নিউইয়র্ক ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বসন্ত আর ভালোবাসায় উন্মাতাল দিন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩২ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: পলাশ, শিমুল, গাঁদা, গোলাপের রঙে রঙিন দেশ। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের উচ্ছাস। এরসঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। রোববার (১৪ ফেব্রæয়ারী) তাই বাঁধভাঙা ¯্রােতে ভেসেছে তারুণ্য। হলুদ-লাল শাড়ি ও পাঞ্জাবির পটে বাহারি শৈল্পিকতায় চিত্রিত হয়েছে ফাল্গুন। শুধু তরুণরাই নয়, অন্য বয়সিও যারা করোনার কারণে ঘর থেকে বের হননি এতদিন, এদিন মাঠে-পথে হেঁটেছেন দলবেঁধে। সব মিলে বসন্ত আর ভালোবাসার দিনটি কেটেছে উন্মাতাল আনন্দে। বাসন্তী আবিরে ভালোবাসা ধরা দেওয়ায় রোববার রাজপথ থেকে গলিপথে নেমেছিল মানুষের ঢেউ।
তা আছড়ে পড়েছিল রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বলধা গার্ডেন, বেইলি রোড, হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্রসরোবর, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও উদ্যানে। বাদ যায়নি কোনো বিনোদন কেন্দ্র, শপিং মল, মার্কেট বা খাবারের দোকান।
প্রিয়তমার খোঁপায় হলুদ গাঁদা পরিয়ে নরম হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়ে চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘর বাঁধার স্বপ্নে উত্তাপ ছড়িয়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে দিনটি। খবর যুগান্তর’র।
অপরদিকে দৈনিক কালের কন্ঠ’র খবরে বলা হয়: সকালটা স্নিগ্ধতায় ভরা, দুপুর রৌদ্দুর আর বিকেলটাতে হিমেল বাতাসের ছোঁয়া। গাছে গাছে শিমুল-পলাশের দোল। প্রকৃতিই জানান দেয় সময়টা ঋতুরাজ বসন্তের। বছরের পালাবদলে স্বেচ্ছায় নতুন ঋতুর আগমন ঘটে ঠিকই, তবে মানুষও সেই ঋতুকে কাছে টেনে নিতে মুখিয়ে থাকে। সেটা যদি হয় বসন্ত, তাতে মনটা একটু বেশি রঙিন হয়েই সাজে। বসন্তের হলুদ আর ভালোবাসার লালের রোশনাই প্রতিবছরের মতো রোববারও দেখেছে রাজধানীবাসী। করোনা মহামারি ভুলে উৎসবমুখর পরিবেশে নগরের মানুষ উদযাপন করেছে বসন্ত উৎসব।
সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে চলছে বসন্ত উৎসব। সকাল ৭টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে শুরু হওয়া এই আয়োজন চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। গান, নাচ আর কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ঋতুরাজকে। এ সময় গ্যালারিতে বেশ লোকসমাগম চোখে পড়ে। অনেকেই জানায়, গত বছরের চেয়ে এবার দর্শক অনেক কম। অনুষ্ঠান দেখতে আসা মালিবাগের রাজ বলেন, গ্যালারি লোকজনে পূর্ণ ছিল, তবে অন্য বছর গ্যালারির বাইরেও প্রচুর দর্শক দাঁড়িয়ে থাকে অনুষ্ঠান দেখার জন্য। এ বছর সেই উপস্থিতি ছিল না।
নৃত্যশিল্পী ঊর্মি ঘোষ বলেন, ‘আমি সেই ছোটবেলা থেকে বসন্ত উৎসবে নাচি। তবে এ বছর আমরা একটা মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রার্থনা করি মা-বাবা, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারি। এটাই ভালোবাসা দিবস এবং বসন্তের প্রথম দিনে চাওয়া।’
এবারের বসন্তের আয়োজন নিয়ে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবার আমাদের অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। করোনার কারণে অনুষ্ঠান সীমিত করতে হয়েছে। তার পরও দীর্ঘদিন পরে একটি উৎসব পেয়ে সবাই খুব খুশি হয়েছে। বিশেষ করে শিল্পীদের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
রোববার পহেলা ফাল্গুনের সঙ্গে উদযাপিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। এই উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দোকান সাজানো হয় ফুল আর আলোকসজ্জায়। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে রেস্তোরাঁগুলো তাদের খাবারে দেয় বিশেষ ছাড়। ফুলের দোকানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। অনেক নারীকেই দেখা যায়, মাথায় ফুলের চাক এবং খোঁপায় গাজরা (চুলে দেওয়া এক ধরনের ফুলের অলংকার) ও গোলাপ দিতে।
এদিকে দুটি বিশেষ উৎসব একই দিনে হওয়ায় রাজধানীর অনেক মানুষই ঘুরতে বের হয়। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিল রাজধানীবাসী। তাই যমজ উৎসব পেয়ে অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে প্রিয়জনের হাত ধরে। তবে অফিস-আদালত খোলা থাকায় রাস্তায়, সড়কে ছিল যানজট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর গণপরিসরগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সব বয়সী মানুষের মিলনমেলা বসেছে।
এ ছাড়া জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বিকেলে গেন্ডারিয়ার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ এবং উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই উৎসবের যেন গতি বাড়ে। গান, আতশবাজি, পটকা আর আলোকসজ্জায় ঢাকা পরিণত হয় এক আনন্দমেলায়। গতকাল ঢাকার গুলশান লেক, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব জায়গা মানুষের কোলাহলমুখর।
হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা মনীষা ও সুতনু বলেন, করোনার কারণে অনেক দিন একসঙ্গে কোথাও যাওয়া হয়নি। বসন্ত এবং ভালোবাসা দিবসের কারণে বহুদিন পরে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ পেয়েছি। ভালো লাগছে প্রিয় মানুষের সঙ্গে বেড়াতে এসেছি।
শিল্পকলার বসন্ত উৎসব: ফাল্গুনের নতুন দিনের বর্ণিল আবাহনে বিকেলে মেতে ওঠে শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ। একাডেমি আয়োজিত বসন্ত উৎসবে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব নওসাদ হোসেন।
শুরুতেই নৃত্যশিল্পীদের ঝংকারে মেতে ওঠে উৎসব। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিল্পী দম্পতিদের পরিবেশনা। কণ্ঠশিল্পী সাজেদ আকবর ও সালমা আকবর পরিবেশন করেন ‘মধুরও বসন্ত এসেছে’। এ ছাড়া গান করেন ইবরার টিপু ও বিন্দু কনা এবং খাইরুল আনাম শাকিল ও কল্পনা আনাম। নাটকের অংশবিশেষ পাঠ করেন শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী ও অনন্ত হিরা-নূনা আফরোজ দম্পতি। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অপু আমান, সাব্বির, বিউটি ও দিতি সরকার। সব শেষে স্পন্দন পরিবেশন করে ব্যান্ডসংগীত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বসন্ত আর ভালোবাসায় উন্মাতাল দিন

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঢাকা ডেস্ক: পলাশ, শিমুল, গাঁদা, গোলাপের রঙে রঙিন দেশ। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের উচ্ছাস। এরসঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। রোববার (১৪ ফেব্রæয়ারী) তাই বাঁধভাঙা ¯্রােতে ভেসেছে তারুণ্য। হলুদ-লাল শাড়ি ও পাঞ্জাবির পটে বাহারি শৈল্পিকতায় চিত্রিত হয়েছে ফাল্গুন। শুধু তরুণরাই নয়, অন্য বয়সিও যারা করোনার কারণে ঘর থেকে বের হননি এতদিন, এদিন মাঠে-পথে হেঁটেছেন দলবেঁধে। সব মিলে বসন্ত আর ভালোবাসার দিনটি কেটেছে উন্মাতাল আনন্দে। বাসন্তী আবিরে ভালোবাসা ধরা দেওয়ায় রোববার রাজপথ থেকে গলিপথে নেমেছিল মানুষের ঢেউ।
তা আছড়ে পড়েছিল রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বলধা গার্ডেন, বেইলি রোড, হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্রসরোবর, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও উদ্যানে। বাদ যায়নি কোনো বিনোদন কেন্দ্র, শপিং মল, মার্কেট বা খাবারের দোকান।
প্রিয়তমার খোঁপায় হলুদ গাঁদা পরিয়ে নরম হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়ে চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘর বাঁধার স্বপ্নে উত্তাপ ছড়িয়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে দিনটি। খবর যুগান্তর’র।
অপরদিকে দৈনিক কালের কন্ঠ’র খবরে বলা হয়: সকালটা স্নিগ্ধতায় ভরা, দুপুর রৌদ্দুর আর বিকেলটাতে হিমেল বাতাসের ছোঁয়া। গাছে গাছে শিমুল-পলাশের দোল। প্রকৃতিই জানান দেয় সময়টা ঋতুরাজ বসন্তের। বছরের পালাবদলে স্বেচ্ছায় নতুন ঋতুর আগমন ঘটে ঠিকই, তবে মানুষও সেই ঋতুকে কাছে টেনে নিতে মুখিয়ে থাকে। সেটা যদি হয় বসন্ত, তাতে মনটা একটু বেশি রঙিন হয়েই সাজে। বসন্তের হলুদ আর ভালোবাসার লালের রোশনাই প্রতিবছরের মতো রোববারও দেখেছে রাজধানীবাসী। করোনা মহামারি ভুলে উৎসবমুখর পরিবেশে নগরের মানুষ উদযাপন করেছে বসন্ত উৎসব।
সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে চলছে বসন্ত উৎসব। সকাল ৭টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে শুরু হওয়া এই আয়োজন চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। গান, নাচ আর কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ঋতুরাজকে। এ সময় গ্যালারিতে বেশ লোকসমাগম চোখে পড়ে। অনেকেই জানায়, গত বছরের চেয়ে এবার দর্শক অনেক কম। অনুষ্ঠান দেখতে আসা মালিবাগের রাজ বলেন, গ্যালারি লোকজনে পূর্ণ ছিল, তবে অন্য বছর গ্যালারির বাইরেও প্রচুর দর্শক দাঁড়িয়ে থাকে অনুষ্ঠান দেখার জন্য। এ বছর সেই উপস্থিতি ছিল না।
নৃত্যশিল্পী ঊর্মি ঘোষ বলেন, ‘আমি সেই ছোটবেলা থেকে বসন্ত উৎসবে নাচি। তবে এ বছর আমরা একটা মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রার্থনা করি মা-বাবা, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারি। এটাই ভালোবাসা দিবস এবং বসন্তের প্রথম দিনে চাওয়া।’
এবারের বসন্তের আয়োজন নিয়ে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবার আমাদের অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। করোনার কারণে অনুষ্ঠান সীমিত করতে হয়েছে। তার পরও দীর্ঘদিন পরে একটি উৎসব পেয়ে সবাই খুব খুশি হয়েছে। বিশেষ করে শিল্পীদের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
রোববার পহেলা ফাল্গুনের সঙ্গে উদযাপিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। এই উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দোকান সাজানো হয় ফুল আর আলোকসজ্জায়। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে রেস্তোরাঁগুলো তাদের খাবারে দেয় বিশেষ ছাড়। ফুলের দোকানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। অনেক নারীকেই দেখা যায়, মাথায় ফুলের চাক এবং খোঁপায় গাজরা (চুলে দেওয়া এক ধরনের ফুলের অলংকার) ও গোলাপ দিতে।
এদিকে দুটি বিশেষ উৎসব একই দিনে হওয়ায় রাজধানীর অনেক মানুষই ঘুরতে বের হয়। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিল রাজধানীবাসী। তাই যমজ উৎসব পেয়ে অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে প্রিয়জনের হাত ধরে। তবে অফিস-আদালত খোলা থাকায় রাস্তায়, সড়কে ছিল যানজট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর গণপরিসরগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সব বয়সী মানুষের মিলনমেলা বসেছে।
এ ছাড়া জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বিকেলে গেন্ডারিয়ার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ এবং উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই উৎসবের যেন গতি বাড়ে। গান, আতশবাজি, পটকা আর আলোকসজ্জায় ঢাকা পরিণত হয় এক আনন্দমেলায়। গতকাল ঢাকার গুলশান লেক, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব জায়গা মানুষের কোলাহলমুখর।
হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা মনীষা ও সুতনু বলেন, করোনার কারণে অনেক দিন একসঙ্গে কোথাও যাওয়া হয়নি। বসন্ত এবং ভালোবাসা দিবসের কারণে বহুদিন পরে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ পেয়েছি। ভালো লাগছে প্রিয় মানুষের সঙ্গে বেড়াতে এসেছি।
শিল্পকলার বসন্ত উৎসব: ফাল্গুনের নতুন দিনের বর্ণিল আবাহনে বিকেলে মেতে ওঠে শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ। একাডেমি আয়োজিত বসন্ত উৎসবে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব নওসাদ হোসেন।
শুরুতেই নৃত্যশিল্পীদের ঝংকারে মেতে ওঠে উৎসব। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিল্পী দম্পতিদের পরিবেশনা। কণ্ঠশিল্পী সাজেদ আকবর ও সালমা আকবর পরিবেশন করেন ‘মধুরও বসন্ত এসেছে’। এ ছাড়া গান করেন ইবরার টিপু ও বিন্দু কনা এবং খাইরুল আনাম শাকিল ও কল্পনা আনাম। নাটকের অংশবিশেষ পাঠ করেন শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী ও অনন্ত হিরা-নূনা আফরোজ দম্পতি। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অপু আমান, সাব্বির, বিউটি ও দিতি সরকার। সব শেষে স্পন্দন পরিবেশন করে ব্যান্ডসংগীত।