নিউইয়র্ক ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বুড়িগঙ্গাা নদীর পানি দুষন বন্ধে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডিকে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৬৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ঢাকার শ্যমপুরের ইন্ডাষ্ট্রিজ এলাকার পরিচালিত বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে বর্জ্য নিঃসরনে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দুষন বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রীট পিটিশন ৩৬৭৬/২০১০ দায়ের করলে ২০১১ সালে হাইকোর্ট রায় দিয়ে ওয়াসার এমডি কে ৬ মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে কারখানার বর্জ্য নিঃসরন লাইন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় একটি সম্পুরক আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদেশের প্রেক্ষিতে গত ৪ মার্চ, ২০২০ তারিখে ওয়াসার এমডি তাকসিম এম খান আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রæতি দেন। পরবর্তিতে ১৮ আগষ্ট, ২০২০ এবং ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় তা গ্রহণ না করে সময় প্রদান করা হয়। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০) শুনানিতে ওয়াসার এমডি পক্ষে আরও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত তা গ্রহণ না করে তাকে সতর্ক করেছেন এবং বার বার সময় নিয়ে রায় বাস্তবায়ন করার তার প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করার বিষয় উল্লেখ করেন। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ওয়াসার এমডি ইচ্ছাকৃতভাবে রায় প্রতিপালন করছে না এবং বার বার এভিডেভিড দিয়ে সময় ক্ষেপন করছেন।
শুনানিতে রীটকারী পক্ষে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, রায় এর পরে ৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও তালবাহানা করে রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না যার কারনে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দুষন বন্ধ হচ্ছে না এবং ওয়াসা তাদের দায়িত্ব বার বার পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০) শুনানি শেষে রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডিকে সতর্ক করে উপরিউক্ত আদেশ প্রদান করেন এবং ১ মাসের মধ্যে আদালতে প্রকৃত বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং পরবর্তি তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২০ নির্ধারন করেন।
একই আদালত এইচআরপিবি-এর করা অপর একটি রীট ১১৩২/২০১৪ মামলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কেরানিগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২ সপ্তাহের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাশে নদী ও নদী তীরে ময়লা/আবর্জনা/বর্জ্য ফেলা ও স্তপ করা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। একই সাথে যে ময়লা আবর্জনা/বর্জ্য ফেলা হয়েছে তা অপসারণ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন, পরবতি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ইটিপি স্থাপন ব্যতিত পরিচালিত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ডিজি পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে সময়ের আবেদন আদালত মঞ্জুর করেন।
আদালতে রীটকারীর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তর-এর পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম এবং ওয়াসার এমডি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট উম্মে সালমা। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বুড়িগঙ্গাা নদীর পানি দুষন বন্ধে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডিকে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

হককথা ডেস্ক: ঢাকার শ্যমপুরের ইন্ডাষ্ট্রিজ এলাকার পরিচালিত বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে বর্জ্য নিঃসরনে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দুষন বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রীট পিটিশন ৩৬৭৬/২০১০ দায়ের করলে ২০১১ সালে হাইকোর্ট রায় দিয়ে ওয়াসার এমডি কে ৬ মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে কারখানার বর্জ্য নিঃসরন লাইন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় একটি সম্পুরক আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদেশের প্রেক্ষিতে গত ৪ মার্চ, ২০২০ তারিখে ওয়াসার এমডি তাকসিম এম খান আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রæতি দেন। পরবর্তিতে ১৮ আগষ্ট, ২০২০ এবং ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় তা গ্রহণ না করে সময় প্রদান করা হয়। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০) শুনানিতে ওয়াসার এমডি পক্ষে আরও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত তা গ্রহণ না করে তাকে সতর্ক করেছেন এবং বার বার সময় নিয়ে রায় বাস্তবায়ন করার তার প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করার বিষয় উল্লেখ করেন। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ওয়াসার এমডি ইচ্ছাকৃতভাবে রায় প্রতিপালন করছে না এবং বার বার এভিডেভিড দিয়ে সময় ক্ষেপন করছেন।
শুনানিতে রীটকারী পক্ষে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, রায় এর পরে ৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও তালবাহানা করে রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না যার কারনে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দুষন বন্ধ হচ্ছে না এবং ওয়াসা তাদের দায়িত্ব বার বার পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০) শুনানি শেষে রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডিকে সতর্ক করে উপরিউক্ত আদেশ প্রদান করেন এবং ১ মাসের মধ্যে আদালতে প্রকৃত বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং পরবর্তি তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২০ নির্ধারন করেন।
একই আদালত এইচআরপিবি-এর করা অপর একটি রীট ১১৩২/২০১৪ মামলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কেরানিগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২ সপ্তাহের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাশে নদী ও নদী তীরে ময়লা/আবর্জনা/বর্জ্য ফেলা ও স্তপ করা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। একই সাথে যে ময়লা আবর্জনা/বর্জ্য ফেলা হয়েছে তা অপসারণ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন, পরবতি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ইটিপি স্থাপন ব্যতিত পরিচালিত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ডিজি পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে সময়ের আবেদন আদালত মঞ্জুর করেন।
আদালতে রীটকারীর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তর-এর পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম এবং ওয়াসার এমডি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট উম্মে সালমা। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি