নিউইয়র্ক ১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, এখনও শংকামুক্ত নন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৪১ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনি এখনও শংকামুক্ত নন। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার (বাংলাদেশ সময়) পর শুরু হওয়া অস্ত্রোপচার ১১টা ৫মিনিটের দিকে সম্পন্ন হয়। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
ডা. বদরুল আলম জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারবেশনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। এর আগে রাত ৯টার দিকে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। প্রেশার চেক করে, অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, দুর্বৃত্তের হামলায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার বাম দিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথার কিছু অংশ ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে প্রেশার তৈরি করেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটি অপসারণ করা গেলে অবস্থার উন্নতি হবে এমন আশা থেকে তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউএনও ওয়াহিদার সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আরেক খবরে প্রকাশ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে আসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইউএনওদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে ডিসি সম্মেলনে একটা দাবি ছিল। সেটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনেও আছে। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও জননিরাপত্তা সচিব এবং অর্থ সচিবের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউএনওদের বাড়িতে পাহারা দেয়ার জন্য আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য নিয়োগ করা বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী দু’জন তরুণ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে তাদের হালকা স্বাস্থ্য। তবে তাদের চেহারা পুরো বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি আশাবাদী, খুব দ্রæত তাদের গ্রেফতার করতে পারবেন। ইতোমধ্যে সিসিক্যামেরা ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা গেছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয় বলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ জানায়, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার পরে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনও’র বাসভবনের টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল উপস্থিত হন।
পরে ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকার আনা হয়। আর তার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে বাবা ওমর আলী থাকতেন। তিনি নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, এখনও শংকামুক্ত নন

প্রকাশের সময় : ১০:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা ডেস্ক: দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনি এখনও শংকামুক্ত নন। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার (বাংলাদেশ সময়) পর শুরু হওয়া অস্ত্রোপচার ১১টা ৫মিনিটের দিকে সম্পন্ন হয়। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
ডা. বদরুল আলম জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারবেশনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। এর আগে রাত ৯টার দিকে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। প্রেশার চেক করে, অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, দুর্বৃত্তের হামলায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার বাম দিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথার কিছু অংশ ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে প্রেশার তৈরি করেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটি অপসারণ করা গেলে অবস্থার উন্নতি হবে এমন আশা থেকে তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউএনও ওয়াহিদার সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আরেক খবরে প্রকাশ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে আসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইউএনওদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে ডিসি সম্মেলনে একটা দাবি ছিল। সেটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনেও আছে। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও জননিরাপত্তা সচিব এবং অর্থ সচিবের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউএনওদের বাড়িতে পাহারা দেয়ার জন্য আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য নিয়োগ করা বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী দু’জন তরুণ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে তাদের হালকা স্বাস্থ্য। তবে তাদের চেহারা পুরো বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি আশাবাদী, খুব দ্রæত তাদের গ্রেফতার করতে পারবেন। ইতোমধ্যে সিসিক্যামেরা ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা গেছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয় বলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ জানায়, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার পরে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনও’র বাসভবনের টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল উপস্থিত হন।
পরে ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকার আনা হয়। আর তার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে বাবা ওমর আলী থাকতেন। তিনি নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। (দৈনিক যুগান্তর)