নিউইয়র্ক ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ অ্যামাইজিং কান্ট্রি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২৬১ বার পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমেদ: ‘গুড উইল ভিজিট’-এ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নিউইয়র্ক ফিরেছেন ৫ জন ষ্টেট সিনেটরের প্রতিনিধি দলের চারজন। আমিরাত এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে তাদের দলনেতা লুইস সেপুলভেদা সহ ৩জন রোববার সকালে নিউইয়র্ক পৌছান। অপর দু’জন হলেন ষ্টেট সিনেটর জেমস স্কুফিস, ষ্টেট সিনেটর লিরয় কমরি। এই প্রতিনিধি দলের অপর সদস্য সিনেটর জন সি ল্যু গত শনিবার নিউইয়র্ক ফিরে আসেন। অপর সদস্য সিনেটর কেভিন এ পার্কার বাংলাদেশ সফল শেষে জাতিসংঘের অপর এক কর্মসূচীতে অংশ নিতে ভারত সফর করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিনিধি দলের সাথে সিনেটরদের আরো ৩জন স্টাফও বাংলাদেশ সফর করেন।

নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি বিশেষ করে ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বাংলাদেশ সফল শেষে নিউইয়র্কে পৌঁছার পর জেএফকে-তে এই প্রতিনিধির সাথে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে হাস্যোজ্জল মুখে বলেন- ‘ওহ বাংলাদেশ অ্যামাইজিং কান্ডি, সিলেট ভেরী বিউটিফুল’। সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি তার প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তুলে ধরে বলেন, ‘জাস্ট বিগিনিং’। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের সফর অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ সফর, দেশের আতিথিয়তা তার খুব ভালো লাগলেও ঢাকার যানজট প্রকট হিসেবেই দেখেছেন। বললেন- ‘ওহ টুমাচ ট্রাফিক ইন ঢাকা সিটি। উই স্পেন্ড ২ আওয়ার ফ্রম এয়ারপোর্ট (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) টু হোটেল’।
সিনেটর সেপুলভেদার মতো প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করে সিনেটর জেমস স্কুফিস বলেন, ‘বাংলাদেশ নাইস কান্টি, উই এজনয়, পিপল আর ফ্রেন্ডলী’। জেএফকে থেকে বের হয়ে সিনেটর লিরয় কমরি সরাসরি বের হয়ে যাওয়ায় তার প্রতিক্রিয়া নেয়া সম্ভব হয়নি।
নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর যথাক্রমে লুইস সেপুলভেদা, জেমস স্কুফিস ও লিরয় কমরি রোববার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্স-এর বিমানে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছার পর কমিউনিটি নেতা আব্দুস শহীদ ও ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এসময় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে ‘ওয়েলকাম ব্যাক’ বলে অভিনন্দন জানান। এসময় বাংলা পত্রিকা’র বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান সহ তারা ফুলের তোড়া দিয়ে লুইস সেপুলভেদা ও জেমস স্কুফিস-কে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক ষ্টেটের ৫জন ষ্টেট সিনেটর গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। তারা বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মতো অবস্থান করেন। সিটেরদের মধ্যে লিরয় কমরি ঐদিন সকালের ফ্লাইটে আর বাকী ৪জন রাতের ফ্লাইটে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ষ্টেট সিনেটরগণ এই সফরকালীন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি ও জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব) ফারুক খান এমপি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল যাদুঘর পরিদর্শন, সিলেট চেম্বার এন্ড কমার্স আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগদান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ও নারায়গঞ্জে গার্মেন্ট শিল্প পরিদর্শন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরো উল্লেখ্য, স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী চলতি বছরের প্রথম দিকে নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তখন স্পীকার তাদেরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তারই প্রেক্ষিতে ষ্টেট সিনেটরগণ বাংলাদেশ সরকারের পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিথি হয়ে বাংলাদেশ সফর করেন।
অপরদিকে ষ্টেট সিনেটরদের ‘গুড উইল ভিজিট’-এর পাশাপাশি তাদের সফরকালীন সময়ে নিউইয়র্ক প্রবাসী কমিউনিটির বিশিষ্ট বাংলাদেশীদের মধ্যে মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হওলাদার, আইটি স্পেশালিষ্ট শেখ গালিব প্রমুখ নিজ নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশ সফল করেন এবং তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও সিনেটরদের নিউজ কভার করতে বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন-এর তিনি সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশ অ্যামাইজিং কান্ট্রি

প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

সালাহউদ্দিন আহমেদ: ‘গুড উইল ভিজিট’-এ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নিউইয়র্ক ফিরেছেন ৫ জন ষ্টেট সিনেটরের প্রতিনিধি দলের চারজন। আমিরাত এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে তাদের দলনেতা লুইস সেপুলভেদা সহ ৩জন রোববার সকালে নিউইয়র্ক পৌছান। অপর দু’জন হলেন ষ্টেট সিনেটর জেমস স্কুফিস, ষ্টেট সিনেটর লিরয় কমরি। এই প্রতিনিধি দলের অপর সদস্য সিনেটর জন সি ল্যু গত শনিবার নিউইয়র্ক ফিরে আসেন। অপর সদস্য সিনেটর কেভিন এ পার্কার বাংলাদেশ সফল শেষে জাতিসংঘের অপর এক কর্মসূচীতে অংশ নিতে ভারত সফর করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিনিধি দলের সাথে সিনেটরদের আরো ৩জন স্টাফও বাংলাদেশ সফর করেন।

নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি বিশেষ করে ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বাংলাদেশ সফল শেষে নিউইয়র্কে পৌঁছার পর জেএফকে-তে এই প্রতিনিধির সাথে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে হাস্যোজ্জল মুখে বলেন- ‘ওহ বাংলাদেশ অ্যামাইজিং কান্ডি, সিলেট ভেরী বিউটিফুল’। সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি তার প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তুলে ধরে বলেন, ‘জাস্ট বিগিনিং’। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের সফর অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ সফর, দেশের আতিথিয়তা তার খুব ভালো লাগলেও ঢাকার যানজট প্রকট হিসেবেই দেখেছেন। বললেন- ‘ওহ টুমাচ ট্রাফিক ইন ঢাকা সিটি। উই স্পেন্ড ২ আওয়ার ফ্রম এয়ারপোর্ট (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) টু হোটেল’।
সিনেটর সেপুলভেদার মতো প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করে সিনেটর জেমস স্কুফিস বলেন, ‘বাংলাদেশ নাইস কান্টি, উই এজনয়, পিপল আর ফ্রেন্ডলী’। জেএফকে থেকে বের হয়ে সিনেটর লিরয় কমরি সরাসরি বের হয়ে যাওয়ায় তার প্রতিক্রিয়া নেয়া সম্ভব হয়নি।
নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর যথাক্রমে লুইস সেপুলভেদা, জেমস স্কুফিস ও লিরয় কমরি রোববার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্স-এর বিমানে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছার পর কমিউনিটি নেতা আব্দুস শহীদ ও ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এসময় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে ‘ওয়েলকাম ব্যাক’ বলে অভিনন্দন জানান। এসময় বাংলা পত্রিকা’র বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান সহ তারা ফুলের তোড়া দিয়ে লুইস সেপুলভেদা ও জেমস স্কুফিস-কে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক ষ্টেটের ৫জন ষ্টেট সিনেটর গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। তারা বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মতো অবস্থান করেন। সিটেরদের মধ্যে লিরয় কমরি ঐদিন সকালের ফ্লাইটে আর বাকী ৪জন রাতের ফ্লাইটে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ষ্টেট সিনেটরগণ এই সফরকালীন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি ও জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব) ফারুক খান এমপি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল যাদুঘর পরিদর্শন, সিলেট চেম্বার এন্ড কমার্স আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগদান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ও নারায়গঞ্জে গার্মেন্ট শিল্প পরিদর্শন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেন বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরো উল্লেখ্য, স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী চলতি বছরের প্রথম দিকে নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তখন স্পীকার তাদেরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তারই প্রেক্ষিতে ষ্টেট সিনেটরগণ বাংলাদেশ সরকারের পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিথি হয়ে বাংলাদেশ সফর করেন।
অপরদিকে ষ্টেট সিনেটরদের ‘গুড উইল ভিজিট’-এর পাশাপাশি তাদের সফরকালীন সময়ে নিউইয়র্ক প্রবাসী কমিউনিটির বিশিষ্ট বাংলাদেশীদের মধ্যে মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হওলাদার, আইটি স্পেশালিষ্ট শেখ গালিব প্রমুখ নিজ নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশ সফল করেন এবং তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও সিনেটরদের নিউজ কভার করতে বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন-এর তিনি সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন।