নিউইয়র্ক ১২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খালেদা জিয়ার বিষয়ে কিছুই জানে না বিএনপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৫৫ বার পঠিত

কিরণ শেখ: খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফায় মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৫ মার্চ। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবারো আবেদন করা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না দলটির শীর্ষ নেতারা। এবিষয়ে পরিবারের সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে তার পরিবারের উপর নির্ভর করছে। আর আমরা রাজনৈতিকভাবে এটা জানি না।
২০০৮ সালের ফেব্রæয়ারীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়। ১০ বছর পর ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রæয়ারীতে মামলার রায়ে ৫ বছরের কারাদন্ড হয়। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। আরেকটি মামলায় তার ৭ বছরের কারাদন্ড হয়।
কারাগারে বন্দি হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রায় ১১ মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বেগম জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়া

বন্দির ৭৭৬ দিন পর গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক কারণে দন্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে আবারো আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরো ৬ মাসের জন্য বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকেই মুক্ত জীবন যাপন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে মুক্ত জীবন যাপন করলেও তিনি নিজ বাসভবন থেকে বের হন না।
মুক্তির শর্ত দুটি হলো- তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। দ্বিতীয় দফায় মুক্তির ক্ষেত্রেও আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে গত ১০ মাসের অধিক সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত জীবন যাপন করলেও একে মুক্ত বলতে নারাজ বিএনপি। দলটি বলছে, বেগম জিয়া মুক্ত না। বরং উনাকে জেলবন্দি থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, আবেদনের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলটির আইনজীবীরা। তবে কবে নাগাদ বেগম জিয়ার সঙ্গে আইনজীবীরা আলোচনায় বসবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু খুব শিগগিরই আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ভালো বলতে পারবো না। তবে হয়তো পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, মুক্তি পেয়ে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় গিয়ে উঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। ওই দিন থেকেই ফিরোজার দোতলার ঘর রুমে খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বেগম জিয়ার চিকিৎসার সব কিছু লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তত্ত¡াবধায়ন করছেন। আর তার সঙ্গে নার্সসহ কয়েকজন আছে।
এর বাইরে প্রায় প্রতিদিনই বেগম জিয়ার ভাই ও বোন উনা’র সঙ্গে দেখা করতে যান। আর প্রায় দিনই বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানে দলীয় নেতাদের ডেকে নিয়ে কথা বলেন। (বাংলাদেশ জার্নাল)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

খালেদা জিয়ার বিষয়ে কিছুই জানে না বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

কিরণ শেখ: খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফায় মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৫ মার্চ। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবারো আবেদন করা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না দলটির শীর্ষ নেতারা। এবিষয়ে পরিবারের সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে তার পরিবারের উপর নির্ভর করছে। আর আমরা রাজনৈতিকভাবে এটা জানি না।
২০০৮ সালের ফেব্রæয়ারীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়। ১০ বছর পর ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রæয়ারীতে মামলার রায়ে ৫ বছরের কারাদন্ড হয়। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। আরেকটি মামলায় তার ৭ বছরের কারাদন্ড হয়।
কারাগারে বন্দি হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রায় ১১ মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বেগম জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়া

বন্দির ৭৭৬ দিন পর গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক কারণে দন্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে আবারো আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরো ৬ মাসের জন্য বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকেই মুক্ত জীবন যাপন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে মুক্ত জীবন যাপন করলেও তিনি নিজ বাসভবন থেকে বের হন না।
মুক্তির শর্ত দুটি হলো- তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। দ্বিতীয় দফায় মুক্তির ক্ষেত্রেও আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে গত ১০ মাসের অধিক সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত জীবন যাপন করলেও একে মুক্ত বলতে নারাজ বিএনপি। দলটি বলছে, বেগম জিয়া মুক্ত না। বরং উনাকে জেলবন্দি থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, আবেদনের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলটির আইনজীবীরা। তবে কবে নাগাদ বেগম জিয়ার সঙ্গে আইনজীবীরা আলোচনায় বসবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু খুব শিগগিরই আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ভালো বলতে পারবো না। তবে হয়তো পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, মুক্তি পেয়ে গুলশানের ভাড়া বাড়ি ফিরোজায় গিয়ে উঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। ওই দিন থেকেই ফিরোজার দোতলার ঘর রুমে খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বেগম জিয়ার চিকিৎসার সব কিছু লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তত্ত¡াবধায়ন করছেন। আর তার সঙ্গে নার্সসহ কয়েকজন আছে।
এর বাইরে প্রায় প্রতিদিনই বেগম জিয়ার ভাই ও বোন উনা’র সঙ্গে দেখা করতে যান। আর প্রায় দিনই বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানে দলীয় নেতাদের ডেকে নিয়ে কথা বলেন। (বাংলাদেশ জার্নাল)