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশের ৩ মামলা দায়ের: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত শুক্রবারের তাÐবের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান দুটি এবং জেলা সদরের মেড্ডা এলাকায় তাÐব চালানোর ঘটনায় এসআই মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং পুলিশ ফাঁড়ির মামলা দুটিতে অজ্ঞাত ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আর মেড্ডার মামলায় আসামি দেড় হাজার। ইতিমধ্যে তাÐবের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটকদের মধ্যে কোনো মাদ্রাসাছাত্র আছে কিনা- সেটি জানায়নি পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান জানান, দুপুর ৩টার দিকে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও মামলা দায়ের করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মোদি বিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৭

প্রকাশের সময় : ১২:২৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

হককথা ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্র ও হেফাজত সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রোববার ৫ জন নিহত হয়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল আমিন, বাছির মিয়া ও ছাদেক মিয়া নামে চারজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকালে নন্দনপুর বাজার এলাকায় পুলিশ ও বিজির সঙ্গে হেফাজত সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর ঢাকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
এদিকে নরেন্দ্র মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলনে ১৭ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আহত করা হয়েছে বলে দাবী করেছে হেফাজত। তাদের দাবী দুইদিনে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ শতাধিক ব্যক্তিকে। অনতিবিলম্বে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং গ্রেফতারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তি দেয়ার দাবী জানিয়ে অন্যথায় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী বিক্ষোভের একাংশ। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

রোববার বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে মোদি বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ১৭ জন শহীদ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সোমবার সারাদেশে দোয়া এবং আগামী ২ এপ্রিল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আবাসিক চিকিৎসক রানা নুরুস শামস সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে আসা ৫ জন মারা গেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওদিকে শুক্রবারের (২৬ মার্চ) দেয়া আগুনে পুড়ে ছারখার সরকারি স্থাপনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়, সার্কিট হাউসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৩০টির বেশি গাড়িতে। সিআইডি’র এসপি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের গাড়িও রয়েছে এরমধ্যে। গত শুক্রবার দুপুরের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে এই জেলা শহর। বিকাল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। দফায় দফায় হামলা হয় বিভিন্ন সরকারি অফিসে।
স্টেশন ধ্বংসস্তূপ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আর কোনো ট্রেন থামবে না। শুক্রবার স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। প্রতিদিন পূর্বাঞ্চল রেলপথের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে চলাচলকারী ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। ঢাকা-চট্টগ্রামের পরই পূর্বাঞ্চল রেলপথের এ স্টেশনটি রাজস্ব আয়ে শীর্ষে রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ জানান, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত রাখা হবে। তবে মেইল ট্রেনের ব্যাপারে কোনো আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যারা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেটেছেন তাদেরকে টিকিটের মূল্য ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশের ৩ মামলা দায়ের: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত শুক্রবারের তাÐবের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান দুটি এবং জেলা সদরের মেড্ডা এলাকায় তাÐব চালানোর ঘটনায় এসআই মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং পুলিশ ফাঁড়ির মামলা দুটিতে অজ্ঞাত ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আর মেড্ডার মামলায় আসামি দেড় হাজার। ইতিমধ্যে তাÐবের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটকদের মধ্যে কোনো মাদ্রাসাছাত্র আছে কিনা- সেটি জানায়নি পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান জানান, দুপুর ৩টার দিকে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও মামলা দায়ের করবেন।