নিউইয়র্ক ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে প্রথম দক্ষিণ এশীয় লে. কমান্ডার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশী-আমেরিকান লেফটেন্যান্ট শামসুল হক নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)-এর গোয়েন্দা স্কোয়াডে যুক্ত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। এনওয়াইপিডিতে তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) নিউইয়র্কের কুইন্সে এনওয়াইপিডির পুলিশ একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি অভিষেক হন।
লেফটেন্যান্ট শামসুল হকের জন্ম বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জের বাঘার গ্রামে। তার বাবা প্রয়াত আবদুল মুসাব্বির এবং মা প্রয়াত নুরুন নেছা। স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি নিউইয়ের্কের কুইন্সে বসবাস করছেন। তার অন্যান্য ভাই-বোনও যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী এবং নিউইয়র্কে বসবাস করেন।
লেফটেন্যান্ট শামসুল হক

জানা গেছে, শামসুল হক ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর নিউইয়র্কে বাস-বয়, ডেলিভারী ম্যান, ম্যানেজারসহ নানা চাকরি করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং ১৯৯৭ ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজ থেকে এএস এবং বারুক কলেজ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। বারুক কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সিএনইওয়াই ট্রাস্টির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন এবং উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যান। পরে তিনি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মুসলমানদের দোষারোপ করার পর লেফটেন্যান্ট শামসুল হক সিদ্ধান্ত নেন তিনি পুলিশ বিভাগে যোগ দেবেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারীতে শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদানের পর ২০১০ সালে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পেয়ে ব্রঙ্কসে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পেয়ে এনওয়াইপিডি’র অভিজাত অভ্যন্তরীণ বিষয়ক তদন্ত গ্রæপে নিযুক্ত হন।
আমেরিকান গোয়েন্দা স্কোয়াডে প্রথম বংলাদেশী তথা দক্ষিণ এশীয় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টির প্রতিক্রিয়ায় লেফটেন্যান্ট শামসুল হক বলেন, ‘যদিও আমি প্রথম এই কীর্তি গড়েছি, তবে আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই পদে আরো আমেরিকানরা অনেক বাংলাদেশীকে দেখবেন।’
লেফটেন্যান্ট শামসুল হক বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠা। তিনি সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, সংগঠনটি এনওয়াইপিডিতে শত শত বাংলাদেশীকে নিয়োগে সহায়তা করেছে। বর্তমানে এনওয়াইপিডিতে ৩ জন লেফটেন্যান্ট এবং ৩ জন অধিনায়ক সহ প্রায় ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা, সার্জেন্ট রয়েছেন। এ ছাড়াও এনওয়াইপিডি-তে সহ¯্রাধিক ট্রাফিক এজেন্ট কর্মরত রয়েছেন এবং তারা সুনামের সাথেই দায়িত্ব পালন করছেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশী শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে প্রথম দক্ষিণ এশীয় লে. কমান্ডার

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশী-আমেরিকান লেফটেন্যান্ট শামসুল হক নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)-এর গোয়েন্দা স্কোয়াডে যুক্ত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। এনওয়াইপিডিতে তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) নিউইয়র্কের কুইন্সে এনওয়াইপিডির পুলিশ একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি অভিষেক হন।
লেফটেন্যান্ট শামসুল হকের জন্ম বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জের বাঘার গ্রামে। তার বাবা প্রয়াত আবদুল মুসাব্বির এবং মা প্রয়াত নুরুন নেছা। স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি নিউইয়ের্কের কুইন্সে বসবাস করছেন। তার অন্যান্য ভাই-বোনও যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী এবং নিউইয়র্কে বসবাস করেন।
লেফটেন্যান্ট শামসুল হক

জানা গেছে, শামসুল হক ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর নিউইয়র্কে বাস-বয়, ডেলিভারী ম্যান, ম্যানেজারসহ নানা চাকরি করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং ১৯৯৭ ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজ থেকে এএস এবং বারুক কলেজ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। বারুক কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সিএনইওয়াই ট্রাস্টির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন এবং উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যান। পরে তিনি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মুসলমানদের দোষারোপ করার পর লেফটেন্যান্ট শামসুল হক সিদ্ধান্ত নেন তিনি পুলিশ বিভাগে যোগ দেবেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারীতে শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদানের পর ২০১০ সালে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পেয়ে ব্রঙ্কসে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পেয়ে এনওয়াইপিডি’র অভিজাত অভ্যন্তরীণ বিষয়ক তদন্ত গ্রæপে নিযুক্ত হন।
আমেরিকান গোয়েন্দা স্কোয়াডে প্রথম বংলাদেশী তথা দক্ষিণ এশীয় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টির প্রতিক্রিয়ায় লেফটেন্যান্ট শামসুল হক বলেন, ‘যদিও আমি প্রথম এই কীর্তি গড়েছি, তবে আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই পদে আরো আমেরিকানরা অনেক বাংলাদেশীকে দেখবেন।’
লেফটেন্যান্ট শামসুল হক বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠা। তিনি সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, সংগঠনটি এনওয়াইপিডিতে শত শত বাংলাদেশীকে নিয়োগে সহায়তা করেছে। বর্তমানে এনওয়াইপিডিতে ৩ জন লেফটেন্যান্ট এবং ৩ জন অধিনায়ক সহ প্রায় ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা, সার্জেন্ট রয়েছেন। এ ছাড়াও এনওয়াইপিডি-তে সহ¯্রাধিক ট্রাফিক এজেন্ট কর্মরত রয়েছেন এবং তারা সুনামের সাথেই দায়িত্ব পালন করছেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।