নিউইয়র্ক ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কামাল আহমেদ-এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
  • / ৩৪৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির অভিভাবক, সবার পরিচিতি মুখ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ (৬৭)-এর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে তার মরদেহে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবর স্থানে তাদের পারিবারিক কবরে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রোববার ভোর রাত ৪.৩০ মিনিট তিনি নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র, ৫ ভাই ও ৫ বোন সহ অসংখ্য আতœীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। খবর ইউএনএ’র।

মরহুম কামাল আহমেদ-এর ফিউনেরাল বিষয়ে সার্বিক তদারকির দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির অন্যতম ট্রাষ্ট্রি আজিমুর রহমান বুরহান। তিনি জানান, ওজনপার্কের মুসলিম ফিউনেরাল হোমের সোহেল আহমেদ-এর তত্ত¡াবধানে গত ৮ এপ্রিল বুধবার হাসপাতাল থেকে মরহুম কামাল আহমেদ-এর মরদেহ হস্তান্তরের পর এই ফিউনেরাল হোমে রাখা হয় এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতায় ধর্মীয় আর সিটির সকল আইন-কানুন মেনেই পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরহুম কামাল আহমেদ-এর নামাজে জানাজা নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবর স্থানে অনুষ্ঠানের পর তাদের পারিবারিক কবরে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জ্যাকসন হাইটসের মোহাম্মদ সেন্টারের ইমাম কাজী কাইয়্যুম। জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সভাপতি মুস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু ও মরহুম কামাল আহমেদ-এর ভগ্নিপতি ফারুক চৌধুরী, একমাত্র পুত্র, অপর দুই ভাই এবং আরো ২ কাজিন সহ ৮/১০জন অংশ নেন বলে জানা গেছে। সিটির আইন অনুযায়ী ১০জনের বেশী একত্র হওয়ার সুযোগ না থাকায় পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিউনিটির অন্য কেউ জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। অবশ্য এ নিয়ে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম দু:খ ও কষ্টবোধ লক্ষ্য করা গেছে। তারে ভাষায় ‘কামাল ভাইর’র জানাজায় যেখানে হাজার হাজার প্রবাসীর অংশ নেয়ার কথা সেখানে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মাত্র ৮/১০ জনে জানাজা পড়তে হলো।
মরহুম কামাল আহমেদ-এর জানাজা ও দাফন শেষে মুস্তফা কামাল ইউএনএ প্রতিনিধি-কে জানান, ধর্মীয় আর নিউইয়র্ক সিটির নিয়ম-কানুন যথাসাধ্য মেনেই আমরা সকাল ১০টার দিকে কামাল আহমেদ-এর মরদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে নিয়ে যাই। সেখানে নির্ধারিত তাদো পারিবারিক কবরেই তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে আমরা উপস্থিত সকলে জানাজা নামাজ পড়ার পর ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল-এর লোকজন তার মরদেহ কবরে রাখার পর আমরা তাঁর কবরে কয়েক মুঠো মাটি দেই। পরবর্তীতে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, সিলেটের বিয়ানীবাজারের সন্তান কামাল আহমেদ দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। বসবাস করতেন নিউইয়র্কে। প্রবাসী জীবনে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র নির্বাচিত সভাপতি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমব্রেলা সংগঠন হিসেবে পরিচিত ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র দু’বারের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে কামাল আহমেদ একজন স্বল্পভাষী, নিরহংকারী, বিনয়ী, ন¤্র-ভদ্র ও পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তিনি ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করতেন। ছিলেন নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি। তবে কমিউনটি সেবায় ছিলেন সকল রাজনীতির উর্ধ্বের একজন সমাজকর্মী মানুষ।
এদিকে সোসাইটির সভাপতি মরহুম কামাল আহমেদ ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য মরহুম আজাদ বাকের সহ সদ্য প্রয়াত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় সোসাইটির পক্ষ থেকে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী জানিয়েছেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কামাল আহমেদ-এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির অভিভাবক, সবার পরিচিতি মুখ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ (৬৭)-এর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে তার মরদেহে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবর স্থানে তাদের পারিবারিক কবরে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রোববার ভোর রাত ৪.৩০ মিনিট তিনি নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র, ৫ ভাই ও ৫ বোন সহ অসংখ্য আতœীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। খবর ইউএনএ’র।

মরহুম কামাল আহমেদ-এর ফিউনেরাল বিষয়ে সার্বিক তদারকির দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির অন্যতম ট্রাষ্ট্রি আজিমুর রহমান বুরহান। তিনি জানান, ওজনপার্কের মুসলিম ফিউনেরাল হোমের সোহেল আহমেদ-এর তত্ত¡াবধানে গত ৮ এপ্রিল বুধবার হাসপাতাল থেকে মরহুম কামাল আহমেদ-এর মরদেহ হস্তান্তরের পর এই ফিউনেরাল হোমে রাখা হয় এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতায় ধর্মীয় আর সিটির সকল আইন-কানুন মেনেই পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরহুম কামাল আহমেদ-এর নামাজে জানাজা নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবর স্থানে অনুষ্ঠানের পর তাদের পারিবারিক কবরে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জ্যাকসন হাইটসের মোহাম্মদ সেন্টারের ইমাম কাজী কাইয়্যুম। জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সভাপতি মুস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু ও মরহুম কামাল আহমেদ-এর ভগ্নিপতি ফারুক চৌধুরী, একমাত্র পুত্র, অপর দুই ভাই এবং আরো ২ কাজিন সহ ৮/১০জন অংশ নেন বলে জানা গেছে। সিটির আইন অনুযায়ী ১০জনের বেশী একত্র হওয়ার সুযোগ না থাকায় পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিউনিটির অন্য কেউ জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। অবশ্য এ নিয়ে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম দু:খ ও কষ্টবোধ লক্ষ্য করা গেছে। তারে ভাষায় ‘কামাল ভাইর’র জানাজায় যেখানে হাজার হাজার প্রবাসীর অংশ নেয়ার কথা সেখানে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মাত্র ৮/১০ জনে জানাজা পড়তে হলো।
মরহুম কামাল আহমেদ-এর জানাজা ও দাফন শেষে মুস্তফা কামাল ইউএনএ প্রতিনিধি-কে জানান, ধর্মীয় আর নিউইয়র্ক সিটির নিয়ম-কানুন যথাসাধ্য মেনেই আমরা সকাল ১০টার দিকে কামাল আহমেদ-এর মরদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে নিয়ে যাই। সেখানে নির্ধারিত তাদো পারিবারিক কবরেই তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে আমরা উপস্থিত সকলে জানাজা নামাজ পড়ার পর ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল-এর লোকজন তার মরদেহ কবরে রাখার পর আমরা তাঁর কবরে কয়েক মুঠো মাটি দেই। পরবর্তীতে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, সিলেটের বিয়ানীবাজারের সন্তান কামাল আহমেদ দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। বসবাস করতেন নিউইয়র্কে। প্রবাসী জীবনে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র নির্বাচিত সভাপতি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমব্রেলা সংগঠন হিসেবে পরিচিত ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র দু’বারের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে কামাল আহমেদ একজন স্বল্পভাষী, নিরহংকারী, বিনয়ী, ন¤্র-ভদ্র ও পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তিনি ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করতেন। ছিলেন নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি। তবে কমিউনটি সেবায় ছিলেন সকল রাজনীতির উর্ধ্বের একজন সমাজকর্মী মানুষ।
এদিকে সোসাইটির সভাপতি মরহুম কামাল আহমেদ ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য মরহুম আজাদ বাকের সহ সদ্য প্রয়াত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় সোসাইটির পক্ষ থেকে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী জানিয়েছেন।