নিউইয়র্ক ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সোনার বাংলা গড়তে চাই দেশপ্রেম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১১৩ বার পঠিত

মন্তব্য প্রতিবেদন: ষোলই ডিসেম্বর বাংলাদেশ’র ৪৯তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের মার্চ-ডিসেম্বর এই ৯ মাসের সশ¯্র সংগ্রমের মধ্যদিয়ে বাঙালী স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পায় স্বাধীন-সর্বভৌম বাংলাদেশ, উর্ধ্বাকাশে পত পত করে উড়ে ‘সবুজে ঘেরা লাল’ পতাকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ‘স্বপ্নদ্রষ্টা’ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ‘স্বাধীনতার স্থপতি’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়উর রহমান এবং প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী (এম এ জি ওসমানী), মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ-এর নেতৃত্বের পথ ধরেই একাত্তুরে সর্বস্তরের লাখো বাঙালীর প্রাণ আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উচু করে এগিয়ে চলেছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, মানননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আসছে নতুন বছর বাঙালী জাতি তাদের বিজয়ে ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। এজন্য দেশে-প্রবাসে চলছে নানা প্রস্তুতি। কিন্তু স্বাধীনতার এই ৪৯ বছরে পা রেখেও জাতি আজো নানাভাবে প্রশ্নাপেক্ষি। মহান মুক্তিযদ্ধের চেতনা কি, কোয় সেই চেতনা? কেন আজো স্বাধীনতার বিষয়ে নানা প্রশ্ন, কেনো আজো স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের তালিকা পরিপূর্ণ হয়নি? কোথায় সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা? কেনই বা ‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’র বিষয় খবরের শিরোনাম? কেনই বা দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন। কেনইবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, গুম-খুন, হত্যার রাজনীতির অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ? কোথায় বিরোধী দল? কোথায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার, রাজনৈতিক সহনশীলতা? কোথায় সততা? অপরদিকে দেশের কোথায় নেই দূর্নীতি? বিদেশে কেনো দেশের অর্থ পাচার? কেনই বা কানাডায় ‘বেগম পাড়া’ আর আমেরিকায় ‘সাহেব পাড়া’ গড়ে উঠার শিরোনাম মিডিয়ায়? এসব প্রশ্নে উত্তর কোথায়? সর্বপরি কোথায় বঙ্গবন্ধু’র জীনের শেষ চাওয়া-পাওয়া সেই ‘সোনার বাংলা’?
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৯ বছরের জাতিকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কথা শুনতে হচ্ছে। কিন্তু সেই সোনার বাংলা আজো ‘সোনার হরিণ’ হয়েই আছে। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবার আগে চাই ‘দেশপ্রেম’। সবার আগে চাই ‘মা-মাটি-দেশ’-কে ভালোবাসার অঙ্গীকার। সেই দেশপ্রেম কি আমাদের মধ্যে আছে? স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে এসেও কি আমরা সেই দেশপ্রেম গড়তে পেরেছি। আর যদি তাই পারি তাহলে কেনো দেশের সর্বত্রই দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি। কেন ভোটারবিহীন ক্ষমতারোহণ? কেন দেশের রাজনীতি বিরোধীদল শূন্য? কেন রাজনীতিতে হানাহানী-মারামারী, মিথ্যা মামলা, খুন-গুমের অভিযোগ? আমরা বিশ্বাস করি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের মধ্যে এসব অভিযোগ আশ্রয়-প্রশয় পাবে না, পেতে পারে না। যেখানে স্বজনপ্রিয়তা, ব্যক্তি পূজা, ব্যক্তি স্বার্থ বড়, যেখানে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, দেশপ্রেম-এর কথা যত সহজে বলা যায়, সেখানে তা অর্জন কি এতোই সহজ? তাই ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সবার আগে চাই ‘সততার সাথে দেশপ্রেম’, কঠিন ‘দেশপ্রেম’মনে রাখতে হবে- ‘ব্যক্তির চেয়ে, দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সোনার বাংলা গড়তে চাই দেশপ্রেম

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

মন্তব্য প্রতিবেদন: ষোলই ডিসেম্বর বাংলাদেশ’র ৪৯তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের মার্চ-ডিসেম্বর এই ৯ মাসের সশ¯্র সংগ্রমের মধ্যদিয়ে বাঙালী স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পায় স্বাধীন-সর্বভৌম বাংলাদেশ, উর্ধ্বাকাশে পত পত করে উড়ে ‘সবুজে ঘেরা লাল’ পতাকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ‘স্বপ্নদ্রষ্টা’ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ‘স্বাধীনতার স্থপতি’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়উর রহমান এবং প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী (এম এ জি ওসমানী), মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ-এর নেতৃত্বের পথ ধরেই একাত্তুরে সর্বস্তরের লাখো বাঙালীর প্রাণ আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উচু করে এগিয়ে চলেছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, মানননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আসছে নতুন বছর বাঙালী জাতি তাদের বিজয়ে ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। এজন্য দেশে-প্রবাসে চলছে নানা প্রস্তুতি। কিন্তু স্বাধীনতার এই ৪৯ বছরে পা রেখেও জাতি আজো নানাভাবে প্রশ্নাপেক্ষি। মহান মুক্তিযদ্ধের চেতনা কি, কোয় সেই চেতনা? কেন আজো স্বাধীনতার বিষয়ে নানা প্রশ্ন, কেনো আজো স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের তালিকা পরিপূর্ণ হয়নি? কোথায় সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা? কেনই বা ‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’র বিষয় খবরের শিরোনাম? কেনই বা দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন। কেনইবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, গুম-খুন, হত্যার রাজনীতির অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ? কোথায় বিরোধী দল? কোথায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার, রাজনৈতিক সহনশীলতা? কোথায় সততা? অপরদিকে দেশের কোথায় নেই দূর্নীতি? বিদেশে কেনো দেশের অর্থ পাচার? কেনই বা কানাডায় ‘বেগম পাড়া’ আর আমেরিকায় ‘সাহেব পাড়া’ গড়ে উঠার শিরোনাম মিডিয়ায়? এসব প্রশ্নে উত্তর কোথায়? সর্বপরি কোথায় বঙ্গবন্ধু’র জীনের শেষ চাওয়া-পাওয়া সেই ‘সোনার বাংলা’?
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৯ বছরের জাতিকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কথা শুনতে হচ্ছে। কিন্তু সেই সোনার বাংলা আজো ‘সোনার হরিণ’ হয়েই আছে। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবার আগে চাই ‘দেশপ্রেম’। সবার আগে চাই ‘মা-মাটি-দেশ’-কে ভালোবাসার অঙ্গীকার। সেই দেশপ্রেম কি আমাদের মধ্যে আছে? স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে এসেও কি আমরা সেই দেশপ্রেম গড়তে পেরেছি। আর যদি তাই পারি তাহলে কেনো দেশের সর্বত্রই দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি। কেন ভোটারবিহীন ক্ষমতারোহণ? কেন দেশের রাজনীতি বিরোধীদল শূন্য? কেন রাজনীতিতে হানাহানী-মারামারী, মিথ্যা মামলা, খুন-গুমের অভিযোগ? আমরা বিশ্বাস করি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের মধ্যে এসব অভিযোগ আশ্রয়-প্রশয় পাবে না, পেতে পারে না। যেখানে স্বজনপ্রিয়তা, ব্যক্তি পূজা, ব্যক্তি স্বার্থ বড়, যেখানে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, দেশপ্রেম-এর কথা যত সহজে বলা যায়, সেখানে তা অর্জন কি এতোই সহজ? তাই ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সবার আগে চাই ‘সততার সাথে দেশপ্রেম’, কঠিন ‘দেশপ্রেম’মনে রাখতে হবে- ‘ব্যক্তির চেয়ে, দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’।