হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার রুহুল আমীন গাজীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বুধবার (২২ অক্টোবর) অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে। আদালতে আসামিপক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন আবেদন করা হয়। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আসামির জামিন নাকচ করে সাংবাদিক নেতা গাজীকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।
আজাদ রহমান জানান, রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল থানার নন-প্রসিকিউশন মামলায় (জিডি) আসামির বিরুদ্ধে গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পুলিশ সেই পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করে। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, রুহুল আমিন গাজীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, রুহুল আমীন গাজীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল এবং ঐ মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। আদালতে হাজিরা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যূ হয়।
রহুল আমীন গাজীর মুক্তি দাবি: এদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে (একাংশ) ও ডিইউজে (একাংশ) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রুহুল আমীন গাজীর মুক্তি দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। সমাবেশ থেকে রুহুল আমীন গাজীসহ সকল সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে ডিইউজের উদ্যোগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দেয়া হয়।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, রাশেদুল হক প্রমুখ।