নিউইয়র্ক ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আদালতের রায়ে বিএনপির অস্তিত্ব থাকে না : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ১০৪৪ বার পঠিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আদালতের রায় মানে না। আদালতের রায় অনুযায়ী বিএনপি নামে রাজনৈতিক দলের অস্তিতই¡ থাকে না। তিনি বলেন ’৭৫-এ ‘জাতির পিতা’কে হত্যার পর কারাগারে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। হাইকোর্টে রায় হয়েছে এই ক্ষমতা দখল অবৈধ ছিল। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে তৈরি সংগঠন হচ্ছে বিএনপি। যদি এই রায়ের কার্যকারিতা আমরা মনে করি, তাহলে বিএনপি নামে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বিএনপি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশব্যাপী নাশকতার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে তাদের বিচার হবেই। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা ইতোমধ্যে জানা গেছে। নাশকতাকারী সন্দেহে যারা আটক তাদের জবানবন্দী থেকেই এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে বসে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তা নেয়া হবে। খুনের দায় এড়াতে পারবেন না খালেদা জিয়া। সরকারদলীয় অরেক সদস্য শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন তার আপন গতিতে চলবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনের নিজস্ব গতিতে সেই মামলার বিচার হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার, নেয়া হবে। বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান নাশকতা আইএস’র মতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত আইনেই নাশকতার বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। পেট্রোল বোমা আর আগুনে পুড়িয়ে মানুষ খুনের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে, তবে বিচার যেন দ্রুত হয় সেজন্য আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো। সংসদে এ সময় দেশবাসীকেও এসব নাশকতাকারী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারা এই নাশকতায় জড়িত তা দেশবাসী জানে। এ জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান তারা যেন ওইসব নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ওইসব নাশকতাকারীদের নাম প্রকাশ করে, তাদের বাড়িঘর চিনিয়ে দেয়। তাহলে আর বোমাবাজরা মানুষ মারতে পারবে না। তারা নির্মূল হবে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী আইএস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশে পেট্রোল বোমা মেরে আর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কোন জঙ্গির স্থান হবে না। তাদের পোস্টার ছাপিয়ে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে কঠোর হওয়ারও নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। বিএনপি কোর্টের রায় মানে না। রায় মেনে নিলে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির অস্তিত্তই থাকে না। ’৭৫ থেকে ৭৯ সাল পর্যন্ত জিয়া ১৯টি ক্যু করে দেশে অবৈধ শাসন চালিয়েছেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বর্তমান বিএনপিও সেই পথে হাঁটছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এর আগে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ ঝেরেছেন, হত্যা-নির্যাতন করেছেন। কিন্তু এবার তিনি দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও হত্যা-নির্যাতন চালাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ কি ক্ষতি করেছে, কেন তিনি কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করছেন? কী চান তিনি? এ সময় ২০ দলের হরতাল-অবরোধের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এতকিছুর মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান থাকার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে যারা দেশকে পেছনে নিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যা করেছে। উনার স্ত্রী ক্ষমতায় এসে হত্যা করছে। এবার তারা শুরু করেছে জনগণের ওপর আক্রমণ। কোনো কিছু তাদের আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার যত ক্ষোভ যেন বাংলাদেশের মানুষের ওপর। আক্রমণ করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে একটার পর একটা। আর ধারাবাহিকভাবে হরতাল দিতে শুরু করল। কুকুরে কামড় দিলেও আমরা কুকুরকে কামড়াতে পারি না। তিনি বলেন, ২ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা। ২ তারিখ থেকেই যেন উনার হরতালও পেয়ে গেল। উনার হরতাল কেউ মানে না। হরতাল হচ্ছে কোথায়? রাস্তাঘাটে যানজট। দোকানপাট মানুষ খুলছে, কিন্তু ভয় মানুষের মাঝে। কেন? উনি পুড়িয়ে মানুষ মারছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া এটা আর কিছুই না।
সংসদ নেত্রী বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা মোহে এত মোহিত হয়ে আছেন যে ছেলের শোক ওনার আছে কী না সন্দেহ? আজ পর্যন্ত নিজের ছেলের কবরটা জিয়ারত করতে যান নাই, দোয়া করতে যান নাই। কুলখানি-দোয়া মাহফিল সেগুলোর দিকে ওনার হুশ নাই। সাধারণ মানুষ কী অপরাধ করেছে? সাধারণ মানুষের ওপর এই জুলুম উনি কেন করছেন? ওনার অর্জনটা কী হচ্ছে সেটা আমি জানি না। উনি খুন-খারাবি চালিয়েই যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে উনি মানুষ হত্যা করেছেন। এখন উনি না বিরোধী দলে, না ক্ষমতায়। উনার ভুল সিদ্ধান্ত উনি নির্বাচনে আসেন নাই। জামায়াতের খাতিরে নির্বাচনে আসেন নাই। এখন জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। তার ফলে যেটা দাঁড়াচ্ছে এই বিএনপির নাম সাধারণ মানুষ মুখে নেবে না। বিএনপির নাম শুনলেই মানুষ মুখে থুতু মারবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জায়গায় বিএনপি ও জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এর বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। এত বড় অন্যায় বরদাস্ত করা যায় না। এই অন্যায় বরদাস্ত করলে এই দেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। এর বিচার হবে। (দৈনিক ইনকিলাব)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আদালতের রায়ে বিএনপির অস্তিত্ব থাকে না : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আদালতের রায় মানে না। আদালতের রায় অনুযায়ী বিএনপি নামে রাজনৈতিক দলের অস্তিতই¡ থাকে না। তিনি বলেন ’৭৫-এ ‘জাতির পিতা’কে হত্যার পর কারাগারে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। হাইকোর্টে রায় হয়েছে এই ক্ষমতা দখল অবৈধ ছিল। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে তৈরি সংগঠন হচ্ছে বিএনপি। যদি এই রায়ের কার্যকারিতা আমরা মনে করি, তাহলে বিএনপি নামে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বিএনপি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশব্যাপী নাশকতার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে তাদের বিচার হবেই। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা ইতোমধ্যে জানা গেছে। নাশকতাকারী সন্দেহে যারা আটক তাদের জবানবন্দী থেকেই এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে বসে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তা নেয়া হবে। খুনের দায় এড়াতে পারবেন না খালেদা জিয়া। সরকারদলীয় অরেক সদস্য শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন তার আপন গতিতে চলবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনের নিজস্ব গতিতে সেই মামলার বিচার হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার, নেয়া হবে। বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান নাশকতা আইএস’র মতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত আইনেই নাশকতার বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। পেট্রোল বোমা আর আগুনে পুড়িয়ে মানুষ খুনের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে, তবে বিচার যেন দ্রুত হয় সেজন্য আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো। সংসদে এ সময় দেশবাসীকেও এসব নাশকতাকারী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারা এই নাশকতায় জড়িত তা দেশবাসী জানে। এ জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান তারা যেন ওইসব নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ওইসব নাশকতাকারীদের নাম প্রকাশ করে, তাদের বাড়িঘর চিনিয়ে দেয়। তাহলে আর বোমাবাজরা মানুষ মারতে পারবে না। তারা নির্মূল হবে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী আইএস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশে পেট্রোল বোমা মেরে আর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কোন জঙ্গির স্থান হবে না। তাদের পোস্টার ছাপিয়ে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে কঠোর হওয়ারও নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। বিএনপি কোর্টের রায় মানে না। রায় মেনে নিলে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির অস্তিত্তই থাকে না। ’৭৫ থেকে ৭৯ সাল পর্যন্ত জিয়া ১৯টি ক্যু করে দেশে অবৈধ শাসন চালিয়েছেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বর্তমান বিএনপিও সেই পথে হাঁটছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এর আগে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ ঝেরেছেন, হত্যা-নির্যাতন করেছেন। কিন্তু এবার তিনি দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও হত্যা-নির্যাতন চালাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ কি ক্ষতি করেছে, কেন তিনি কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করছেন? কী চান তিনি? এ সময় ২০ দলের হরতাল-অবরোধের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এতকিছুর মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান থাকার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে যারা দেশকে পেছনে নিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যা করেছে। উনার স্ত্রী ক্ষমতায় এসে হত্যা করছে। এবার তারা শুরু করেছে জনগণের ওপর আক্রমণ। কোনো কিছু তাদের আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার যত ক্ষোভ যেন বাংলাদেশের মানুষের ওপর। আক্রমণ করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে একটার পর একটা। আর ধারাবাহিকভাবে হরতাল দিতে শুরু করল। কুকুরে কামড় দিলেও আমরা কুকুরকে কামড়াতে পারি না। তিনি বলেন, ২ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা। ২ তারিখ থেকেই যেন উনার হরতালও পেয়ে গেল। উনার হরতাল কেউ মানে না। হরতাল হচ্ছে কোথায়? রাস্তাঘাটে যানজট। দোকানপাট মানুষ খুলছে, কিন্তু ভয় মানুষের মাঝে। কেন? উনি পুড়িয়ে মানুষ মারছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া এটা আর কিছুই না।
সংসদ নেত্রী বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা মোহে এত মোহিত হয়ে আছেন যে ছেলের শোক ওনার আছে কী না সন্দেহ? আজ পর্যন্ত নিজের ছেলের কবরটা জিয়ারত করতে যান নাই, দোয়া করতে যান নাই। কুলখানি-দোয়া মাহফিল সেগুলোর দিকে ওনার হুশ নাই। সাধারণ মানুষ কী অপরাধ করেছে? সাধারণ মানুষের ওপর এই জুলুম উনি কেন করছেন? ওনার অর্জনটা কী হচ্ছে সেটা আমি জানি না। উনি খুন-খারাবি চালিয়েই যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে উনি মানুষ হত্যা করেছেন। এখন উনি না বিরোধী দলে, না ক্ষমতায়। উনার ভুল সিদ্ধান্ত উনি নির্বাচনে আসেন নাই। জামায়াতের খাতিরে নির্বাচনে আসেন নাই। এখন জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। তার ফলে যেটা দাঁড়াচ্ছে এই বিএনপির নাম সাধারণ মানুষ মুখে নেবে না। বিএনপির নাম শুনলেই মানুষ মুখে থুতু মারবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জায়গায় বিএনপি ও জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এর বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। এত বড় অন্যায় বরদাস্ত করা যায় না। এই অন্যায় বরদাস্ত করলে এই দেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। এর বিচার হবে। (দৈনিক ইনকিলাব)