নিউইয়র্ক ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক স্লিপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৩৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ঘটনাটি গত সপ্তাহের। এক সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান কভার করছি। অনুষ্ঠানসূচীতে ছিলো অতিথিদের বক্তব্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর নৈশভোজ। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিলো। অতিথি বক্তা, দর্শক-শ্রোতা, শিল্পী সবই অনুষ্ঠানে উপস্থিত। কিন্তু নেই সঙ্গীত পরিবেশনের যন্ত্রপাতি। যাক বক্তা আর অতিথিদের বক্তব্য শেষ হলো। রাতও বেজে গেলো ১০টা। শুরু হওয়ার কথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু ঘোষণা এলো সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি দরকার তা (হারমনিয়াম, তবলা ইত্যাদি) নেই। তাই শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারছেন না। তবে একজনকে দেখা গেলো গিটার হাতে মঞ্চে উঠে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করলেন। এরই মধ্যে পরিবেশন হলো নৈশভোজ। অগত্যা ভোজন পর্ব শেষে আয়োজকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। চলতি সপ্তাহে একধিক মিডিয়ায় ঐ অনুষ্ঠানের খবরে লক্ষ্য করলাম ‘অনুষ্ঠানটিতে নাকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে এবং অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনকারী শিল্পীদের নামও প্রকাশ পেয়েছে’। অবশ্য খবরটি যেসব মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে তা ছিলে ঐ সংগঠন প্রেরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র। কিন্তু আমি তো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখলাম না। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে অনুষ্ঠানে যা হয়নি তা প্রচার করায় কি সংগঠনটি বড় হয়ে গেলো? আমি জানি না সংগঠনটির কর্মকর্তারা কিভাবে এমন ভুয়া তথ্য সম্বলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করলেন। এমন খবরে তারা হয়তো খুশী কিন্তু আমার বিবেকের কাছে আমি নিজই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরেছি। এমন ‘ভুয়া খবর’ সরবরাহ কি আদৌ দরকার! বিষয়টি একজন বন্ধু সাংবাদিকের সাথে শেয়ার করতেই তিনি বললেন এমন ‘ভুয়া খবর’ হরহামেশাই কমিউনিটির মিডিয়াতে আসছে। তিনি বললেন, অনেক সংগঠন আছে নিজেরা নিজেরা অনুষ্ঠান করে সচিত্র প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  পাঠিয়ে দিচ্ছেন মিডিয়াগুলোতে আর মিডিয়া কর্তৃপক্ষও তা যাচাই-বাছাই (সীমাবদ্ধতার কারণে) না করেই তা প্রচার করে দিচ্ছেন। যা মিডিয়াগুলোকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমি সাংবাদিক বন্ধুর সাথে দ্বিমত করতে পারলাম না। ১৮ জানুয়ারী’২০১৫। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এক স্লিপ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: ঘটনাটি গত সপ্তাহের। এক সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান কভার করছি। অনুষ্ঠানসূচীতে ছিলো অতিথিদের বক্তব্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর নৈশভোজ। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিলো। অতিথি বক্তা, দর্শক-শ্রোতা, শিল্পী সবই অনুষ্ঠানে উপস্থিত। কিন্তু নেই সঙ্গীত পরিবেশনের যন্ত্রপাতি। যাক বক্তা আর অতিথিদের বক্তব্য শেষ হলো। রাতও বেজে গেলো ১০টা। শুরু হওয়ার কথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু ঘোষণা এলো সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি দরকার তা (হারমনিয়াম, তবলা ইত্যাদি) নেই। তাই শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারছেন না। তবে একজনকে দেখা গেলো গিটার হাতে মঞ্চে উঠে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করলেন। এরই মধ্যে পরিবেশন হলো নৈশভোজ। অগত্যা ভোজন পর্ব শেষে আয়োজকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। চলতি সপ্তাহে একধিক মিডিয়ায় ঐ অনুষ্ঠানের খবরে লক্ষ্য করলাম ‘অনুষ্ঠানটিতে নাকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে এবং অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনকারী শিল্পীদের নামও প্রকাশ পেয়েছে’। অবশ্য খবরটি যেসব মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে তা ছিলে ঐ সংগঠন প্রেরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র। কিন্তু আমি তো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখলাম না। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে অনুষ্ঠানে যা হয়নি তা প্রচার করায় কি সংগঠনটি বড় হয়ে গেলো? আমি জানি না সংগঠনটির কর্মকর্তারা কিভাবে এমন ভুয়া তথ্য সম্বলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করলেন। এমন খবরে তারা হয়তো খুশী কিন্তু আমার বিবেকের কাছে আমি নিজই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরেছি। এমন ‘ভুয়া খবর’ সরবরাহ কি আদৌ দরকার! বিষয়টি একজন বন্ধু সাংবাদিকের সাথে শেয়ার করতেই তিনি বললেন এমন ‘ভুয়া খবর’ হরহামেশাই কমিউনিটির মিডিয়াতে আসছে। তিনি বললেন, অনেক সংগঠন আছে নিজেরা নিজেরা অনুষ্ঠান করে সচিত্র প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  পাঠিয়ে দিচ্ছেন মিডিয়াগুলোতে আর মিডিয়া কর্তৃপক্ষও তা যাচাই-বাছাই (সীমাবদ্ধতার কারণে) না করেই তা প্রচার করে দিচ্ছেন। যা মিডিয়াগুলোকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমি সাংবাদিক বন্ধুর সাথে দ্বিমত করতে পারলাম না। ১৮ জানুয়ারী’২০১৫। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)