নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বার্তা সংস্থার সংখ্যা বাড়ছে
- প্রকাশের সময় : ১১:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
- / ১০০৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বাংলা ভাষার মিডিয়াগুলোর পাশাপাশি বার্তা সংস্থার সংখ্যা ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা নিউজ এজেন্সি (এনা), নিউজ ওয়ার্ল্ড, ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ), বাংলা প্রেস, বাংলাদেশী আমেরিকা প্রেস সার্ভিস (বাপস) প্রভৃতি বার্তা সংস্থা’র খবরাখবর বিভিন্ন মিডিয়ায় লক্ষ্য করা গেলেও সম্প্রতি বিএ নিউজ এবং এনআরবি নিউজ নামে আরো দু’টি নিউজ এজেন্সি’র নামে খবরাখবর দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কে বা কারা ‘এনআরবি নিউজ’ নামে নিউজ এজেন্সি খবরাখবর প্রকাশ করছেন তা না জানায় কমিউনিটিতে বিশেষ করে মিডিয়ামহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এনআরবি নিউজ নামের একাধিক খবর নিয়ে পক্ষাপাতিত্বে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের বাইরেও নেই উল্লেখিত নিউজ এজেন্সীগুলোও। কোন কোন নিউজ এজেন্সি কোন কোন সংগঠন বা ব্যক্তির খবর প্রাধান্য দিয়েও প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে। যা নিউজ এজেন্সিগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। তবে এসব নিউজ এজেন্সীগুলোর খবর আরো সমৃদ্ধ আর সম্পাদনা হওয়া উচিৎ। কোন কোন এজেন্সির খবর পাঠকালে দেখা যায় যা খবরে আসা উচিৎ নয়, তাও ঐ খবরে আসছে। এক্ষেত্রে যথাযথ সম্পাদনা দরকার। নিউজ এজেন্সীগুলোর খবর পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বাপস নামক এজেন্সীর খবরে হাতেগোনা কয়েকটি সংগঠন আর ব্যক্তি ছাড়া অন্যকোন সংগঠন বা ব্যক্তির খবর দেখা যায় না। এনা’র সার্ভিস কমেছে বা মিডিয়াগুলো এনা’র খবর কম প্রকাশ করছে। অপরদিকে ইউএনএ আর বাংলা প্রেস’র সার্ভিস বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এই এজেন্সীর খবরে হাকিকুল ইসলাম খোকনের (বাপস সম্পাদক) ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণাই বেশী লক্ষণীয়। ইউএনএ’র খবরে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের খবর (একটি খবর ছাড়া) দেখা যাচ্ছে না। এনা’র খবরে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কোন খবর নেই। নিউজ ওয়ার্ল্ড-এর সার্ভিস এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
অবশ্য এসব এজেন্সীর সার্ভিসের ফলে কমিউনিটির মিডিয়াসহ দেশের কোন কোন মিডিয়া সহজেই উত্তর আমেরিকার খবরাখবর পেয়ে যাচ্ছে। কেননা, যেখানে মিডিয়াগুলোতে একাধিক সাংবাদিক বা প্রতিনিধি নিয়োগ ব্যয় বহুল সেক্ষেত্রে নিউজ এজেন্সীগুলোর খবর সহজেই অনেকে মিডিয়ার চাহিদা মিটাতে পারছে। এক্ষেত্রে নিউজ এজেন্সীগুলোর খবর পরিবশেন, খবরের মান, নিরপেক্ষতা, খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা প্রভৃতি বিবেচনায় রেখে এই এজেন্সীগুলোকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে পারলে মিডিয়াগুলোই সমৃদ্ধ হবে। বিষয়টি বাংলা মিডিয়াগুলোর দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে পারেন।
২.
নিউইয়র্কের বাংলা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে কমিউনিটির খবররাখবর ক্রমশ: বাড়ছে। টাইম টেলিভিশন সম্প্রচারের কিছুদিন পরেই নিয়মিত প্রতিদিন রাত ১০টার খবর লাইভ প্রচার করে আসছে। যা কমিউনিটিতে প্রশংসিত হয়েছে। শীঘ্রই প্রতিদিনের খবর নিয়ে আসছে টিবিএন২৪ চ্যানেল। প্রতিদিন লাইভ খবর প্রচারের জোড় চিন্তাভাবনা করছে বাংলা টিভি নিউইয়র্ক। এছাড়া ঢাকার টিভি চ্যানেলগুলোতেও প্রবাসের খবর বাড়ছে। চ্যানেল আই, একুশে টিভি, বাংলা ভিশন, যমুনা, এসএ টিভি, একাত্তুর টিভি, সময় প্রভৃতি টিভিগুলো ইতিমধ্যেই নিউইয়র্কে তাদের প্রতিনিধি (নিউইয়র্ক বা যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি) নিয়োগ করেছে। কোন কোন টিভি’র পক্ষ থেকে নিউইয়র্কে অফিসও নেয়া হয়েছে। ফলে কমিউনিটিতে টিভিগুলোর প্রতিনিধিদের সরব উপস্থিতি কমিউনিটির সাংবাদিকতাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়াগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক পরিচয়-এ প্রকাশিত ‘নিউইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধার ভূঁয়া সার্টিফিকেট’, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র ‘কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি নিয়ে সমালোচনার ঝড়’ ও ‘কমিউনিটিতে চাঞ্চল্য : সন্দেহের তীর রুমমেটের দিকে ॥ এমহার্স্টে বাংলাদেশীর বাসা থেকে ১৭ হাজার ডলার হাওয়া’, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র ‘নিউইয়র্ক থেকে নিখোঁজ মিশিগান ভার্সিটির ছাত্র লাবিব’ ও ‘নেতৃত্ব শূন্য লন্ডভন্ড যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’ প্রভৃতি খবর পাঠকমহলে আলোচিত হয়েছে। ১৬ জানুয়ারী’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)