নিউইয়র্ক ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাংবাদিক শাহীন রেজা নূরের ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৫৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক বার্তা এবং কার্যনির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কানাডার ভ্যাংকুভার হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন কোলন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী খুরশিদ জাহান সহ দুই পুত্র সৌরভ রেজা নূর ও আবির রেজা নূর এবং ৭ ভাইকে রেখে যান। তিনি শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। তার সাত ভাই হচ্ছেন-শামীম রেজা নূর, ফাহিম রেজা নূর, নাসিম রেজা নূর, সেলিম রেজা নূর, শাহীদ রেজা নূর, জাহীদ রেজা নূর এবং তৌহিদ রেজা নূর। শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে কানাডা ও নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রধানমন্ত্রীর শোক: সাংবদিক শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআন্দোলনে শাহীন রেজা নূরের ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শাহীন রেজা নূরের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, মাগুরা জেলার শালিখা থানার শরশুনা গ্রামে। পিতা শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন এদেশের সাংবাদিকতা জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক বার্তা ও কার্যনির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর ও আল শামসদের সহযোগিতায় যে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ শুরু হয়, তার নির্মম শিকার হন সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন। শাহীন রেজা নূরের মা বেগম নূরজাহান সিরাজী ছিলেন একজন গৃহিণী।
সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর ১৯৭২ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে বার্তা বিভাগে অনুলিপিকারের চাকরি গ্রহণের মধ্যদিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৭৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেন। দীর্ঘকাল তিনি ইত্তেফাকের সাথেই জড়িত ছিলেন। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে দৈনিক ইত্তেফাকের শিক্ষানবিশ সহ-সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৮১ সালে কমনওয়েলথের উদ্যোগে সাংবাদিকতার ওপর আয়োজিত বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে তিনি মালয়েশিয়াতে যান। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আবার ইত্তেফাকে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে একটানা ১৬ বছর ইত্তেফাকে সাংবাদিকতা করার পর ১৯৮৮ সালে তিনি কানাডায় অভিবাসী হন। সেখানে মন্ট্রিয়াল থেকে বাংলা সাপ্তাহিক ‘প্রবাস বাংলা’ প্রকাশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তাছাড়া ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারদের সঙ্গেও অনুবাদকের কাজ করেন। কানাডা থেকে দেশে ফিরে আবার দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেন। দৈনিক ইত্তেফাকে তিনি নির্বাহী সম্পাদক থাকা অবস্থায় চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রথমে মন্ট্রিয়লে পরে ভ্যাংকুভারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি বাংলাদেশে ‘প্রজন্ম একাত্তর’ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন এবং তিনি জামায়াত নেতা আলী আহসান মো. মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অন্যতম সাক্ষীও ছিলেন।
মরহুম শাহীন রেজা নূরের মরদেহ কোথায় দাফন করা হবে, তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হলে কানাডাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে ওটোয়াস্থ হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, তাঁর বাবা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন এবং দেশ গড়ার ক্ষেত্রেও তার অবদান অনেক। হাই কমিশনার তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক: শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক বার্তা সম্পাদক শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে বাঙালী জাতি একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অধিকারী ব্যক্তিত্বকে হারালো। ড. মোমেন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

আমির হোসেন আমুর শোক: সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। এক শোক বার্তায় আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআন্দোলনে শাহীন রেজা নূরের অবদান অবিস্মরণীয়। তার মৃত্যুতে জাতি একজন গুণী ব্যক্তিকে হারালো।
নূরে আলম সিদ্দিকীর শোক: এক বার্তায় গভীর শোক জানিয়েছেন স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহŸায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, শাহীন রেজা নূরের মতো সত্যনিষ্ঠ, গভীর দেশপ্রেম ও সামাজের প্রতি এমন দায়বদ্ধ সাংবাদিক এই সময়ে বিরল। কীর্তিমান এই যোগ্য মানুষের মৃত্যু জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গণআন্দোলনে শাহীন রেজা নূরের ভূমিকা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। নূরে আলম সিদ্দিকী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সাংবাদিক শাহীন রেজা নূরের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ১০:২৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হককথা ডেস্ক: দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক বার্তা এবং কার্যনির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কানাডার ভ্যাংকুভার হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন কোলন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী খুরশিদ জাহান সহ দুই পুত্র সৌরভ রেজা নূর ও আবির রেজা নূর এবং ৭ ভাইকে রেখে যান। তিনি শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। তার সাত ভাই হচ্ছেন-শামীম রেজা নূর, ফাহিম রেজা নূর, নাসিম রেজা নূর, সেলিম রেজা নূর, শাহীদ রেজা নূর, জাহীদ রেজা নূর এবং তৌহিদ রেজা নূর। শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে কানাডা ও নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রধানমন্ত্রীর শোক: সাংবদিক শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআন্দোলনে শাহীন রেজা নূরের ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শাহীন রেজা নূরের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, মাগুরা জেলার শালিখা থানার শরশুনা গ্রামে। পিতা শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন এদেশের সাংবাদিকতা জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক বার্তা ও কার্যনির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর ও আল শামসদের সহযোগিতায় যে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ শুরু হয়, তার নির্মম শিকার হন সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন। শাহীন রেজা নূরের মা বেগম নূরজাহান সিরাজী ছিলেন একজন গৃহিণী।
সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর ১৯৭২ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে বার্তা বিভাগে অনুলিপিকারের চাকরি গ্রহণের মধ্যদিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৭৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেন। দীর্ঘকাল তিনি ইত্তেফাকের সাথেই জড়িত ছিলেন। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে দৈনিক ইত্তেফাকের শিক্ষানবিশ সহ-সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৮১ সালে কমনওয়েলথের উদ্যোগে সাংবাদিকতার ওপর আয়োজিত বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে তিনি মালয়েশিয়াতে যান। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আবার ইত্তেফাকে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে একটানা ১৬ বছর ইত্তেফাকে সাংবাদিকতা করার পর ১৯৮৮ সালে তিনি কানাডায় অভিবাসী হন। সেখানে মন্ট্রিয়াল থেকে বাংলা সাপ্তাহিক ‘প্রবাস বাংলা’ প্রকাশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তাছাড়া ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারদের সঙ্গেও অনুবাদকের কাজ করেন। কানাডা থেকে দেশে ফিরে আবার দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেন। দৈনিক ইত্তেফাকে তিনি নির্বাহী সম্পাদক থাকা অবস্থায় চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রথমে মন্ট্রিয়লে পরে ভ্যাংকুভারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি বাংলাদেশে ‘প্রজন্ম একাত্তর’ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন এবং তিনি জামায়াত নেতা আলী আহসান মো. মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অন্যতম সাক্ষীও ছিলেন।
মরহুম শাহীন রেজা নূরের মরদেহ কোথায় দাফন করা হবে, তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হলে কানাডাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে ওটোয়াস্থ হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, তাঁর বাবা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন এবং দেশ গড়ার ক্ষেত্রেও তার অবদান অনেক। হাই কমিশনার তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক: শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক বার্তা সম্পাদক শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শাহীন রেজা নূরের মৃত্যুতে বাঙালী জাতি একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অধিকারী ব্যক্তিত্বকে হারালো। ড. মোমেন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

আমির হোসেন আমুর শোক: সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। এক শোক বার্তায় আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণআন্দোলনে শাহীন রেজা নূরের অবদান অবিস্মরণীয়। তার মৃত্যুতে জাতি একজন গুণী ব্যক্তিকে হারালো।
নূরে আলম সিদ্দিকীর শোক: এক বার্তায় গভীর শোক জানিয়েছেন স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহŸায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, শাহীন রেজা নূরের মতো সত্যনিষ্ঠ, গভীর দেশপ্রেম ও সামাজের প্রতি এমন দায়বদ্ধ সাংবাদিক এই সময়ে বিরল। কীর্তিমান এই যোগ্য মানুষের মৃত্যু জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গণআন্দোলনে শাহীন রেজা নূরের ভূমিকা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। নূরে আলম সিদ্দিকী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।