নিউইয়র্ক ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমাকে মেরে ফেলতে পারে : কাদের মির্জা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১১৬ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘চারিদিকে বারুদের গন্ধ, অস্ত্র তাক করে রেখেছে, আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমাকে মেরে ফেললে আপনারা জানাযা পড়ে মাটি দিয়ে আসবেন।’ গত ৮ জানুয়ারী শুক্রবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। তিনি এ বাঙালী জাতির জন্য ৩০ বছর আন্দোলন করেছেন, ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন, তিনবার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। সেই নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। ‘আপনারা যে যে দল করেন, শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করেন, আওয়ামী লীগকেও অপছন্দ করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবেন, না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে পরিচিতি পাবো।’
বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, ‘গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রশাসনের লোকজনের কাছে ফল চেয়েছেন। অতি উৎসাহী প্রশাসনের লোকজন গাছসহ নেত্রীকে দিয়েছেন। এতে নেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন বেশি উড়তেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও নিশ্চিত হয়নি। আমি নেত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি সিদ্ধান্ত নিন, মাদক ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা জড়িত থাকতে পারবে না। নেত্রীকে বলব, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করুন।’
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাদের পোষ্টার মাইজদি ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি ও জামায়াত আমার পোষ্টার ছিঁড়ে নাই। আমি আবারও বলছি, বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩-৪টি আসন পাবে। বাকী আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরে যাবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে এ কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানতে হবে। শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী, ১৭ বার তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর ও হাবিবপুর থেকে সাড়ে সাত বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়। তিনি মাস পর আমরা গ্যাস না পেলে শাহজাদপুর ও হাবিবপুরে গিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দেব। আমি প্রথমে আমার কোম্পানীগঞ্জের স্বার্থ দেখব, বাকিটা পরে দেখা যাবে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘আমার নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে চাই- যদি কাগজে লেখ নাম সে নাম মুছে যাবে, পাথরে লেখ নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখ নাম সে নাম রয়ে যাবে। আগামী ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত আমার নাম আপনাদের হৃদয়ে লিখে রাখবেন।’
১৬ জানুয়ারী বসুরহাট পৌর নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৌরসভার ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভা করেন আবদুল কাদের মির্জা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। (বাংলাদেশ জার্নাল)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমাকে মেরে ফেলতে পারে : কাদের মির্জা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

ঢাকা ডেস্ক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘চারিদিকে বারুদের গন্ধ, অস্ত্র তাক করে রেখেছে, আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমাকে মেরে ফেললে আপনারা জানাযা পড়ে মাটি দিয়ে আসবেন।’ গত ৮ জানুয়ারী শুক্রবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। তিনি এ বাঙালী জাতির জন্য ৩০ বছর আন্দোলন করেছেন, ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন, তিনবার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। সেই নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। ‘আপনারা যে যে দল করেন, শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করেন, আওয়ামী লীগকেও অপছন্দ করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবেন, না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে পরিচিতি পাবো।’
বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, ‘গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রশাসনের লোকজনের কাছে ফল চেয়েছেন। অতি উৎসাহী প্রশাসনের লোকজন গাছসহ নেত্রীকে দিয়েছেন। এতে নেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন বেশি উড়তেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও নিশ্চিত হয়নি। আমি নেত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি সিদ্ধান্ত নিন, মাদক ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা জড়িত থাকতে পারবে না। নেত্রীকে বলব, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করুন।’
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাদের পোষ্টার মাইজদি ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি ও জামায়াত আমার পোষ্টার ছিঁড়ে নাই। আমি আবারও বলছি, বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩-৪টি আসন পাবে। বাকী আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরে যাবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে এ কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানতে হবে। শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী, ১৭ বার তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর ও হাবিবপুর থেকে সাড়ে সাত বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়। তিনি মাস পর আমরা গ্যাস না পেলে শাহজাদপুর ও হাবিবপুরে গিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দেব। আমি প্রথমে আমার কোম্পানীগঞ্জের স্বার্থ দেখব, বাকিটা পরে দেখা যাবে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘আমার নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে চাই- যদি কাগজে লেখ নাম সে নাম মুছে যাবে, পাথরে লেখ নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখ নাম সে নাম রয়ে যাবে। আগামী ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত আমার নাম আপনাদের হৃদয়ে লিখে রাখবেন।’
১৬ জানুয়ারী বসুরহাট পৌর নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৌরসভার ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভা করেন আবদুল কাদের মির্জা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। (বাংলাদেশ জার্নাল)