নিউইয়র্ক ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু: ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: কক্সবাজার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুরস্থ পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ আগষ্ট) সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান কক্সবাজারে পৌঁছেন বেলা ১১টার দিকে। পরে কক্সবাজার সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে এক সমন্বয় সভা করেন।
এসময় কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শকের মনোনীত অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের মনোনীত লে. কর্নেল এসএম সাজ্জাদ এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মো. শাহাজান আলী উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের জন্য কমিটির সবাইকে নিয়ে একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনা মতে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বেঁধে দেয়া ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে দাখিল করা হবে। তবে তদন্ত কমিটি কীভাবে, কী এগিয়ে নেবে সেসব জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে গত ৩১ জুলাই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনার পর প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও পরে তা পুনর্গঠন করা হয়। গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুনর্গঠন করা কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। তাছাড়া কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির একজন প্রতিনিধি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর পরেই ২ আগস্ট কক্সবাজারে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. জাকির হোসেন। গত ৩ আগষ্ট সোমবার বিকালে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ পরিদর্শন করেন ডিআইজি। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে কিছুই বলেননি। তবে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার পর থেকে পুরো কক্সবাজার জুড়ে এক অজানা আতংক বিরাজ করছে। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু: ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

হককথা ডেস্ক: কক্সবাজার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুরস্থ পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ আগষ্ট) সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান কক্সবাজারে পৌঁছেন বেলা ১১টার দিকে। পরে কক্সবাজার সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে এক সমন্বয় সভা করেন।
এসময় কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শকের মনোনীত অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ জাকির হোসেন, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের মনোনীত লে. কর্নেল এসএম সাজ্জাদ এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মো. শাহাজান আলী উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের জন্য কমিটির সবাইকে নিয়ে একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনা মতে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বেঁধে দেয়া ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে দাখিল করা হবে। তবে তদন্ত কমিটি কীভাবে, কী এগিয়ে নেবে সেসব জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে গত ৩১ জুলাই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনার পর প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও পরে তা পুনর্গঠন করা হয়। গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুনর্গঠন করা কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। তাছাড়া কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির একজন প্রতিনিধি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর পরেই ২ আগস্ট কক্সবাজারে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. জাকির হোসেন। গত ৩ আগষ্ট সোমবার বিকালে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ পরিদর্শন করেন ডিআইজি। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে কিছুই বলেননি। তবে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার পর থেকে পুরো কক্সবাজার জুড়ে এক অজানা আতংক বিরাজ করছে। (দৈনিক যুগান্তর)