পেটারসন সিটির ২নং ওয়ার্ডের পুন: নির্বাচন আগষ্টে : আমাকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : শাহীন খালিক
- প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
- / ২১ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের পেটারসন সিটির ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচন পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এই আসনে বিশেষ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে দুই বাংলদেশী-আমেরিকানের ভোট গণনা এবং পুন: গণনার পর বোর্ড অব ইলেকশন এই আসনে বিশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনে কাউন্সিলম্যান শাহীন খালিক প্রথম গণনায় তার প্রতিদ্ব›িদ্ব সাবেক কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ আকতারুজ্জামানের চেয়ে ৮ ভোটে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে আকতারুজ্জামানের দাবীর প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের গণনায় শাহীন খালিক ১ ভোটে জয়লাভ করলেও এই নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোর্ড অব ইলেকশন বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।
এদিকে সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলম্যান শাহীন খালিক নির্বাচনে কারচুপি এবং তার ভাই ও এক সমর্থক গ্রেফতার হয়েছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর দাবী করেছেন সংশ্লিস্ট ব্যক্তিবর্গসহ পেটারসন প্রবাসী একাধিক বাংলাদেশী। তারা বলেছেন, পেটারসনের ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচন ঘিরে শাহীন খালিক কোন কারচুপির সাথে জড়িত নন এবং তার ভাই বা কোন সমর্থক গ্রেফতার হননি। এ সংক্রান্ত মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
অপরদিকে শাহীন খালিকের সমর্থকদের এক সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। গত ৪ জুলাই শনিবার অপরাহ্নে পেটারসনে শাহীন খালিকের নির্বাচনী অফিসে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ। সভায় শাহীন খালিক সহ মোহাম্মদ আনহার মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান), মোসাব্বির আলী, মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পেটারসনের একটি মহল তাদের পেশীশক্তি ব্যবহার আর ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। আমরা ইতিপূর্বে ভোটের মাধ্যমে শাহীন খালিককে বিজয়ী করেছি এবং আগামী দিনেও তাকে বিজয়ী করে সকল ষড়যন্ত্রেও দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবো। বক্তারা বলেন, স্থানীয় বোর্ড অব ইলেকশনের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় মহলটি শাহীন খালিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বক্তারা বলেন, আমরা পেটারসনবাসী শাহীন খালিকের বিজয় দেখতে চাই এবং এজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ।
বক্তারা বলেন, সেলিম মালিক আমাদের কমিউনিটির একজন সম্মানিত ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও জনদরদী মানুষ। ধর্মীয়ও প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নানা সামাজিক কর্মকান্ডে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। তার মতো একজন সম্মানিত মানুষকে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে ছোট করার অপচেষ্টা চালচ্ছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিকার চাই। বক্তারা বলেন, শাহীন খালিকের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তারা নানান ষড়যন্ত্র করছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়ন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
সভায় শাহীন খালিক বলেন, আমি দ্বিতীয়বারের মতো সিটি কাউন্সিম্যান পদে নির্বাচিত হই। আমি ৮ ভোটের ব্যবধানের জয়ী হলেও সিটি মেয়র, বোর্ড অব ইলেকশনের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আর প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীর ষড়যন্ত্রের শিকার। তাই পেটারসনের ২ নং ওয়ার্ডে বিশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমি জনস্বার্থ বিরোধী মেয়রের কর্মকান্ড সমর্থন না করায় আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চলছে। তবে পেটারসনবাসী আমার সাথে রয়েছেন এবং বিগত দিনের মতো এবারো আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আশা রাখি।
শাহীন খালিক জানান, আমার প্রতিদ্ব›িদ্ব আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে যেভাবে ভোট নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তার ভাইরাল হওয়া ভিডিও ডকুমেন্ট আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীও অনিয়ম, অপপ্রচার প্রশাসনকে অবহিত করেছি এবং আমরা এসব কর্মকান্ডের প্রতিকার ও সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।
সভায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোহাম্মদ এ মজনু, মারুফ উদ্দিন, লুৎফর হুসনাইন, জোয়াদ রহিম, মোহাম্মদ আহমেদ, মেনহাজ আহমেদ, আবু তারেক, নূরুজ্জামান সোহেল, দীপু আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তার ‘গ্রেফতার হওয়া’ ও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সেলিম খালিক বলেন, ‘আমি কখনো গ্রেফতার হয়নি। আমার গ্রেফতার নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর একটি কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্র, মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এই খবরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছি।’
শাহীন খালিক-এর সমর্থক আবু রেজিয়েন-ও তাকে গ্রেফতারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি গ্রেফতার হয়নি। এসব ষড়যন্ত্র।’ (বাংলা পত্রিকা)