নিউইয়র্ক ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ডোনাল্ড ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সস্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীরণের চুক্তিতে মধ্যাস্থতা করেন তিনি। ঐতিহাসিক এ শান্তি চুক্তির কারণে ২০২১ সালের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করা হয়। এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ফক্স। নরওয়ের রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য টাইব্রিং-জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।
নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা ফক্স নিউজকে বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) যোগ্যতার জন্য, আমি মনে করি তিনি শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে দেশগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করেছেন।’
টাইব্রিং-জেড্ডে নোবেল কমিটির মনোনয়নের চিঠিতে লিখেছেন, ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে ট্রাম্প প্রশাসন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আশা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। এই চুক্তি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির অঞ্চলে পরিণত করবে।
গত ১১ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বজুড়ে হানাহানি আর সংঘাত বন্ধে সত্যিকার অর্থে যারা অবদান রেখেছেন বা রাখছেন, তাদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেওয়া।
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। ওই বছর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকান্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এগুলো হল- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি। নোবেল পুরস্কারকে এ সব ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সুইডিস বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইলের মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল মৃত্যুর আগে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। শুধুমাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় অসলো, নরওয়ে থেকে। বাকি ক্ষেত্রে স্টকহোম ও সুইডেনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ১২:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

হককথা ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সস্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীরণের চুক্তিতে মধ্যাস্থতা করেন তিনি। ঐতিহাসিক এ শান্তি চুক্তির কারণে ২০২১ সালের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করা হয়। এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ফক্স। নরওয়ের রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য টাইব্রিং-জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।
নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা ফক্স নিউজকে বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) যোগ্যতার জন্য, আমি মনে করি তিনি শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে দেশগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করেছেন।’
টাইব্রিং-জেড্ডে নোবেল কমিটির মনোনয়নের চিঠিতে লিখেছেন, ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে ট্রাম্প প্রশাসন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আশা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। এই চুক্তি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির অঞ্চলে পরিণত করবে।
গত ১১ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বজুড়ে হানাহানি আর সংঘাত বন্ধে সত্যিকার অর্থে যারা অবদান রেখেছেন বা রাখছেন, তাদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেওয়া।
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। ওই বছর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকান্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এগুলো হল- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি। নোবেল পুরস্কারকে এ সব ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সুইডিস বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইলের মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল মৃত্যুর আগে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। শুধুমাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় অসলো, নরওয়ে থেকে। বাকি ক্ষেত্রে স্টকহোম ও সুইডেনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। (দৈনিক যুগান্তর)