নিউইয়র্ক ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বহুবার দল বদলেও সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন মওদুদ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১
  • / ৭৮ বার পঠিত

এনাম আবেদীন: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে একটি কথা প্রায় সবাই বলেন, ‘বই লেখার সময় তিনি সত্য গোপন করতেন না।’ অনেক বিশ্লেষক এ কারণে মনে করেন, রাজনীতিকের পাশাপাশি রাজনীতি বিষয়ে একজন লেখক হিসেবে মওদুদ আহমদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ইতিহাসে তাঁর জায়গা হবে লেখক হিসেবেও। লেখায় তাঁর এই সত্যনিষ্ঠতার জন্য শেষ জীবনে নিজ দল বিএনপির কাছে তিনি কিছুটা বিরাগভাজনও হয়েছেন।
মওদুদ আহমদ একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিকের পাশাপাশি ছিলেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ। আবার তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সময় সরকারের নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় ছিলেন। কাছাকাছি থেকে তাঁর কাজ করার সুযোগ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে। এ কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুটিই ছিল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, রাজনীতিবিদ হিসেবে সফলতার পাশাপাশি মওদুদ আহমদ এ দেশের একজন উঁচুমানের লেখক ছিলেন। তাঁর লেখা বই এ দেশের রাজনীতিতে ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি বলেন, ‘মওদুদ আহমদের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এ দেশে কমই আছে। তিনি একই সঙ্গে অনেকগুণের অধিকারী ছিলেন।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ : ইমারজেন্সি অ্যান্ড দি আফটারম্যাথ ২০০৭-২০০৮’ গ্রন্থে মওদুদ লিখেছেন, ‘এক-এগারোর সময় খালেদা জিয়ার কাছে দুই ছেলের ভাগ্যই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়া তিনি কোনো আলোচনায় যেতে রাজি ছিলেন না। সে সময় একজন রাজনীতিবিদের চেয়েও একজন মা হিসেবে দুই সন্তানের মুক্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন খালেদা জিয়া।’
মওদুদের এই বই প্রকাশের পর দলের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতারা। একজন দলীয় নেতা সে সময় বলেন, গুলশানের বাড়ি রক্ষার জন্য মওদুদ এসব কথা বলছেন। তবে এর কিছুদিন পরেই মওদুদ আহমদের বাড়িটি আদালতের নির্দেশে সরকার নিয়ে যায়। আর খালেদা জিয়াও সে সময় মওদুদের পাশে দাঁড়ান।
আত্মজীবনী এবং নিজের দেখা রাজনীতি নিয়ে মওদুদ আহমদ ১৪টিরও বেশি বই লেখেন। গত বছর করোনা শুররু হলে কোয়ারেন্টিনে থেকে দুটি বই লেখেন তিনি। এর মধ্যে একটি বই আমাকে ছাড়াও কালের কণ্ঠ’র সম্পাদককে পাঠান। যদিও কালের কণ্ঠকে শেষ সাক্ষাৎকারটি দিয়ে যেতে পারেননি মওদুদ আহমদ। গত বছর এ প্রতিনিধি সাক্ষাৎকার চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স ৮০ বছর হলেও আমার প্রকৃত বয়স ৮৩ বছর। এ জন্য আমাকে বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়।’ তবে কথা দিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে তিনি কালের কণ্ঠকে তাঁর জীবনীভিত্তিক একটি সাক্ষাৎকার দেবেন। এর কয়েক মাস আগে কালের কণ্ঠকে দেওয়া সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে মওদুদ বলেছিলেন, করোনায় মানবজাতির জন্য এমন অভিশাপ তিনি জীবনে আগে দেখেননি।
রাজনীতিতে মওদুদ আহমদের ‘বিশ্বস্ততা’ নিয়ে সব সময়ই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচনা ছিল। সংসদে সরকারি দল এবং বিরোধী- উভয় দলের সদস্যরা এ জন্য তাঁকে নিয়ে রসিকতা ও টিপ্পনী কাটতে ছাড়ত না। কিন্তু এ নিয়ে মওদুদ আহমদকে কখনো ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়নি। আবার তাঁকে কেউ উপেক্ষাও করতে পারেননি। প্রায় সব দলেরই তাঁকে প্রয়োজন হয়েছে এবং সবাইকে তিনি ‘সার্ভ’ও করেছেন।
মওদুদ সম্পর্কে বলা হয়, পরস্পরবিরোধী আদর্শ বা মানুষের সঙ্গে তিনি সমান সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে পারতেন। আবার একই বিষয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে তিনিই সবচেয়ে ভালো যুক্তি তুলে ধরতে পারতেন। যে কারণে দল বদলে কাজ করতে গিয়েও তাঁর অসুুবিধা হয়নি। আওয়ামী লীগের পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে এরশাদের সামরিক শাসন জারির পর বিশেষ সামরিক আদালতে কারাদন্ড হলেও পরে তিনি এরশাদেরই মন্ত্রী হন। আবার ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে’ আসেন ১৯৯৬ সালের পরে। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী হন। বিএনপির রাজনীতিতে সব সময়ই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তবে দলের মধ্যে তাঁর পৃথক কোনো বলয় বা অনুসারী গ্রæপ ছিল না। দলে তিনি ছিলেন একা এবং কখনো কাউকে কাছে টানারও চেষ্টা করেননি।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের কথায়, ‘রাজনীতির কৌশল, বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তা, পান্ডিত্য এবং যেকোনো কর্মপন্থার শিখরে উঠতে পারতেন মওদুদ আহমদ।’ তিনি বলেন, ‘এরশাদ সরকারের অংশ হয়েও গণতন্ত্রে উত্তরণের বাস্তব ফর্মুলা শেষ পর্যন্ত মওদুদ আহমদই উদ্ভাবন করেছিলেন।’
মন্ত্রী ও নেতা হিসেবে সব সময়ই মওদুদ আহমদ মিডিয়া ফ্রেন্ডলি বলে পরিচিত ছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। মওদুদ আহমদ দলের ভেতরের সব খবর সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন এমন অভিযোগ আগে বিএনপির মধ্যে থাকলেও শেষ দিকে তাঁর সেই দুর্নাম ঘুচে যায়।
রাজনৈতিক পরিচয়ে বিখ্যাত হলেও আইনজীবী হিসেবেও ছিলেন তিনি প্রথম কাতারে। আইনজীবী হিসেবে তাঁর পান্ডিত্য ছিল অগাধ। একসময়ে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং শেষ জীবনে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিজিটিং প্রফেসরও ছিলেন। (দৈনিক কালের কন্ঠ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বহুবার দল বদলেও সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন মওদুদ

প্রকাশের সময় : ১২:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১

এনাম আবেদীন: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে একটি কথা প্রায় সবাই বলেন, ‘বই লেখার সময় তিনি সত্য গোপন করতেন না।’ অনেক বিশ্লেষক এ কারণে মনে করেন, রাজনীতিকের পাশাপাশি রাজনীতি বিষয়ে একজন লেখক হিসেবে মওদুদ আহমদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ইতিহাসে তাঁর জায়গা হবে লেখক হিসেবেও। লেখায় তাঁর এই সত্যনিষ্ঠতার জন্য শেষ জীবনে নিজ দল বিএনপির কাছে তিনি কিছুটা বিরাগভাজনও হয়েছেন।
মওদুদ আহমদ একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিকের পাশাপাশি ছিলেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ। আবার তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সময় সরকারের নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় ছিলেন। কাছাকাছি থেকে তাঁর কাজ করার সুযোগ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে। এ কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুটিই ছিল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, রাজনীতিবিদ হিসেবে সফলতার পাশাপাশি মওদুদ আহমদ এ দেশের একজন উঁচুমানের লেখক ছিলেন। তাঁর লেখা বই এ দেশের রাজনীতিতে ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি বলেন, ‘মওদুদ আহমদের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এ দেশে কমই আছে। তিনি একই সঙ্গে অনেকগুণের অধিকারী ছিলেন।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ : ইমারজেন্সি অ্যান্ড দি আফটারম্যাথ ২০০৭-২০০৮’ গ্রন্থে মওদুদ লিখেছেন, ‘এক-এগারোর সময় খালেদা জিয়ার কাছে দুই ছেলের ভাগ্যই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়া তিনি কোনো আলোচনায় যেতে রাজি ছিলেন না। সে সময় একজন রাজনীতিবিদের চেয়েও একজন মা হিসেবে দুই সন্তানের মুক্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন খালেদা জিয়া।’
মওদুদের এই বই প্রকাশের পর দলের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতারা। একজন দলীয় নেতা সে সময় বলেন, গুলশানের বাড়ি রক্ষার জন্য মওদুদ এসব কথা বলছেন। তবে এর কিছুদিন পরেই মওদুদ আহমদের বাড়িটি আদালতের নির্দেশে সরকার নিয়ে যায়। আর খালেদা জিয়াও সে সময় মওদুদের পাশে দাঁড়ান।
আত্মজীবনী এবং নিজের দেখা রাজনীতি নিয়ে মওদুদ আহমদ ১৪টিরও বেশি বই লেখেন। গত বছর করোনা শুররু হলে কোয়ারেন্টিনে থেকে দুটি বই লেখেন তিনি। এর মধ্যে একটি বই আমাকে ছাড়াও কালের কণ্ঠ’র সম্পাদককে পাঠান। যদিও কালের কণ্ঠকে শেষ সাক্ষাৎকারটি দিয়ে যেতে পারেননি মওদুদ আহমদ। গত বছর এ প্রতিনিধি সাক্ষাৎকার চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স ৮০ বছর হলেও আমার প্রকৃত বয়স ৮৩ বছর। এ জন্য আমাকে বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়।’ তবে কথা দিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে তিনি কালের কণ্ঠকে তাঁর জীবনীভিত্তিক একটি সাক্ষাৎকার দেবেন। এর কয়েক মাস আগে কালের কণ্ঠকে দেওয়া সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে মওদুদ বলেছিলেন, করোনায় মানবজাতির জন্য এমন অভিশাপ তিনি জীবনে আগে দেখেননি।
রাজনীতিতে মওদুদ আহমদের ‘বিশ্বস্ততা’ নিয়ে সব সময়ই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচনা ছিল। সংসদে সরকারি দল এবং বিরোধী- উভয় দলের সদস্যরা এ জন্য তাঁকে নিয়ে রসিকতা ও টিপ্পনী কাটতে ছাড়ত না। কিন্তু এ নিয়ে মওদুদ আহমদকে কখনো ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়নি। আবার তাঁকে কেউ উপেক্ষাও করতে পারেননি। প্রায় সব দলেরই তাঁকে প্রয়োজন হয়েছে এবং সবাইকে তিনি ‘সার্ভ’ও করেছেন।
মওদুদ সম্পর্কে বলা হয়, পরস্পরবিরোধী আদর্শ বা মানুষের সঙ্গে তিনি সমান সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে পারতেন। আবার একই বিষয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে তিনিই সবচেয়ে ভালো যুক্তি তুলে ধরতে পারতেন। যে কারণে দল বদলে কাজ করতে গিয়েও তাঁর অসুুবিধা হয়নি। আওয়ামী লীগের পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে এরশাদের সামরিক শাসন জারির পর বিশেষ সামরিক আদালতে কারাদন্ড হলেও পরে তিনি এরশাদেরই মন্ত্রী হন। আবার ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে’ আসেন ১৯৯৬ সালের পরে। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী হন। বিএনপির রাজনীতিতে সব সময়ই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তবে দলের মধ্যে তাঁর পৃথক কোনো বলয় বা অনুসারী গ্রæপ ছিল না। দলে তিনি ছিলেন একা এবং কখনো কাউকে কাছে টানারও চেষ্টা করেননি।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের কথায়, ‘রাজনীতির কৌশল, বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তা, পান্ডিত্য এবং যেকোনো কর্মপন্থার শিখরে উঠতে পারতেন মওদুদ আহমদ।’ তিনি বলেন, ‘এরশাদ সরকারের অংশ হয়েও গণতন্ত্রে উত্তরণের বাস্তব ফর্মুলা শেষ পর্যন্ত মওদুদ আহমদই উদ্ভাবন করেছিলেন।’
মন্ত্রী ও নেতা হিসেবে সব সময়ই মওদুদ আহমদ মিডিয়া ফ্রেন্ডলি বলে পরিচিত ছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। মওদুদ আহমদ দলের ভেতরের সব খবর সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন এমন অভিযোগ আগে বিএনপির মধ্যে থাকলেও শেষ দিকে তাঁর সেই দুর্নাম ঘুচে যায়।
রাজনৈতিক পরিচয়ে বিখ্যাত হলেও আইনজীবী হিসেবেও ছিলেন তিনি প্রথম কাতারে। আইনজীবী হিসেবে তাঁর পান্ডিত্য ছিল অগাধ। একসময়ে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং শেষ জীবনে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিজিটিং প্রফেসরও ছিলেন। (দৈনিক কালের কন্ঠ)