তিন বাংলাদেশী গ্রেফতার : মেরিল্যান্ডে ইতিহাসের বৃহত্তম তামাকজাতপণ্য কেলেঙ্কারী
- প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ৩৩০ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যাল্ড অঙ্গরাজ্যে অবৈধ সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য কেলেঙ্কারীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিন বাংলাদেশী। তাদের তিনজনই অভিযুক্ত হয়ে এখন শ্রীঘরে। এরা হলেন- মেহবুব চৌধুরী (৩৭), মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯) ও আবদুল করিম (১৮)। অতি সম্প্রতি মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোর নর্থ ইষ্ট এ পুলিশ, এফবিআই, এটিএফ সহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে তিন বাংলাদেশী সহ প্রায় হাফ মিলিয়ন ডলারের তামাক ও সিগারেট উদ্ধার করা হয় যা ইতিহাসের সর্ববৃহৎ চোরাচালানী বলে উল্লেখ করেছেন মেরিল্যান্ড তামাক নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা পিটার ফ্রাঙ্ক।
প্রিন্স জর্জের কাউন্টি এবং বাল্টিমোর সিটির একাধিক স্পটে ৫ নভেম্বর ভোরে এই অভিযান পরিচালিত হয়। বছরব্যাপী অনুসন্ধান আর তদন্তের পর আইনশৃংখলা বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে এবং হাজার হাজার কার্টুন অবিকৃত তামাকজাত পণ্য জব্দ করে। এই অপকর্মে জড়িত থাকার জন্য ক্যাপিটল হাইটসের ৩৭ বছর বয়সী মাহবুব চৌধুরী এবং কলম্বিয়ার ২৯ বছর বয়সী মনজুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ তামাক সিগারেট গুদামজাত ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে এই দুজনকে মেরিল্যান্ডের বৃহত্তর তামাক পাচার সিন্ডিকেটের অংশ বলে মনে করছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
পুলিশ জানায়, চৌধুরী এবং ইসলাম রাজ্যে ট্যাক্সবিহীন তামাক পাচার এবং টোবাকো জাতীয় সামগ্রী গুদামজাত করতেন। পরে তা খুচরা তামাক স্টোরগুলিতে বিতরণ করে যেখানে অব্যাবহৃত দ্রবাদি সর্বসাধারণের কাছে বিক্রি করে দিতেন।
নর্থ ইস্ট বাল্টিমোরের টোব্যাকো এবং কনভেনিয়েন্স স্টোর পরিদর্শনকালে এজেন্টরা বাল্টিমোরের ১৮ বছরের স্টোর ক্লার্ক আবদুল করিম রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। খুচরা বিক্রেতা ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে কেনা দ্রব্য বিক্রয়, আনট্যাক্সড এবং নিয়মবহির্ভূত সিগারেট ৬ জায়গা থেকে বিক্রয়ের অভিযোগে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ম্যরিল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী অফিস বলেছে, তারা এধরনের কোন বেআইনী কাজকে কখনো সহ্য করবে না। যার প্রমাণ হচ্ছে অতি সাম্প্রতিক এই গ্রেফতারের ঘটনা।