নিউইয়র্ক ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আদম পাচার : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীর ৪৬ মাসের কারাদন্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৮৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আবেদনে ট্রাম্প প্রশাসন যে নতুন বিধান জারী করেছিল তাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত। আদালত সোমবার (১১ জানুয়ারী) ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আবেদনের নতুন যে বিধান জারী করার কথা ছিল তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। ১৪ পাতার রায়ে আদালত বলেছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্বে নিয়োজিত চাদ উলফকে ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ নিয়মানুযায়ী হয়নি। উল্লেখ্য যে, সিনেটের কনফার্মেশন ছাড়াই ট্রাম্প হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান নিয়োগ করেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী হয়নি। কোর্ট বলেছে, এর ফলে উলফ কর্তৃক জারীকৃত যেকোন বিধানই অকার্যকর হবে। কারণ আইনগতভাবে তিনি দায়িত্ব নেননি। কোর্টের এই রায়ের ফলে রাজনৈতিক বিধানের ক্ষেত্রে আগের আইনই বহাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে এক বাংলাদেশীকে ৪৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। একই সঙ্গে পরবর্তী ৩ বছর তার নেটওয়ার্কের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। দন্ডিত ওই বাংলাদেশীর নাম মোক্তার হোসেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে তিনি দীর্ঘ সময় মেক্সিকোর মন্টেরিওতে বসবাস করতেন।
মামলার বিবরণ তুলে ধরে স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোক্তার হোসেন স্বীকার করেছেন যে, তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮’র আগস্ট পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। মন্টেরিতে থেকেই তিনি এ অপকর্ম কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সেখানে তিনি একটি হোটেল ভাড়া করেছিলেন পাচারের শিকার বাংলাদেশীদের রাখার জন্য। টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগে ওই হোটেলেই বাংলাদেশীরা আশ্রয় গ্রহণ করতো। এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য মোক্তার গাড়ি চালকদের অর্থ দিতেন এবং কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি. বার্নস ওই মামলার বিষয়ে বলেন- মামলার আসামি একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন; যিনি মুনাফার জন্য কাজ করতেন এবং যেসব বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতো তাদের শিকার বানাতেন। তার অপরাধ আমলে নিয়ে আদালতের যে দন্ডাদেশ দিয়েছেন তা এ ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িতদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নিরোধক হিসেবে কাজ করে, যারা আর্থিক লাভের জন্য আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়। ‘সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা আসলে একই বিষয়’ মন্তব্য করে টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত ইউএস অ্যাটর্নি রায়ান কে. প্যাট্রিক বলেছেন। অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে জানতে হবে কারা দেশটিতে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, কাউকেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে অবারিত সুযোগ দিতে পারি না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার অফিস সব সহযোগী সংস্থার সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।
সান অ্যান্টোনিওতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এসফোর্সমেন্টের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রতিনিধি শেন ফোল্ডেন বলেন, মোক্তার হোসেনের অপরাধের তদন্ড, বিচার কার্য ও দন্ডাদেশ প্রদানের বিষয়টি আন্তর্দেশীয় তদন্ডে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা এবং বিদেশি প্রতিনিধি সংস্থার সমন্বয়ে আন্তর্দেশীয় তদন্ত কাজ সমন্বয়ে সক্ষমতার অনন্য উদাহরণ। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী অপরাধমূলক পাচার নেটওয়ার্কগুলোকে শক্ত হাতে নির্মূল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করা হবে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আদম পাচার : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীর ৪৬ মাসের কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আবেদনে ট্রাম্প প্রশাসন যে নতুন বিধান জারী করেছিল তাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত। আদালত সোমবার (১১ জানুয়ারী) ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আবেদনের নতুন যে বিধান জারী করার কথা ছিল তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। ১৪ পাতার রায়ে আদালত বলেছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্বে নিয়োজিত চাদ উলফকে ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ নিয়মানুযায়ী হয়নি। উল্লেখ্য যে, সিনেটের কনফার্মেশন ছাড়াই ট্রাম্প হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান নিয়োগ করেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী হয়নি। কোর্ট বলেছে, এর ফলে উলফ কর্তৃক জারীকৃত যেকোন বিধানই অকার্যকর হবে। কারণ আইনগতভাবে তিনি দায়িত্ব নেননি। কোর্টের এই রায়ের ফলে রাজনৈতিক বিধানের ক্ষেত্রে আগের আইনই বহাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে এক বাংলাদেশীকে ৪৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। একই সঙ্গে পরবর্তী ৩ বছর তার নেটওয়ার্কের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। দন্ডিত ওই বাংলাদেশীর নাম মোক্তার হোসেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে তিনি দীর্ঘ সময় মেক্সিকোর মন্টেরিওতে বসবাস করতেন।
মামলার বিবরণ তুলে ধরে স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোক্তার হোসেন স্বীকার করেছেন যে, তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮’র আগস্ট পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। মন্টেরিতে থেকেই তিনি এ অপকর্ম কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সেখানে তিনি একটি হোটেল ভাড়া করেছিলেন পাচারের শিকার বাংলাদেশীদের রাখার জন্য। টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগে ওই হোটেলেই বাংলাদেশীরা আশ্রয় গ্রহণ করতো। এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য মোক্তার গাড়ি চালকদের অর্থ দিতেন এবং কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি. বার্নস ওই মামলার বিষয়ে বলেন- মামলার আসামি একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন; যিনি মুনাফার জন্য কাজ করতেন এবং যেসব বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতো তাদের শিকার বানাতেন। তার অপরাধ আমলে নিয়ে আদালতের যে দন্ডাদেশ দিয়েছেন তা এ ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িতদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নিরোধক হিসেবে কাজ করে, যারা আর্থিক লাভের জন্য আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়। ‘সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা আসলে একই বিষয়’ মন্তব্য করে টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত ইউএস অ্যাটর্নি রায়ান কে. প্যাট্রিক বলেছেন। অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে জানতে হবে কারা দেশটিতে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, কাউকেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে অবারিত সুযোগ দিতে পারি না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার অফিস সব সহযোগী সংস্থার সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।
সান অ্যান্টোনিওতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এসফোর্সমেন্টের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রতিনিধি শেন ফোল্ডেন বলেন, মোক্তার হোসেনের অপরাধের তদন্ড, বিচার কার্য ও দন্ডাদেশ প্রদানের বিষয়টি আন্তর্দেশীয় তদন্ডে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা এবং বিদেশি প্রতিনিধি সংস্থার সমন্বয়ে আন্তর্দেশীয় তদন্ত কাজ সমন্বয়ে সক্ষমতার অনন্য উদাহরণ। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী অপরাধমূলক পাচার নেটওয়ার্কগুলোকে শক্ত হাতে নির্মূল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করা হবে।