নিউইয়র্ক ০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এবার খ্রীষ্টানদের ধর্ম নিয়ে টানাটানি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
  • / ১২২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: চীনের কমিউনিস্ট সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে এই অভিযোগ বহু আগের। এবার নতুন করে খ্রীষ্টান ধর্ম নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে চীন। আবার সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এতে করে অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে বেইজিং। সে দেশের গির্জাগুলোকে আজব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা খ্রীষ্টান ধর্মে কঠিন আঘাত বলে মনে করছেন অনেকে। চীন সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রদেশের গির্জার ক্রশগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি। শুধু গির্জা নয়, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের বাড়িতে যিশুর কোনো ছবি রাখতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আনহুই, জিয়াংসু, হুবেই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন নির্দেশনা জারি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনই তথ্য মিলেছে। এরই মধ্যে ওই সব প্রদেশের গির্জাগুলোতে রাখা ক্রশ নামিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এই প্রদেশ ছাড়াও শাংসি প্রদেশের খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি থেকে যিশুর ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে চীনের কমিউনিস্ট নেতাদের ছবি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ধর্মের ওপর এই রাষ্ট্রীয় আঘাতের নিন্দা করেছে চীনেরই একাংশ মানুষ। স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ, ক্রশ ভেঙে ফেলার জন্য চীনের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি গির্জায় হামলা চালায়। আবার কোথাও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের যিশুর ছবির পরিবর্তে শি জিনপিংয়ের ছবি প্রদর্শন করতে বাধ্য করা হয়।
বিশেষত খ্রীষ্টান ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের দখলদারি মনোভাব নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। শনিবার ও রোববার (১৮ ও ১৯ জুলাই) আনহুই প্রদেশের একাধিক গির্জার ক্রশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্রশ ভাঙতে এলে একাধিক খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে বলপূর্বক তা ভেঙে ফেলা হয়। ঝেজিয়াং প্রদেশে ইয়ঙ্গজিয়া এলাকায় ৭ জুলাই একই ঘটনা ঘটে।
প্রায় একশজন প্রাদেশিক প্রশাসনের কর্মী গির্জা থেকে ক্রশ নামিয়ে ফেলে সেটিকে ধ্বংস্ব করেন। প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব দরিদ্র বাসিন্দারা সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক কল্যাণ বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন, তারা যিশুর আরাধনা করতে পারবেন না। তার বদলে মাও সেতুং ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি রাখতে হবে। একই রকম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়। জানা গেছে, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে কমিউনিস্ট সরকার। সূত্র: ডেইলি মেইল, ইন্ডিয়া টুডে

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এবার খ্রীষ্টানদের ধর্ম নিয়ে টানাটানি

প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

হককথা ডেস্ক: চীনের কমিউনিস্ট সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে এই অভিযোগ বহু আগের। এবার নতুন করে খ্রীষ্টান ধর্ম নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে চীন। আবার সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এতে করে অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে বেইজিং। সে দেশের গির্জাগুলোকে আজব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা খ্রীষ্টান ধর্মে কঠিন আঘাত বলে মনে করছেন অনেকে। চীন সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রদেশের গির্জার ক্রশগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি। শুধু গির্জা নয়, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের বাড়িতে যিশুর কোনো ছবি রাখতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আনহুই, জিয়াংসু, হুবেই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন নির্দেশনা জারি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনই তথ্য মিলেছে। এরই মধ্যে ওই সব প্রদেশের গির্জাগুলোতে রাখা ক্রশ নামিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এই প্রদেশ ছাড়াও শাংসি প্রদেশের খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি থেকে যিশুর ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে চীনের কমিউনিস্ট নেতাদের ছবি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ধর্মের ওপর এই রাষ্ট্রীয় আঘাতের নিন্দা করেছে চীনেরই একাংশ মানুষ। স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ, ক্রশ ভেঙে ফেলার জন্য চীনের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি গির্জায় হামলা চালায়। আবার কোথাও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের যিশুর ছবির পরিবর্তে শি জিনপিংয়ের ছবি প্রদর্শন করতে বাধ্য করা হয়।
বিশেষত খ্রীষ্টান ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের দখলদারি মনোভাব নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। শনিবার ও রোববার (১৮ ও ১৯ জুলাই) আনহুই প্রদেশের একাধিক গির্জার ক্রশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্রশ ভাঙতে এলে একাধিক খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে বলপূর্বক তা ভেঙে ফেলা হয়। ঝেজিয়াং প্রদেশে ইয়ঙ্গজিয়া এলাকায় ৭ জুলাই একই ঘটনা ঘটে।
প্রায় একশজন প্রাদেশিক প্রশাসনের কর্মী গির্জা থেকে ক্রশ নামিয়ে ফেলে সেটিকে ধ্বংস্ব করেন। প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব দরিদ্র বাসিন্দারা সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক কল্যাণ বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন, তারা যিশুর আরাধনা করতে পারবেন না। তার বদলে মাও সেতুং ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি রাখতে হবে। একই রকম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়। জানা গেছে, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে কমিউনিস্ট সরকার। সূত্র: ডেইলি মেইল, ইন্ডিয়া টুডে