নিউইয়র্কঃ ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে গত ৪ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় অনলাইনে জুম-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের পাঠ ও আলোচনা সভা। সভায় বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে দেশের সকল শিক্ষা মাধ্যম ও সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।
পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবীর সভাপতিত্বে পাঠ ও আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, আটলান্টা, বোস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া ও অ্যালাব্যামা থেকে নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এতে নেতৃবৃন্দরা বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের বিভিন্ন অংশ পাঠ করেন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন।
সভায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই থেকে বঙ্গবন্ধুর ছাত্র জীবন, শেরে বাংলা ও সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসা, প্রথম জেল খাটা, ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সংবিধান সভায় রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করা ও তার প্রতিবাদ করা, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে দলের স্বার্থে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করা সহ বইয়ের বিভিন্ন অংশ পাঠ করা হয়।
সভায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক আহমেদ হাসান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ সভাপতি ফাহিম রেজা নূর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রানা মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আটলান্টা শাখার আরেফিন চৌধুরী পিয়াল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা যথাক্রমে মোরশেদ আলম, এম এ সালাম ও হাকিকুল ইসলাম খোকন, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল তালুকদার, লেখক ড. আশরাফ আহমেদ, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আটলান্টা শাখার সভাপতি সাংবাদিক রুমি কবির ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান ভুঁইয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বোস্টন শাখার আহবায়ক সফেদা বসু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউ ইংল্যান্ড শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি পাঠ করলেই আমরা বুঝতে পারি জনগণের নেতা হবার যে গুণাবলী দরকার, সেই গুণাবলী বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন থেকেই ছিল। ছাত্র জীবন থেকে তিনি অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন, মানুষের অধিকার নিয়ে চিন্তা করতেন। ছোটবেলা থেকে নিজ বাড়ীতেই আনন্দবাজার, বসুমতী, আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী ও সওগাত পত্রিকা পরে নিজেকে সমৃদ্ধ করতেন। বক্তারা বলেন, রাজনীতির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু একজন ভালো লেখকও ছিলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পড়লে আমরা বঙ্গবন্ধুর কত ভালো লিখতে পারতেন এবং উনার স্মৃতি শক্তি কত প্রখর ছিল তা বুঝতে পারি। পৃথিবীর কম দেশেই জাতির পিতা আছে, সেই দিক দিয়ে আমারা অতি সৌভাগ্যবান যে আমাদের একজন জাতির পিতা আছেন যিনি গান্ধীর মত একজন মহাত্মা, নেহেরুর মত একজন পন্ডিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাফায়েত চৌধুরী সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।