নিউইয়র্ক ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ওই নারীকে এর আগেও দুইবার ধর্ষণ করেছিল দেলোয়ার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ৬৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে ওই নারীকে দুইবার ধর্ষণ করেছিল স্থানীয় ‘দেলোয়ার বাহিনী’র প্রধান দেলোয়ার হোসেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এতে রাজি না হলে নিজ বাহিনী দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিতেন দেলোয়ার। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ-তদন্ত) আল আহমুদ ফয়জুল কবির।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তদলের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই নারী মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এমন অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ও তদন্তদলের প্রধান আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় জাতীয় মানবাধিকারের উপ-পরিচালক গাজী সালাউদ্দিন, নোয়াখালী জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বেগমগঞ্জ থানায় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলেন।
নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মিলনায়তনে আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, নারীর অভিযোগ অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, দেলোয়ার প্রায় সময় তাকে অশোভন প্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে সাড়া দিতে হুমকি-ধমকিও দেওয়া হতো। প্রায় বছরখানেক আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। ভয়ে ও লোকলজ্জায় তিনি এ ঘটনা প্রকাশ করার সাহস পাননি। গৃহবধূ তাদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘গত এক বছর আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে প্রথমে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় দেলোয়ার তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বলেন। তিনি চিৎকারের চেষ্টা করলে দেলোয়ার তাকে হত্যা ও তার দলের লোকজন দিয়ে গণধর্ষণের ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।’
এরপর গত রমজানের কিছুদিন আগে দেলোয়ার তার সহযোগী কালামের মাধ্যমে ওই নারীকে একটি নৌকায় ডেকে পাঠান। সেখানে দেলোয়ার ও কালাম দুজনই তাকে ধর্ষণ করতে চায়। এ সময় তিনি দেলোয়ারের কাছে অনুনয়-বিনয় করলে কালামকে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন দেলোয়ার। এরপর নৌকায় দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করে দেলোয়ার।
আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। চেয়ারম্যানের পরামর্শ মতে তারা ওই নারীকে দিয়ে দেলোয়ার ও কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক একটি মামলা করাবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশনের প্যানেল আইনজীবীরা আদালতে মামলাটি পরিচালনা করবেন। তিনি বলেন, নির্যাতিতার জবানবন্দি অনুযায়ী আজই আমরা প্যানেল আইনজীবীদের মাধ্যমে মামলা করবো।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পরই আমরা পেরেছি। তার আগে আমরা বিষয়টি অবগত ছিলাম না। জানার পর থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। নয়জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে ও সাক্ষ্য-প্রমাণে যদি আরো কারো নাম আসে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আগের অভিযোগের পাশাপাশি ওই নারী এখন যেসব নতুন অভিযোগ করেছেন সেগুলোও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ওই নারীকে এর আগেও দুইবার ধর্ষণ করেছিল দেলোয়ার

প্রকাশের সময় : ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

হককথা ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে ওই নারীকে দুইবার ধর্ষণ করেছিল স্থানীয় ‘দেলোয়ার বাহিনী’র প্রধান দেলোয়ার হোসেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এতে রাজি না হলে নিজ বাহিনী দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিতেন দেলোয়ার। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ-তদন্ত) আল আহমুদ ফয়জুল কবির।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তদলের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই নারী মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এমন অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ও তদন্তদলের প্রধান আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় জাতীয় মানবাধিকারের উপ-পরিচালক গাজী সালাউদ্দিন, নোয়াখালী জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বেগমগঞ্জ থানায় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলেন।
নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মিলনায়তনে আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, নারীর অভিযোগ অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, দেলোয়ার প্রায় সময় তাকে অশোভন প্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে সাড়া দিতে হুমকি-ধমকিও দেওয়া হতো। প্রায় বছরখানেক আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। ভয়ে ও লোকলজ্জায় তিনি এ ঘটনা প্রকাশ করার সাহস পাননি। গৃহবধূ তাদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘গত এক বছর আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে প্রথমে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় দেলোয়ার তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বলেন। তিনি চিৎকারের চেষ্টা করলে দেলোয়ার তাকে হত্যা ও তার দলের লোকজন দিয়ে গণধর্ষণের ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।’
এরপর গত রমজানের কিছুদিন আগে দেলোয়ার তার সহযোগী কালামের মাধ্যমে ওই নারীকে একটি নৌকায় ডেকে পাঠান। সেখানে দেলোয়ার ও কালাম দুজনই তাকে ধর্ষণ করতে চায়। এ সময় তিনি দেলোয়ারের কাছে অনুনয়-বিনয় করলে কালামকে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন দেলোয়ার। এরপর নৌকায় দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করে দেলোয়ার।
আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। চেয়ারম্যানের পরামর্শ মতে তারা ওই নারীকে দিয়ে দেলোয়ার ও কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক একটি মামলা করাবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশনের প্যানেল আইনজীবীরা আদালতে মামলাটি পরিচালনা করবেন। তিনি বলেন, নির্যাতিতার জবানবন্দি অনুযায়ী আজই আমরা প্যানেল আইনজীবীদের মাধ্যমে মামলা করবো।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পরই আমরা পেরেছি। তার আগে আমরা বিষয়টি অবগত ছিলাম না। জানার পর থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। নয়জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে ও সাক্ষ্য-প্রমাণে যদি আরো কারো নাম আসে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আগের অভিযোগের পাশাপাশি ওই নারী এখন যেসব নতুন অভিযোগ করেছেন সেগুলোও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।