নিউইয়র্ক ০৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকা ও বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
  • / ৬১ বার পঠিত

আবুজা (নাইজেরিয়া): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ মার্চ ২০২১ সকাে ‘আফ্রিকা ও বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সমগ্র বিশ্বে মানব মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ না’আল্লা, মাসুদুর রহমান, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর প্রফেসর মুসাওলাওফে অংশ নেন।
উপাচার্য না’আল্লা তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু একজন দুরদর্শীমহান নেতা ছিলেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য মন্তব্য করেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক দৃঢ়তা-ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেয় এবং আজকের বাংলাদেশকে উপহার দেয়’। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে আব্দুল-রাশিদ না’আল্লা বলেন যে, আগামী দিনগুলোতে মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন একযোগে কাজ করে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করতে গিয়ে, প্রফেসর মুসাওলাওফে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন যে, আজকের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আফ্রিকাসহ বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি এসময়ে তার মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
মাসুদুর রহমান, হাইকমিশনার

সমাপনী বক্তব্যে মাসুদুর রহমান, হাইকমিশনার ১৯৪৭ সালের পটভ‚মিকা এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয়ের বিভিন্ন পর্বেও উপর আলোকপাত করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর বলতে গিয়ে রহমান উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত ও মুক্তিকামী মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ছিলেন না, তিনি সমগ্র বিশ্বের বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের অগ্রনায়ক ছিলেন। আফ্রিকার জনগণ ও বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের প্রাসঙ্গিকতার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে হাইকমিশনার অবহিত করেন যে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রæতা নয়’ ছিল বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতিরমূলমন্ত্র। তিনি আরো বলেন যে, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে উপনিবেশবাদ, সা¤্রাজ্যবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক মুক্তি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সমর্থন ছিল। দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে হাইকমিশনার আগামীদিনগুলোতে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর, ফ্যাক্যাল্টি প্রধানগণ এবং প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রশ্ন-উত্তরপর্বে অংশ নেয়া অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে নাইজেরিয়ার কন্ঠশিল্পী প্রিন্সেস বোলাইজাজি এর কন্ঠে ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত .. ..’ গানটি পরিবেশন করা হয় এবং ৭ মার্চের ভাষণের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্রপ্রদর্শন করা হয়।
মিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ১৭ মার্চ সকাল ৮ টায় হাইকমিশনার কর্তৃক মিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিনী, মিশনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পর এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বঙ্গবন্ধুর, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে, হাইকমিশনার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী এবং অমূল্য অবদানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মিশন কর্তৃক চ্যারিটিঅনুষ্ঠান :
বিকেলে আবুজাস্থ সিটি রিফিউজি অরফ্যানেজে একটি অনাড়ম্বর চ্যারিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাইকমিশনার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহধর্মিনীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেক কাটা, অনাথ শিশুদের মিষ্টি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষেবেলুন ওড়ানো ও গান পরিবেশন করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকা ও বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

আবুজা (নাইজেরিয়া): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ মার্চ ২০২১ সকাে ‘আফ্রিকা ও বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সমগ্র বিশ্বে মানব মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ না’আল্লা, মাসুদুর রহমান, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর প্রফেসর মুসাওলাওফে অংশ নেন।
উপাচার্য না’আল্লা তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু একজন দুরদর্শীমহান নেতা ছিলেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য মন্তব্য করেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক দৃঢ়তা-ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেয় এবং আজকের বাংলাদেশকে উপহার দেয়’। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে আব্দুল-রাশিদ না’আল্লা বলেন যে, আগামী দিনগুলোতে মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন একযোগে কাজ করে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করতে গিয়ে, প্রফেসর মুসাওলাওফে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন যে, আজকের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আফ্রিকাসহ বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি এসময়ে তার মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
মাসুদুর রহমান, হাইকমিশনার

সমাপনী বক্তব্যে মাসুদুর রহমান, হাইকমিশনার ১৯৪৭ সালের পটভ‚মিকা এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয়ের বিভিন্ন পর্বেও উপর আলোকপাত করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর বলতে গিয়ে রহমান উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত ও মুক্তিকামী মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ছিলেন না, তিনি সমগ্র বিশ্বের বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের অগ্রনায়ক ছিলেন। আফ্রিকার জনগণ ও বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের প্রাসঙ্গিকতার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে হাইকমিশনার অবহিত করেন যে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রæতা নয়’ ছিল বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতিরমূলমন্ত্র। তিনি আরো বলেন যে, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে উপনিবেশবাদ, সা¤্রাজ্যবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক মুক্তি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সমর্থন ছিল। দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে হাইকমিশনার আগামীদিনগুলোতে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর, ফ্যাক্যাল্টি প্রধানগণ এবং প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রশ্ন-উত্তরপর্বে অংশ নেয়া অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে নাইজেরিয়ার কন্ঠশিল্পী প্রিন্সেস বোলাইজাজি এর কন্ঠে ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত .. ..’ গানটি পরিবেশন করা হয় এবং ৭ মার্চের ভাষণের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্রপ্রদর্শন করা হয়।
মিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ১৭ মার্চ সকাল ৮ টায় হাইকমিশনার কর্তৃক মিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিনী, মিশনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পর এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বঙ্গবন্ধুর, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে, হাইকমিশনার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী এবং অমূল্য অবদানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মিশন কর্তৃক চ্যারিটিঅনুষ্ঠান :
বিকেলে আবুজাস্থ সিটি রিফিউজি অরফ্যানেজে একটি অনাড়ম্বর চ্যারিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাইকমিশনার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহধর্মিনীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেক কাটা, অনাথ শিশুদের মিষ্টি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষেবেলুন ওড়ানো ও গান পরিবেশন করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।